বিশেষ প্রতিবেদকঃ কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ঈদগড় রেঞ্জাধীন বাইশারী বিটের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে শতবর্ষী একটি মাদি হাতির মৃত্যু হয়েছে। ঈদগড়-বাইশারী সড়কের হাজিপাড়া এলাকার পাহাড়ের পাদদেশে বসা অবস্থায় হাতিটির মরদেহটি পায় বনকর্মীরা। শনিবার সকালে নিয়মিত টহলে বের হয়ে মরদেহটি পাওয়া গেলেও কখন হাতিটির মৃত্যু হয়েছে এটি নিশ্চিত করে বলতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা।
বাইশারী বিটের বন কর্মকর্তা মিলন কান্তি মন্ডল জানান, বনকর্মীরা প্রতিদিন সকালে নিয়মিত টহলে বের হন। শনিবার সকাল ৯টার দিকে তিনিসহ টহলে বের হয়ে হাজিরপাড়ার পাহাড়ি এলাকায় গেলে একটি মাদি হাতি পাহাড়ের পাদদেশে সু্যঁড় মাটিতে ঠেষ দিয়ে বসা অবস্থায় দেখতে পায়। কাছে গিয়ে দেখা যায় এটি মৃত। বিষয়টি ঈদগড় রেঞ্জ কর্মকর্তাকে জানানো হলে তিনি উর্ধ্বতন মহলে খবর দেন। পরে ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের ভেটেনারী সার্জন ডা. এ বি এম মোস্তাফিজুর রহমানকে ঘটনা স্থলে আনা হয়। সাথে আসেন কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণও। ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে সেখানেই মরদেহটি মাটিচাপা দেয়া হয়েছে। এলাকার কাছে হাতির মরদেহ পড়ে রয়েছে শুণে নারী-পুরুষ-শিশুরা তা দেখতে ভিড় জমায়।
ঈদগড় রেঞ্জ কর্মকর্তা এমদাদুল হক তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভেটেনারী সার্জন মরদেহটি পরীক্ষা করে প্রাথমিক ধারণায় বলেছেন বার্ধক্য জনিত কারণে দুর্বল হয়ে হাতিটি মারা গেছে। তার শরীরে কোথাও কোন আঘাতের চিহ্ন না থাকায় এমনটি ধারণা করা হচ্ছে। অবয়ব দেখে হাতিটির বয়স শতবছর পার হয়েছে বলে উল্লেখ করে চিকিৎসক বলেছেন, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেলে হাতিটি মারা যাওয়ার মূল কারণ জানা যাবে।
পরিবেশবাদিদের ধারণা নানা কারণে বনজ সম্পদ উজাড় হচ্ছে। ফলে আবাস ও আহার হারাচ্ছে বন্যপ্রাণীরা। গভীর বনে হাজার হাজার একর রাবার বাগান তৈরী করা হলেও বন্য প্রাণীরা এসব বাগানের ধারে কাছেও যায় না। আর বন্যপ্রাণীদের মাঝে হাতি তীব্র খাবার সংকটে ভোগছে। তাই হাতির পাল খাবারের খোঁজে লোকালয়ে হানা দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। এ হাতিটিও সঠিক ভাবে খাবার না পেয়ে দুর্বল হয়ে মারা পড়তে পারে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।