
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবরে হঠাৎ চাহিদা বেড়েছে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের। এর সুযোগ নিচ্ছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়িয়েছে কয়েকগুণ। এসব ব্যবসায়ীকে ধরতে অভিযানে নেমেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
সোমবার (৯ মার্চ) অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের তত্ত্বাবধানে মাঠে নামে পাঁচটি টিম। অভিযান পরিচালনায় রয়েছে অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জাব্বার মণ্ডল, রোজিনা আক্তার, মো. মাগফুর রহমান ও মাহমুদা আক্তার।
এ বিষয়ে মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার জাগো নিউজকে বলেন, ‘নোবেল করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী একটি সমস্যা। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। যে যার অবস্থান থেকে সহযোগিতা করতে হবে। এ ভাইরাসকে কেন্দ্র করে বাড়তি মুনাফা হাতিয়ে নেবে, এটা হতে দেয়া যাবে না। আমরা ইতিমধ্যে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে শুনতে পাচ্ছি, বাজারে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বেশি দামে বিক্রি করছে। এটা অনৈতিক।’
তিনি বলেন, ‘যেসব প্রতিষ্ঠান এসব কাজ করছে তারা ঠিক করছে না। তাই তাদের ধরতে ভোক্তা অধিদফতরের পাঁচটি টিম রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযানে নেমেছে। বিভিন্ন ওষুধের ফার্মেসি এবং প্রতিষ্ঠান এসব পণ্য বিক্রি করে সেখানে অভিযান চালানো হবে। যাদের বিরুদ্ধে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রমাণ পাওয়া যাবে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এদিকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতা তৈরিতে সরকারিভাবে পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও আইইডিসিআর। বাইরে থেকে ফিরে সাবান বা অ্যালকোহলযুক্ত স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়ার পরামর্শ দিয়েছে তারা।
রোববার (৮ মার্চ) বিকেলে দেশে তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংবাদ শোনার পর থেকেই হ্যান্ড স্যনিটাইজার ও মাস্ক কিনতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে ঢাকার মানুষ।
সোমবার (৯ মার্চ) সকালে পুরান ঢাকার চকবাজারের পাইকারি স্যানিটারি পণ্য বিক্রির মার্কেটে কমপক্ষে ৩০টি দোকানে গিয়ে কোনটিতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাওয়া যায়নি। বিক্রেতারা বলছেন, ‘রাতেই সব মাল বিক্রি হয়ে গেছে। অনেক ফার্মেসি মালিকরা ফোনে অর্ডার দিয়ে ভোরে মালামাল ডেলিভারি নিয়ে গেছেন’।
বাজারে বর্তমানে স্যাভলনের হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ডেটল হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সেপনিল হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ডের সেনিটাইজার রয়েছে। এছাড়াও আলমের হ্যান্ড স্যানিটাইজার নামে আমদানিকৃত একটি স্যানিটাইজারও জনপ্রিয়। তবে চকবাজারের পাইকারি বাজারে এদের কোনটিই পাওয়া যায়নি।
সূত্রঃ জাগো নিউজ
২০২১ ফেব্রুয়ারি ০৮ ০৮:৩১:১১
২০২০ জুলাই ২৮ ০৬:০২:৪৫
২০২০ জুন ২৭ ১১:১৮:৫৪
২০২০ জুন ২২ ১২:৫৩:২৯
২০২০ মে ২৯ ০৫:৫৩:৩৫
২০২০ মে ০৯ ০১:০৫:২৩
২০২০ মে ০৭ ০৫:০৩:৩০
২০২০ মে ০৫ ১১:৫৩:৩৯
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।