২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ১২ আশ্বিন, ১৪৩২ | ৪ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন

ধরা পড়ছে নিত্য নতুন ইয়াবা ব্যবসায়ী : উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা

কক্সবাজারে বেড়েই চলেছে ইয়াবা ব্যবসায়ীর সংখ্যা। বিভিন্ন পেশায় জড়িত এমন লোকজনও জড়িয়ে পড়ছে ইয়াবা ব্যবসায়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছায়ায় অনেকেই গোপনে ইয়াবা ব্যবসা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এরা পুরোদমে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত থাকলেও দিনের যেকোন এক সময় প্রভাবশালী নেতাদের হাজিরা দিয়েই নিজেকে স্বচ্ছ রাজনৈতিক কর্মী বলে উপস্থাপন করার চেষ্টা করে। ইতোমধ্যে জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি নেজাম উদ্দিন ঢাকায় ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে অনেকেই গা-ঢাকা দিয়েছে বলে জানা যায়।
কক্সবাজারে প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে নিত্য নতুন ইয়াবা ব্যবসায়ি। কেউ কল্পনাও করবে না এমন লোকজন জড়িয়ে পড়েছে ইয়াবা ব্যবসায়। এতে রয়েছে রাজনৈতিক কর্মী ও বিভিন্ন পেশাজীবী।
কক্সবাজার সোসাইটির সভাপতি কমরেড গিয়াস উদ্দিন জানিয়েছেন, কক্সবাজার শহরে এমন কিছু লোক ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত তাদের নাম বললে কেউ বিশ্বাস করবে না। এমনকি প্রশাসনের লোকজনও তা বিশ্বাস করবে না। মুলত তাদের মাধ্যমেই পাচার হচ্ছে ইয়াবার বড়-বড় চালান। তারা সরকার দলীয় এমপি ও নেতাদের ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে। তাদের সাথে ফটোসেশন করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেই নিজেদের ব্যবসা নির্বিঘেœ চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রশাসনের লোকজনের সামনে নিজেদের সাংসদ কিংবা নেতাদের আস্থাভাজন হিসাবে নিজেকে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেন। এদের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন পেশার লোকজন। সম্প্রতি জেলা যুবদলের এক নেতা এক লাখ ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হওয়ার পর সর্বত্র কানাঘোষা চলছে এ ব্যবসায় আর কারা জড়িত। ইতোমধ্যে কয়েকজন পেশাজীবী পর্দার অন্তরালে চলে গেছেন। আলোচিত হচ্ছে বর্তমানে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে নিয়মিত যাতায়তকারী আরো কয়েকজন এ ব্যবসায় জড়িত।
কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের একজন মধ্যম সারির নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, এভাবে গোপনে কারা ইয়াবা ব্যবসা করছেন তা কারো অজানা নয়। সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শীর্ষনেতাদের আশপাশে ঘুরঘুর করে এমন অন্তত ১ ডজন লোক ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত। সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক নেতারা সর্তক না হলে যেকোন সময় তাদেরও দুর্নামের ভাগিদার হতে হবে। যারা এ ব্যবসায় জড়িত রয়েছে তারা মোক্ষম সময়েই সাংসদ কিংবা নেতাদের সামনে হাজিরা দেয়।
এদিকে ইয়াবার আগ্রাসনের কারণে নিজেদের সন্তান নিয়েও চিন্তিত অভিভাবকরা। লেখা পড়া কিংবা শহরে চাকরি করছেন এমন ছেলেদের নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন অভিভাবকরা।
এতে অভিভাবকরা যেমন শংকিত তাদের সন্তানদের নিয়ে, তেমনি দেশের সচেতন প্রত্যেক মানুষ অজানা এক আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। অথচ মাদকের বিস্তার রোধে কার্যকর কোন উদ্যোগই নেই। মাঝে মাঝে দু-একজন মাদক ব্যবসায়ী ধরা পড়লেও এ ব্যসার মূল হোতারা ধরা ছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল জানিয়েছেন,কোন অপরাধীই ছাড় পাবে না। কারা ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।