১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ৩ আশ্বিন, ১৪৩২ | ২৫ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা

মেডিকেলের আন্ডার গ্রাজুয়েট কোর্সও বিএসএমএমইউ’র অধীনে আসছে

দেশের সব মেডিকেল কলেজের আন্ডার গ্রাজুয়েট কোর্সও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধীনে আসছে। দেশের শতাধিক সরকারি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সামগ্রিক শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেয়া হয়। চলতি বছর থেকেই সব মেডিকেল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম বিএসএমএমইউ’র অধীনে চালু করার জোর প্রক্রিয়া চলছে।

এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে বিএসএমএমইউ`র ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, বর্তমানে দেশের চিকিৎসা শিক্ষা কার্যক্রম তিন প্রশাসন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। এ তিনটি সংস্থার পৃথক অনুমতিক্রমে একটি নতুন মেডিকেল কলেজ স্থাপন ও পরবর্তীতে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। নানা কারণে এ তিন সংস্থার কার্যক্রমে সমন্বয় না থাকায় কাঙ্ক্ষিত মানের চিকিৎসা শিক্ষা পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না বলে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এসব কারণে পোস্ট গ্রাজুয়েট কোর্সের মতো সব আন্ডার গ্রাজুয়েট কোর্সও বিএসএমএমইউ’র অধিভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি জানান।

বিএসএমএমইউ’র প্রো-ভিসি অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ জানান, চলতি বছরের আসন্ন মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীনে অনুষ্ঠিত হলেও এ বছর থেকে চিকিৎসা শিক্ষা কার্যক্রম বিএসএমএমইউ’র অধীনে পরিচালনা শুরু হতে পারে। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে তিনি জানান।

বর্তমানে দেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে দেশে মেডিকেল কলেজের সংখ্যা ১০৪টি। এর মধ্যে ৩০টি সরকারি, ৬৫টি বেসরকারি ও সেনাবাহিনীর অধীনে ৬টি আধা-সরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। সংখ্যার দিক থেকে শতাধিক মেডিকেল কলেজ থাকা ইতিবাচক মনে হলেও বেসরকারি বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের অধিকাংশেরই শিক্ষার মান নিয়ে চিকিৎসা-শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা বিরূপ ধারণা পোষণ করেন।

প্রচলিত মেডিকেল কলেজ স্থাপন নীতিমালা অনুসারে ৫০ শয্যার মেডিকেল কলেজ স্থাপন করতে হলে কমপক্ষে দুই বছর আগে থেকে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল চালু থাকতে হবে। হাসপাতালে মোট শয্যা সংখ্যার শতকরা ৭৫ ভাগ বেডে রোগী থাকতে হবে। এছাড়া প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, শিক্ষক, শিক্ষা উপকরণ ও যন্ত্রপাতিসহ অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত হতে হবে। অভিযোগ রয়েছে, অধিকাংশ সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা অনুসরণ করা হচ্ছে না।

বিএসএমএমইউ`র শীর্ষ কর্তাব্যক্তিরা বলেন, একটি প্রতিষ্ঠান থেকে সার্বিক কার্যক্রম পরিচালিত হলে সবগুলো মেডিকেল কলেজে শিক্ষার মান একই রকম হবে। এ লক্ষ্যেই সব মেডিকেল কলেজের আন্ডার গ্রাজুয়েট কোর্স বিএসএমএমইউ`র অধীনে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।