৭ নভেম্বর, ২০২৫ | ২২ কার্তিক, ১৪৩২ | ১৫ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  চিকিৎসা বিজ্ঞানে উখিয়ার সন্তান ডাঃ আব্দুচ ছালামের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন   ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

রামপাল ইস্যুতে ভারতীয় কোম্পানি থেকে বিনিয়োগ তুলে নিল নরওয়ে

রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মানকারি কোম্পানি ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যালস লিমিটেড (বিএইচইএল) থেকে বিনিয়োগ তুলে নিয়েছে নরওয়ের ওয়েলথ ফান্ড। সুন্দরবনের কাছে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে পরিবেশগত ক্ষতিসাধনের ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।

নরওয়ের কেন্দ্রীয় ব্যাংক গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতি দিয়ে গভর্নমেন্ট পেনশন ফান্ড গ্লোবাল (জিপিএফজি) নামে বিশ্বের বৃহত্তম তহবিলটির বিনিয়োগের তালিকা থেকে ভারতীয় কোম্পানিটিকে বাদ দেওয়ার কথা জানায়।

বিবৃতিতে বলা হয়, জিপিএফজির পর্যবেক্ষক পর্ষদের সুপারিশের ভিত্তিতে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন বাংলাদেশের সুন্দরবনের কাছে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করে বিএইচইএল ‘পরিবেশগত মারাত্মক ক্ষতির’ জন্য দায়ী হওয়ার অগ্রহণযোগ্য ঝুঁকির মুখে থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তবে এই বিবৃতির অনেক আগেই নরওয়ের এই তহবিলের মালিকানায় থাকা কোম্পানিটির শেয়ারগুলো বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বলে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

২০১৫ সালের শেষে বিএইচএলের এক কোটি ৩১ লাখ ডলারের বেশি মূল্যের দশমিক ২ শতাংশ শেয়ারের মালিক ছিল জিপিএফজি। এই প্রতিবেদন প্রকাশের আগেই ধীরে ধীরে শেয়ারগুলো বিক্রি করা হয়। এবিষয়ে বিএইচএলের কাছে এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগে বাগেরহাটের রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার এই তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হবে না বলে বাংলাদেশ সরকার আশ্বস্ত করে আসছে। কিন্তু সরকার রামপাল নিয়ে অসত্য তথ্য দিচ্ছে অভিযোগ করে ওই প্রকল্প বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটিসহ বিভিন্ন পরিবেশবাদী ও নাগরিক সংগঠন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।