১০ নভেম্বর, ২০২৫ | ২৫ কার্তিক, ১৪৩২ | ১৮ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  চিকিৎসা বিজ্ঞানে উখিয়ার সন্তান ডাঃ আব্দুচ ছালামের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন   ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

তৈরি পোশাক খাতে নিরাপদ পরিবেশ তৈরিতে নতুন চুক্তি

তৈরি পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের নিরাপদ ও কর্মীবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে আরও তিন বছর কাজ করবে বিশ্বের নেতৃত্বস্থানীয় ফ্যাশন ব্র্যান্ড ও ট্রেড ইউনিয়নগুলো।

প্যারিসে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক দু’টি প্রতিষ্ঠান ইউনিয়ন ইন্ডাস্ট্রিয়াঅল গ্লোবাল ইউনিয়ন ও ইউনিগ্লোবাল ইউনিয়ন এবং বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিরা এ চুক্তির ঘোষণা দেন।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য ডেইলি স্টারের ২৯ জুন প্রকাশিত খবরে জানানো হয়, বর্তমানে আগুন ও ভবনের নিরাপত্তা বিষয়ে আগামী মে পর্যন্ত পাঁচ বছর মেয়াদী ক্যাম্পেইন চলছে। এতে যুক্ত রয়েছে শুধুমাত্র ইউরোপীয় ব্র্যান্ডগুলো। আর উত্তর আমেরিকার আরেকটি গ্রুপ বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নয়নে কাজ করছে।

২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসের পর বিশ্বের নামিদামি পোশাক কোম্পানি বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কারখানার নিরাপত্তা ও মানোন্নয়নে কাজ শুরু করে।

বিধ্বস্ত রানা প্লাজায় কমপক্ষে পাঁচটি তৈরি পোশাক কারখানা ছিল। ভবন ধসে এসব কারখানার প্রায় এক হাজার ১৩০ জনের বেশি শ্রমিক প্রাণ হারান। আহত হন প্রায় আড়াই হাজারের বেশি শ্রমিক।

ওই ঘটনার পর ভয়ানক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে থাকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রত্যাহার করে নেয়।

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম হিসেবে বাংলাদেশের চার হাজার তৈরি পোশাক কারখানায় ৪০ লাখ শ্রমিক কর্মরত। এখাত থেকে আয় হয় বছরে ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের প্রধান বাজার। কম মজুরিতে শ্রমিক পাওয়ায় দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশের প্রতি আকৃষ্ট হয় বিদেশি ব্র্যান্ড ও ক্রেতারা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের ক্রেতার বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানা পরিদর্শনে আসেন। একই সঙ্গে তারা এসব কারখানার নিরাপত্তা ও অভ্যন্তরীণ দিকগুলো উন্নয়নে নানা পরামর্শ দেন।

এসব প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে তৈরি পোশাক খাতের উন্নয়নে সরকারও ৩৫০ জনের বেশি কারখানা পরিদর্শক নিয়োগ দেয়। যারা আইনি দিক দেখভালের পাশাপাশি শ্রমিক কল্যাণ ফান্ড গঠন ও ইউনিয়ন প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা এবং তদারকি করেন।

ইউনিগ্লোবাল ইউনিয়নের ডেপুটি জেনারেল সেক্রেটারি ক্রিস্টি হফম্যান বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে ২৩টি কোম্পানির মধ্যে নতুন চুক্তি সই হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই আগের কোম্পানি। ২১৭টি ব্র্যান্ড নতুন চুক্তিতে অংশ নিচ্ছে। যারা কারখানার শ্রমিকদের প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন উন্নয়নে কাজ করবে।

প্রাথমিকভাবে এ চুক্তি অনুযায়ী আড়াই মিলিয়ন শ্রমিককে নিয়ে কাজ করা হবে- যোগ করেন তিনি।

ইন্ডাস্ট্রিয়াঅলের জেনারেল সেক্রেটারি ভল্টার সানচেস বলেন, চুক্তির মেয়াদ বাড়ায় ভবনের নিরাপত্তার বিষয়ে সব কারখানা পরিদর্শন করা যাবে। একই সঙ্গে প্রথম চুক্তি অনুযায়ী সুরক্ষার উন্নতি বজায় রাখা এবং কোনো নতুন সমস্যার উদ্ভব হলে তাও সমাধান করা যাবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।