২৭ জুলাই, ২০২৫ | ১২ শ্রাবণ, ১৪৩২ | ১ সফর, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ   ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!   ●  কক্সবাজারে ঝটিকা মিছিলে ঘুম ভাঙলো পুলিশের, গ্রেফতার ৫৫   ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  উৎসবমুখর পরিবেশে সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার’র নির্বাচন সম্পন্ন   ●  যুক্তরাষ্ট্রের জুরি বোর্ডের সদস্য হলেন চৌধুরী কন্যা স্বর্ণা   ●  ভিজিএফ চালের অনিয়ম’ নিয়ে সংবাদ – চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা   ●  শিক্ষার ফেরিওয়ালা মরহুম জালাল আহমদ চৌধুরীর ১৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

মিয়ানমারের শরণার্থী শনাক্তকরণে জাতিসংঘ সহায়তা দেবে

জাতিসংঘ মিয়ানমারের শরণার্থী শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশকে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে। জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক ও ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধি রবাট ডি ওয়াটকিনস বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে গেলে এ প্রস্তাব দেন।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন যে, মিয়ানমারের নাগরিকদের দ্রুত ফিরিয়ে নিতে জাতিসংঘকে দেশটির ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে।

প্রেস সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিদ্রোহীদের পৃষ্ঠপোষক, অর্থদাতা ও অস্ত্র সরবরাহকারীদের খুঁজে বের করার জন্যও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, সরকার বর্ডার গার্ডকে শরণার্থী এবং তাদের মধ্যে অধিক নির্যাতিত নারী, বয়স্ক মানুষ ও দুর্ভোগের শিকার শিশুদের তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছে। সরকার শরণার্থীদের আশ্রয়ের জন্য ভাষানচর দ্বীপকে নির্ধারণ করেছে।

আবাসিক প্রতিনিধি মিয়ানমারের শরণার্থীদের ব্যাপারে বাংলাদেশের মানবিকনীতির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যা যা করণীয় বাংলাদেশ তা যথাযথভাবে পালন করছে।’

ওয়াটকিনস বলেন, চলমান দফায় বাংলাদেশে প্রায় এক লাখ ২৬ হাজার মিয়ানমারের নাগরিক পালিয়ে এসেছে। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানান যে, জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ব্যক্তিগতভাবে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং এ নিয়ে তিনি কয়েকটি বিবৃতিও দিয়েছেন। তিনি এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সহায়তার প্রস্তাবও দিয়েছেন।

বৈঠকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বন্যা নিয়ে আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বন্যা পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাংলাদেশের নিত্যসঙ্গী এবং আমরা এটা মোকাবেলায় সবসময় প্রস্তুত থাকি।

জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক বাংলাদেশের মানুষের অভিযোজন ক্ষমতার প্রশংসা করে বলেন, এদেশের মানুষের প্রাণবন্ততার ইতিহাস রয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে খুবই ইতিবাচক ধারায় এগিয়ে চলছে।

প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৮ সালের মহাপ্লাবণের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, ওই সময় দেশের ৭০ শতাংশ এলাকা প্লাবিত হওয়ার পর ভবিষ্যদ্বানী করা হয়েছিল যে দুই কোটি মানুষ মারা যাবে। কিন্তু আমাদের সরকার দক্ষতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, সরকার বর্তমান পরিস্থিতিতে জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে সবকিছুই করছে। তিনি তৃণমূল পর্যায়ে উন্নয়নে তার সরকারের প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করেন। ওয়াটকিনস বাংলাদেশে তার দায়িত্বপালনকালে চমৎকার সমর্থনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।