২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ৮ পৌষ, ১৪৩২ | ২ রজব, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  সিবিআইউ’র আইন বিভাগের ১৭তম ব্যাচের বিদায় অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  ক্ষোভ থেকে হত্যার ছক আঁকেন অপরাধী চক্র   ●  রামুর ধোয়াপালংয়ে পোল্ট্রি ব্যবসায়ী অপহরণ : ৩ লাখ টাকা ও মোবাইল লুট   ●  খুনিয়াপালংয়ে বিএনপি সভাপতির সহযোগিতায় শতবর্ষী কবরস্থান দখলের পাঁয়তারা   ●  কক্সবাজার শত্রুমুক্ত দিবস ১২ ডিসেম্বর   ●  বৌদ্ধ সমিতি কক্সবাজার জেলা কমিটি গঠন সভাপতি অনিল, সম্পাদক সুজন   ●  সভাপতি পদে এগিয়ে ছাতা প্রতিকের প্রার্থী জয়নাল আবেদিন কনট্রাক্টর   ●  প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে উখিয়ার নুরুল হকের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা   ●  ইয়াবার কথোপকথন ভাইরাল হওয়া ডালিম এখনো অধরা   ●  বৃত্তি পরীক্ষায় বিশেষ গ্রেড পেল খরুলিয়ার রোহান

বান্দরবান থেকে রোহিঙ্গা সরানোর সিদ্ধান্ত

কক্সবাজার সময় ডেস্কঃ জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির পাশাপাশি বান্দরবান পার্বত্য জেলা স্পর্শকাতর এলাকা হওয়ায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ে থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে নানা জটিলতার কারণে মিয়ানমার জিরো পয়েন্টে অবস্থানরত ২০ হাজার রোহিঙ্গাকে আপাতত সরিয়ে আনা হচ্ছে না। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় থাকা রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী বা কুতুপালংয়ে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা প্রায় ৬২ হাজার রোহিঙ্গা বর্তমানে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় অবস্থান করছে। এর মধ্যে ২৬ হাজার রোহিঙ্গার প্রাথমিক নিবন্ধন হয়েছে। সীমান্ত অতিক্রম করে অনুপ্রবেশের প্রথম দিকে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির বাধায় তারা আটকা পড়েন। প্রায় এক মাস তারা সেখানে অবস্থান করলেও এখন প্রশাসন তাদের সেখান থেকে সরিয়ে নিতে চায়।

বান্দরবানের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আজিজুর রহমান বলেন, পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় জঙ্গিবাদের উত্থান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্তে তাদের এখান থেকে সরিয়ে একটা নির্দিষ্ট জায়গায় রাখা হবে।

বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মোহাম্মদ আলী হোসেন বলেন, রোহিঙ্গারা যত্রতত্র ছড়িয়ে পড়লে দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হবে। সুতরাং তাদের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রাখতে হবে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের তুমব্র সীমান্তঘেঁষা মিয়ানমার সীমান্তের জিরো পয়েন্টে অবস্থানরত বাকি ২০ হাজার রোহিঙ্গাকে রাষ্ট্রীয় জটিলতার কারণে আপাতত সরিয়ে আনা যাচ্ছে না। জটিলতা কাটিয়ে উঠলে তাদেরও সরিয়ে আনা হবে।

এদিকে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় রোহিঙ্গারা যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য একাধিক চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়ক পথসহ চেকপোস্টগুলো দিয়ে আসা প্রতিটি গাড়ির যাত্রীদের ওপর নজর রাখার পাশাপাশি তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

এছাড়া বিভিন্ন উপজেলার নাগরিকদের অযথা হয়রানি এড়াতে জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখার জন্য প্রশাসন থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এই ব্যাপারে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক বলেন, রোহিঙ্গাদের বিষয়ে সরকার সতর্কতা অবলম্বন করছে। যারা অস্থায়ীভাবে এখানে বসবাস করছে তাদের কুতুপালং বা বালুখালীতে পাঠিয়ে দেয়া হবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।