১৩ অক্টোবর, ২০২৫ | ২৮ আশ্বিন, ১৪৩২ | ২০ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান

পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে সরকারের সদিচ্ছা নেই

Bandarban Pic
জনসংহতি সমিতির সভাপতি ও আঞ্চলিক পষিদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা বলেছেন,শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের নামে সরকারের তালবাহানা সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। আগামী ১লা মে থেকে তিন পার্বত্য জেলায় অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে চুক্তি বাস্তবায়নে বাধ্য করা হবে।পাহাড়ি জনগণের অস্তিত্ব রক্ষায় সকল সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়তে হবে। আজ শুক্রবার দুপুরে শৈলপ্রভাত এলাকার ফারুক পাড়ায় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের ১৬ তম জেলা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরোও বলেন,আমরা পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলাম, এখন চুক্তি বাস্তবায়ন হচ্ছে না। সরকার বড় বড় কথা বলে যাচ্ছে পাহাড়ের শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন করছে। অধিকাংশ বাস্তবায়ন হয়ে গেছে। আসলে  কার্যত সেখানে শুভঙ্করের ফাঁকি আছে। তিনি বলেন,আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সরকার শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সময়সূচি ভিত্তিক কার্যকর কর্মপরিকল্পনা যদি হাতে না নিয়ে থাকে,তাহলে পার্বত্য অঞ্চলের ১লা মে থেকে লড়াই শুরু হবে।
সম্মেলনে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি মস্তু মার্মার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শক্তিপদ ত্রিপুরা,কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক কে এস মং মার্মা, আঞ্চলিক পরিসদের সদস্য সাধুরাম ত্রিপুরা,আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য লয়েল ডেভিট বম,রুমা উপজেলা চেয়ারম্যান অংথোয়াই চিং মার্মা,পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি জ্যোতিষ্ময় চাকমা,হিল ইউমেন্স ফেডারেশনের সভানেত্রী ওয়াইচং প্রু প্রমুখ।
সন্মেলনকে ঘিরে গতকাল সকাল থেকে জেলার রুমা,লামা,আলীকদম,থানছিসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের শত শত নেতা-কর্মীরা আসতে থাকেন।
এদিকে সন্তু লারমার সফরকে কেন্দ্র বান্দরবান শহর ও আশেপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। তার সফর ঠেকাতে গত বুধবার থেকে জাগো পার্বত্যবাসী নামের একটি নতুন সংগঠন টানা ৭২ ঘণ্টার হরতালের ডাক দিলেও বৃহস্পতিবার শুক্রবার এস.এস.সি পরিক্ষার অজুহাতে হরতাল প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। এ সফরকে কেন্দ্র করে বুধবার জেলা শহরে বালাঘাটায় সংঘর্ষে ১০ জন আহত হন ॥

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।