১০ নভেম্বর, ২০২৫ | ২৫ কার্তিক, ১৪৩২ | ১৮ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  চিকিৎসা বিজ্ঞানে উখিয়ার সন্তান ডাঃ আব্দুচ ছালামের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন   ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

লামায় ৫ লাখ চাঁদা না দেয়ায় বিদ্যালয়ের কাজ বন্ধ করে দিল পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা

লামায় ৫ লাখ টাকা চাঁদার দাবীতে পাহাড়িকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজ বন্ধ করে দিল পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় ইউনিফর্ম পরিহিত অস্ত্রধারী ১৫/২০ জন পাহাড়ি সন্ত্রাসী প্রকাশ্যে এই চাঁদা দাবী করেছে বলে জানায় উন্নয়ন কাজের হেডমিস্ত্রি ফজল হক। এসময় চাঁদাবাজরা নিজেদেরকে জেএসএস গ্রুপের সদস্য বলে দাবী করে।
জানা গেছে, উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড কোলাইক্কা পাড়া অবস্থিত পাহাড়িকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের কাজ চলছিল। এলজিইডি’র বাস্তবায়নে ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে কাজটি করছে বান্দরবান মধ্যম পাড়ার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মি. ইউটি মং।
মিস্ত্রি ফজল হক বলেন, সন্ত্রাসীরা একমাস আগে এসে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেছিল। চাঁদা না দেয়ায় শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় ইউনিফর্ম পরিহিত অস্ত্রধারী ১৫/২০ জন পাহাড়ি সন্ত্রাসী এসে কাজ বন্ধ করে দেয়। আমি ও সহকারী মিস্ত্রি মিলে ৫ জন ছিলাম। তারা এসে আমাদের গাছের সাথে বেধে প্রচন্ড মারধর করে। সহকারী মিস্ত্রি মোঃ মাসুমকে এসএমজি (সট মেশিনগান) দিয়ে আঘাত করলে তার ডান চোখের পাশে কেটে রক্তখনন হয়। প্রায় ২ঘন্টা মারধর করে আমাদের ছেড়ে দেয় সন্ত্রাসীরা। সামনে চাঁদার টাকা না নিয়ে আসলে লাশ হয়ে ফেরত যেতে হবে বলে হুশিয়ারী দেয় আমাদের। এসময় তারা আরো কয়েকজন ব্যবসায়ীকে বেধে টাকা আদায় করে।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি নেপিউ মুরুং বলেন, সন্ত্রাসীরা অধিকাংশ চাকমা। তাদের মধ্যে কয়েকজন মারমা রয়েছে। এরা জেএসএস গ্রুপের সদস্য।
এবিষয়ে লামা থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, বিষয়টি আমাদের কেউ জানাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।