২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ১৩ পৌষ, ১৪৩২ | ৭ রজব, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  মানবিক কাজে বিশেষ অবদান; হাসিঘর ফাউন্ডেশনকে সম্মাননা প্রদান   ●  দুই দিন ধরে নিখোঁজ প্রবাল নিউজের প্রতিবেদক জুয়েল হাসান, থানায় জিডি   ●  গ্রামে গ্রামে আনন্দের স্রোত   ●  সিবিআইউ’র আইন বিভাগের ১৭তম ব্যাচের বিদায় অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  ক্ষোভ থেকে হত্যার ছক আঁকেন অপরাধী চক্র   ●  রামুর ধোয়াপালংয়ে পোল্ট্রি ব্যবসায়ী অপহরণ : ৩ লাখ টাকা ও মোবাইল লুট   ●  খুনিয়াপালংয়ে বিএনপি সভাপতির সহযোগিতায় শতবর্ষী কবরস্থান দখলের পাঁয়তারা   ●  কক্সবাজার শত্রুমুক্ত দিবস ১২ ডিসেম্বর   ●  বৌদ্ধ সমিতি কক্সবাজার জেলা কমিটি গঠন সভাপতি অনিল, সম্পাদক সুজন   ●  সভাপতি পদে এগিয়ে ছাতা প্রতিকের প্রার্থী জয়নাল আবেদিন কনট্রাক্টর

প্রাকৃতিক দূর্যোগে সাগরে জেলে নিখোঁজের সংখ্যা বাড়ছে

প্রাকৃতিক দূর্যোগের ব্যাপারে সচেতনতামুলক প্রচারণা ও দ্রুত সতর্ক সংকেত প্রচার করা হলেও তা মানছেন না কতিপয় মোনাফা লোভী ফিশিং ট্রলার মালিক। যার ফলে সাগরে প্রাকৃতিক দূর্যোগের সময় প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন ফিশিং ট্রলার শ্রমিকরা। ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে মালিক পক্ষকে অনুরোধ করা হলেও মালিক পক্ষ শ্রমিকদের সাগরে থাকতে বাধ্য করছে।
কোন ভাবেই কমছে না সাগরে ফিশিং ট্রলার ডুবিতে মৎস্য শ্রমিকের মৃত্যুর হার। কোন সতর্ক সংকেত জারি হলেই নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছে অসংখ্য জেলে। যার ফলে অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে পথে বসার উপক্রম হচ্ছে।
সম্প্রতি ‘মোরা’র আঘাতে ফিশিং ট্রলার ডুবিতে বেঁচে ফিরে আসা মোস্তাক আহমদ মাঝি জানিয়েছেন, মালিক পক্ষের চাপের কারণে ট্রলার ফিরে আসতে পারে না। একটি ট্রলার না আসলে অন্য ট্রলারও আসতে পারে না। পাশ্ববর্তী একজনকে ফেলে রেখে ফিরে আসা যায় না। সামান্য একটি জালের জন্য প্রাণ দিতে হয়েছে অন্তত ২৫ জনকে। একটি জালের দাম হবে ৩৫ হাজার টাকা। মালিক পক্ষ ওই জাল ফেলে না আসার নির্দেশ দেওয়ায় জেলেরা আর ফিরে আসতে পারে না। অনেক সময় একটি রশির জন্য ট্রলার ডুবিতে জেলের মৃত্যু হচ্ছে।
মহেশখালীর মাহমুদুল করিম বহদ্দার জানিয়েছেন, আমার ৫টি ট্রলারই যথা সময়ে ফিরে এসেছে। কোন জাল রশির দরকার নাই সব ফেলে রেখে চলে আসার নির্দেশনা আগে থেকেই দেওয়া আছে। ৫টি ট্রলার ফিরে আসায় আমার অন্তত ৫ লাখ টাকা ক্ষতি হবে, এরপরও আমি সন্তোষ্ট। আমার শ্রমিকরা যথা সময়ে উপকূলে ফিরে এসেছে এটিই আমার লাভ।
জেলা ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হালিম মাঝি জানিয়েছেন, সব ট্রলারের মালিক এক নয়। অনেকেই শ্রমিকদের সাগরে থাকতে বাধ্য করে। তারা কোন সতর্ক সংকেত ও সরকারি নির্দেশনা না মেনেই এ সব করছে। তাদের নির্দেশ অমান্য করে ট্রলার ফিরে আসলে শ্রমিকদের বেতন থেকে কেটে নেওয়া হয় তেলসহ যাবতীয় খরচের টাকা। যার ফলে শ্রমিকরা বাধ্য হয় সাগরে থেকে যেতে। যদি সতর্ক সংকেত অনুযায়ী কোন দূর্ঘটনা হয় মালিক পক্ষ আর খোঁজ নেন না শ্রমিকদের। নিজের ট্রলার ডুবে গেলেও মালিকরা অনেক সময় আইনগত ঝামেলা এড়াতে তা অস্বীকার করে। এ ব্যাপারে মালিক পক্ষকে বার বার তাগাদা দেওয়া হলেও তারা কিছুর তোয়াক্কা করছেন না। বিশেষ করে স্বল্প মুল্যে রোহিঙ্গা শ্রমিক পাওয়া যাওয়ায় দেশীয় শ্রমিকদের উপর চাপ পড়েছে বেশী। মালিক পক্ষের কথা না শুনলে দ্রুত ওই শ্রমিকদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
জেলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ জানিয়েছেন, কোন মালিক শ্রমিকদের চাপ প্রয়োগ করে তা নিয়ে কেউ অভিযোগ করে না। লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারি নির্দেশনা মানা সকলের জন্য বাধ্যতামুলক।
জেলা উপকূলীয় ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আবুল খায়ের জানিয়েছেন, সমিতি ভুক্ত সকল ট্রলারের শ্রমিকদের নির্দেশনা দেওয়া আছে সমস্যা হলে দ্রুত উপকূলে চলে আসার জন্য। তারা নির্দেশনা মানছে বিধায় আমাদের ট্রলার দূর্ঘটনায় পতিত হয়নি। আমরা চাই সমিতির সকল সদস্যকে একটি শৃংখলার মধ্যে রাখতে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।