২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ১১ আশ্বিন, ১৪৩২ | ৩ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বাবা-মায়ের খুঁজে কলকাতার ‘সম্রাট’ এখন কক্সবাজারে

 


‘আমি মোহাম্মদ সম্রাট! পৃথিবীতে মা-বাবা থাকতেও তাদের আদর এই হতভাগার ভাগ্যে জুটেনি। আমার বয়স যখন ৫ থেকে ৬ বছর, তখন কিছু পাচারকারি আমাকে ভারতের কলকাতায় পাচার করে দেয়। তবে জানতে পারি, তখনকার সময় আমার বাবা কক্সবাজার জেলার অন্যতম সম্ভান্ত পরিবারের সন্তান ছিলেন। যখন পাচার করা হয় তখন আমার বয়স কম হওয়ায় তেমন কিছু মনে নেই। বাবা-মাকে, তাদের নাম কি তখনও জানা ছিল না। তবে আমার একটা বোন ছিল। মা একটু লম্বা মোটাতাজা ছিলেন, শুধু এতটুকইু মনে রাখতে পেরেছি।
‘ভারতের কলকাতার কালিদাশ থানার দূর্গা মন্দির ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোহাম্মদ মুজাহিদ ছৈয়দের কাছে পাচারকারিরা আমাকে বিক্রি করে দেয়। এই মানুষটি অত্যন্ত ভাল মনের। তার কোন সন্তান না থাকায় আমাকে আদর যত্মের মাধ্যমে বড় করেন। কলকাতা জেলার দূর্গা মন্দির হাই স্কুলে দশম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করি। শৈশবকাল থেকে কলকাতায় বড় হই। সেখানেই এক প্রতিবেশির মাধ্যমে জানতে পারি, আমি বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার বাসিন্দা। ১০-১২ বছর আগে পাচার চক্রের হাতে পড়ে পাচার হয়ে কলকাতায় আসি। শুনেছি, আমার নাকি বাবা-মা কক্সবাজার জেলার জমিদার হওয়ায় আমার আত্মীয়-স্বজন এবং প্রতিবেশিরা পাচার করে দিয়েছিল। তৎমধ্যে আমার চাচা নাকি এই পাচারের সাথে জড়িত ছিল।
এভাবেই নিজের দূর্ভাগা জীবনের গল্প তুলে ধরেন শিশুকালে পাচার হয়ে শিশু মোহাম্মদ সম্রাট, যিনি এখন শিশুকাল ও কৈশোর পেরিয়ে যুবক।
তিনি জানান, ওই সব তথ্য জানার পর তার প্রকৃত বাবা-মাকে ফিরে পেতে মরিয়া উঠেন। তাই তিনি কলকাতা থেকে বাংলাদেশে বেড়াতে আসার নাম করে চলে এসেছেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এসে ১৭ দিন পার হলেও আমার বাবা মাকে খুঁজে পাইনি।
নিজেকে হারিয়ে ফেরা এই যুবক বলেই চলেন, ‘আমি চট্টগ্রামের আদালতে গিয়ে এক ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে ১০-১২ বছর আগে কক্সবাজার জেলার হারিয়ে যাওয়ার শিশুদের তালিকা খোঁজার চেষ্টা করি। কিন্তু ওই ম্যাজিষ্ট্রেট পরামর্শ দেন, ‘তুমি যেহেতু তোমার বাবা-মার নাম জান না, তাই তুমি কক্সবাজার গিয়ে খোঁজ নিলে ভাল হবে।
মোহাম্মদ সম্রাট এখন বাবা-মায়ের খোঁজে এখন কক্সবাজার জেলার সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে অবস্থান করছেন। ওখানেই এই প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় তার।
তিনি মনে করেন, এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর হয়তো বাবা-মাকে খুঁজে বের করতে হৃদয়বান ব্যক্তিদের সহযোগিতা পেতে পারেন। তিনি প্রয়োজনে ০১৮৩৮৩৬৯৯০৮ নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য করার অনুরোধ জানান।
সূত্র: দৈনিক অাজকের দেশবিদেশ

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।