২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ৯ আশ্বিন, ১৪৩২ | ১ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বাইশারীতে ক্ষুদ্র মালিকদের মুখে হাসি


বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাবার উৎপাদনশীল এলাকা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী। যার কারণে অনেকেই বাইশারীকে রাবার শিল্প নগরী হিসেবে খ্যাত করেন। বর্তমানে তিনটি মৌজায় প্রায় বিশ হাজার একর উৎপাদনশীল রাবার বাগান রয়েছে। এতে শ্রমিক হিসেবে নিয়োজিত রয়েছে প্রায় সাত হাজার লোক। “সাদা সোনা” খ্যাত রাবার শিল্পের হঠাৎ আকাশচুম্বি দামের কারণে শত শত ক্ষুদ্র মালিকরা তাদের জীবনের সব সম্পদ ঢেলে দিয়ে রাবার চাষে মনোযোগী হয়ে পাহাড়ের অনাবাদী ভূমি আবাদ করে লাভের আশায়। কিন্তু রাবারের দর পতনে বিপাকে পড়ে ক্ষুদ্র রাবার বাগান মালিক এবং শ্রমিকরা। এতে করে তাদের যাবতীয় কার্যক্রম এক প্রকার ভাটা পড়ে যায়। রাবার চাষ হতে বিমুখ হতে শুরু করে ক্ষুদ্র ব্যক্তিমালীকানাধীন চাষীরা। তাদের আশা মুখ তুবড়ে পড়ে। অনিশ্চিয়তায় পড়ে শ্রমিকদের ভাগ্যও।
দীর্ঘকাল যাবৎ এই রাবার ৯০ টাকা থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হওয়ায় বড় বড় রাবার মালিকরা লোকসান দিয়ে টিকে থাকলেও ব্যক্তি মালিকানাধীন মালিকরা হতাশায় নিরুপায় হয়ে বাগান বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছেন। আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। অবশেষে এসব রাবার চাষীদের মুখে হাসি দেখা দিয়েছে। চলিত মাসে রাবার প্রতি কেজির দাম এক লাফে ৬০ টাকা বৃদ্ধি হওয়ায় রাবারের দাম এখন ১৬০ টাকা এবং দাম আরো বৃদ্ধি হয়ে দুইশত টাকার অধিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানালেন একাধিক ব্যবসায়ী। দাম বৃদ্ধির ফলে শ্রমিকদের মাঝেও শান্তির সু-বাতাস বইতে শুরু করেছে। তবে একটি রাবার ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট নিজেদের সুবিধার জন্য দাম বৃদ্ধির খবরটি ধামাচাপা দিয়ে রাখতে চাইছেন বলে অভিযোগ করেন একাধিক ক্ষুদ্র রাবার বাগান মালিক।
ক্ষুদ্র রাবার বাগান মালিক শাহাব উদ্দিন ও জহির উদ্দিন জানায়, রাবারের দাম বৃদ্ধির ফলে কিছুটা হলেও লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছে তারা। দেশের অভ্যন্তরে চাহিদা এবং বিদেশে বাংলাদেশী রাবার পন্যের রপ্তানী বেড়ে যাওয়ায় দাম বৃদ্ধি হয়েছে জানালেন রাবার ব্যবসায়ী ফরিদুল আলম।
ঈদগড় এলাকার বাসিন্দা ক্ষুদ্র রাবার বাগান মালিক তৈয়ব উল্লাহ বলেন, দীর্ঘদিন পর হলেও রাবার শিল্পে স্বস্তি বিরাজ করছে। রাবারের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় আমরা মালিকরাও যেমনি লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছি তেমনি শ্রমিকরাও সে লাভের অংশিদার হতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করছেন।
নাজমা খাতুন রাবার বাগানের ব্যবস্থাপক আল-আমিন বলেন, রাবারের দাম বৃদ্ধির খবর তারা পেয়েছেন। দাম কতটুকু বেড়েছে তা এখনো পর্যন্ত ষ্পষ্ট বলা যাচ্ছে না। তিনি আশা করেন আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে জানা যাবে দাম বাড়ছে না কমছে। তবে বর্তমানে রাবারের দাম প্রতি কেজি ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।