৭ নভেম্বর, ২০২৫ | ২২ কার্তিক, ১৪৩২ | ১৫ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  চিকিৎসা বিজ্ঞানে উখিয়ার সন্তান ডাঃ আব্দুচ ছালামের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন   ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

শেখ হাসিনাকে আপ্যায়নে ইলিশ নেই

ভারত সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আপ্যায়নের তালিকায় সুস্বাদু ইলিশ মাছ থাকছে না। পশ্চিমবঙ্গের শীর্ষস্থানীয় আনন্দবাজার পত্রিকা এ তথ্য জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, এবারের ভারত সফরে নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে থাকছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির আতিথ্যে আছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। ওই ভবনের ফ্যামিলি কিচেনে শুধু রাষ্ট্রপতি ও তাঁর নিকটাত্মীয়দের জন্য রান্না হয়। এবার এখানে রান্না হচ্ছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর জন্যও। তাই এক সপ্তাহ ধরে সেই রান্নাঘরে চলছে তোড়জোড়। রাষ্ট্রপতি ভবনের ছয়টি রান্নাঘরেই তুমুল ব্যস্ততা। ৩২ জন প্রধান রাঁধুনি বারবার আলোচনা করছেন নিজেদের মধ্যে। বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে আগেই জেনে নেওয়া হয়েছে শেখ হাসিনার পছন্দ-অপছন্দের পদ বিষয়ে।

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বাঙালি রাষ্ট্রপতির সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর সস্ত্রীক বাংলাদেশে গিয়ে নড়াইলে শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন প্রণব মুখার্জি। সেবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতের রাষ্ট্রপতিকে আপ্যায়ন করেছিলেন। ঠাট্টা করে বলেছিলেন, ‘আপনি তো বাংলাদেশের জামাই। জামাইষষ্ঠীর তত্ত্বও তো তাহলে পাঠাতে হয়!’ ভারতে ফেরার পথে প্রণব মুখার্জি নিজেই সে কথা জানিয়েছিলেন সাংবাদিকদের। কী কী খাওয়ানো হয়েছিল—জানতে চাইলে বাংলাদেশের এই জামাই জানিয়েছিলেন, অনেক ধরনের মাছ আর পদ্মার ইলিশ ছিল।

তবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ইলিশ না খাওয়াতে পারার আক্ষেপ থেকেই যাচ্ছে রাষ্ট্রপতি ভবনের রান্নাঘরের। কারণ, এই শেষ চৈত্রে ভালো টাটকা ইলিশ নেই। বাজারে ইলিশের মন্দা। যা আছে, তা–ও আকারে ছোট। আর না হয় ফ্রিজে রাখা বিস্বাদ মাছ। আনন্দবাজার বলছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর জন্য থাকছে ভেটকির পাতুরি, চিংড়ির মালাইকারি আর চিতল পেটির মুইঠ্যা। শেষ পাতে অবশ্যই রাজভোগ। এ জন্য পশ্চিমবঙ্গের প্রথম সারির পাচকদের সঙ্গেও প্রাথমিক আলোচনা সেরেছে ‘ফ্যামিলি কিচেন’। রকমারি মাছের পাশাপাশি মুর্গ দরবারি, গোশত ইয়াখনি, রাইজিনা কোফতা, আলু বুখারার মতো উত্তর ভারতের বিশেষ পদগুলোও থাকছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।