৬ মে, ২০২৫ | ২৩ বৈশাখ, ১৪৩২ | ৭ জিলকদ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  উখিয়ার প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী ফরিদ আহম্মদ চৌধুরীর ৬ষ্ট মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  কক্সবাজার জেলা বিএনপির সদস্য সিরাজুল হক ডালিম’র সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  শ্রমিক দিবসে সামাজিক সংগঠন “মানুষ” এর ভিন্নধর্মী উদ্যোগ   ●  বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ এপ্রিল   ●  লুৎফুর রহমান কাজলের মা সাবেক এমপি সালেহা খানমের ইন্তেকাল করেছেন   ●  টেকনাফে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১   ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা

লামায় ‘খাটো জাতের হাইব্রিড নারিকেল’ চাষের ওপর কৃষক প্রশিক্ষণ


বছরব্যাপী উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ভিয়েতনামের ‘ডিজে সম্পূর্ণা হাইব্রিড ডোয়াফ (খাটো)’ জাতের নারিকেল চাষের ওপর কৃষক প্রশিক্ষণ বুধবার দিনব্যাপী বান্দরবানের লামা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার আজিজনগর ইউনিয়নস্থ হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যোগে আয়োজিত এ প্রশিক্ষণে ৩০ কৃষক অংশ গ্রহন করেন। এতে ঢাকাস্থ কৃষি সস্প্রসারণ অধদিপ্তর খামার বাড়ির বছরব্যাপী ফল উৎপাদনরে মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প উপ-প্রকল্প পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নুরে আলম, হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-সহকারী উদ্যান কর্মকর্তা মো. সালাহ উদ্দিন ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাশ হাতে কলমে এ জাতের নারিকেল চারা রোপন ও পরিচর্যা বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা দেন। এর আগে মাল্টিমিডিয়াা প্রজেক্টরের মাধ্যমে এ জাতের নারিকেল চারা রোপন ও ফলন উৎপাদনের ওপর গান এবং নাটক প্রদর্শন করা হয়। প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের মাঝে বিনামূল্যে একটি করে খাটো জাতের হাইব্রিড নারিকেল চারা প্রদান করা হয়। এর আগেও ৭ ব্যাচে (প্রতি ব্যাচে ৩০ জন হারে) সর্বমোট ২১০ জন কৃষককে প্রশিক্ষণ শেষে এ জাতের নারিকেল চারা প্রদান করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আজিজনগর হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যান কর্মকর্তা মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, আমাদের দেশে বর্তমানে যে প্রচলিত নারিকেলের জাত রয়েছে সেগুলোর ফলন খুবই কম। গাছ প্রতি বছরে সর্বোচ্চ ৫০টি নারিকেল পাওয়া যায় এবং ফলন পেতে ৬-৭ বছর সময় লাগে। নারিকেলের ফল যাতে তাড়াতাড়ি পাওয়া যায় তাই নতুন এই ‘ডিজে সম্পূর্ণা ডোয়াফ (খাটো)’ জাতের গাছের আবাদের ব্যাপারে বর্তমানে জোর দেয়া হচ্ছে। নতুন জাতের এই গাছকে যথাযথ পরিচর্যা করলে আড়াই থেকে তিন বছরেই ফলন আসবে। ফলনের পরিমাণ আমাদের দেশীয় জাতের তুলনায় প্রায় তিনগুন বেশি। এ জাতের প্রতি গাছ থেকে প্রতি বছর ২৫০-৩০০ নারিকেল পাওয়া সম্ভব। উন্নত এই জাতের সম্প্রসারণ করা গেলে আমাদের দেশের নারিকেল উৎপাদন তিনগুন বৃদ্ধি পাবে বলে জানান তিনি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।