১ মে, ২০২৫ | ১৮ বৈশাখ, ১৪৩২ | ২ জিলকদ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ এপ্রিল   ●  লুৎফুর রহমান কাজলের মা সাবেক এমপি সালেহা খানমের ইন্তেকাল করেছেন   ●  টেকনাফে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১   ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার

লামায় ৫ লাখ চাঁদা না দেয়ায় বিদ্যালয়ের কাজ বন্ধ করে দিল পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা

লামায় ৫ লাখ টাকা চাঁদার দাবীতে পাহাড়িকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজ বন্ধ করে দিল পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় ইউনিফর্ম পরিহিত অস্ত্রধারী ১৫/২০ জন পাহাড়ি সন্ত্রাসী প্রকাশ্যে এই চাঁদা দাবী করেছে বলে জানায় উন্নয়ন কাজের হেডমিস্ত্রি ফজল হক। এসময় চাঁদাবাজরা নিজেদেরকে জেএসএস গ্রুপের সদস্য বলে দাবী করে।
জানা গেছে, উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড কোলাইক্কা পাড়া অবস্থিত পাহাড়িকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের কাজ চলছিল। এলজিইডি’র বাস্তবায়নে ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে কাজটি করছে বান্দরবান মধ্যম পাড়ার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মি. ইউটি মং।
মিস্ত্রি ফজল হক বলেন, সন্ত্রাসীরা একমাস আগে এসে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেছিল। চাঁদা না দেয়ায় শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় ইউনিফর্ম পরিহিত অস্ত্রধারী ১৫/২০ জন পাহাড়ি সন্ত্রাসী এসে কাজ বন্ধ করে দেয়। আমি ও সহকারী মিস্ত্রি মিলে ৫ জন ছিলাম। তারা এসে আমাদের গাছের সাথে বেধে প্রচন্ড মারধর করে। সহকারী মিস্ত্রি মোঃ মাসুমকে এসএমজি (সট মেশিনগান) দিয়ে আঘাত করলে তার ডান চোখের পাশে কেটে রক্তখনন হয়। প্রায় ২ঘন্টা মারধর করে আমাদের ছেড়ে দেয় সন্ত্রাসীরা। সামনে চাঁদার টাকা না নিয়ে আসলে লাশ হয়ে ফেরত যেতে হবে বলে হুশিয়ারী দেয় আমাদের। এসময় তারা আরো কয়েকজন ব্যবসায়ীকে বেধে টাকা আদায় করে।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি নেপিউ মুরুং বলেন, সন্ত্রাসীরা অধিকাংশ চাকমা। তাদের মধ্যে কয়েকজন মারমা রয়েছে। এরা জেএসএস গ্রুপের সদস্য।
এবিষয়ে লামা থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, বিষয়টি আমাদের কেউ জানাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।