২২ অক্টোবর, ২০২৫ | ৬ কার্তিক, ১৪৩২ | ২৯ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ

সরবরাহকারি ব্রাক কর্মী অস্ত্রসহ আটক

মহেশখালি থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাচ্ছে অস্ত্রের চালান

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের মহেশখালী থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাচ্ছে অস্ত্রের চালান। সোমবার রাতে কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীস্থ ৬ নম্বর জেটি ঘাটে অভিযান চালিয়ে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাচারকালে  এনজিও সংস্থা ব্রাকের মাঠ কর্মী হিসেবে কর্মরত মো. আরিফ উল্লাহ (২৫) কে দেশীয় তৈরি ২ টি এলজি বন্দুক সহ আটক করেছে পুলিশ কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার  কক্সবাজার সদর মডেল থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মিজানুর রহমান।
পুলিশ জানিয়েছে, মহেশখালী থেকে এসব অস্ত্র সংগ্রহ করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। এনজিও কর্মী হলেও দীর্ঘদিন ধরেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের অস্ত্র সরবরাহ করে আসছিল এই যুবক।
আটক মো. আরিফ উল্লাহ মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের পানিরছড়া এলাকার আবুল কালামের ছেলে। গত দুই বছর ধরেই উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিও ব্রাকের মাঠ কর্মী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, এনজিও কর্মী হলেও এই যুবক দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হাতে অস্ত্র পৌঁছে দিয়ে আসছিল। এমন তথ্যের ভিত্তিতে এই যুবককে আটকের চেষ্টা করলেও পুলিশ অনেকবার ব্যর্থ হয়। সর্বশেষ সোমবার রাতে ২ টি এলজি বন্দুক সহ আটক করা সম্ভব হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি স্বীকার করেছে সে।
বলেছে, মহেশখালী থেকে ক্রয় করে বেশি দামে রোহিঙ্গাদের অস্ত্র বিক্রি করে আসছিল। এনজিও কর্মী হওয়ার সুবাদে তাকে কেউ সন্দেহ না করায় এমন কাজ করতে সক্ষম হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কাইছার হামিদ, পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন)  এসএম শাকিল হাসান,  পুলিশ পরিদর্শক (গোয়েন্দা)  দূর্যয় বিশ্বাস সহ অনেকেই।
মঙ্গলবার  সন্ধ্যায় মামালা তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই)  মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটক যুবকের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।
এইপ্রসঙ্গে  মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মহেশখালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তীর মুঠোফোনে যোগাযোগ   করা হলে মহেশখালীতে অস্ত্র তৈরি হচ্ছে এমন প্রশ্নটি তিনি এড়িয়ে যান। তবে তিনি যোগদানের পর থেকে দেশীয় তৈরী ৬ অস্ত্রসহ ৬ জনকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেন।
প্রসঙ্গতঃ ইতিমধ্যেও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাচারকালে উখিয়া থানা পুলিশ দুই রোহিঙ্গা সহ অস্ত্র উদ্ধার করেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।