১০ নভেম্বর, ২০২৫ | ২৫ কার্তিক, ১৪৩২ | ১৮ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  চিকিৎসা বিজ্ঞানে উখিয়ার সন্তান ডাঃ আব্দুচ ছালামের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন   ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

তথ্যপ্রযুক্তিতে ৪র্থ বারের মত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সম্মাননা লাভ

বিগত কয়েক বছরের ন্যায় এ বছরো তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার ‘ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি(ডব্লিউএসআইএস) পুরস্কার২০১৭অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
জাতিসংঘের আইসিটি সংক্রান্ত বিশেষায়িত সংস্থা আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) সদর দপ্তর জেনেভায় ১৩ জুন ২০১৭ এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের হাতে ডব্লিউএসআইএস পুরস্কার-২০১৭ তুলে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) কবির বিন আনোয়ার।
এ সময় বাংলাদেশের মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, এটুআই প্রোগ্রামের পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী, অধ্যাপক ড. খোন্দকার সিদ্দিক-ই-রব্বানী, ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট মানিক মাহমুদ, উদ্ভাবক ভাস্কর ভট্টাচার্য, মো. খোরশেদ আলম খান, মো. সাখাওয়াতুল ইসলাম এবং তানভীর সাদিক উপস্থিত ছিলেন।
এ বছর মোট চারটি মৌলিক উদ্ভাবনী উদ্যোগের জন্য এটুআই ‘ডব্লিউএসআইএস’ সম্মাননা পেয়েছে। এটুআই প্রোগ্রামের “মাল্টিমিডিয়া টকিং বুক” উদ্যোগটি চূড়ান্তভাবে ১ম স্থান অধিকার করেছে এবং ৩টি উদ্যোগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিমেডিসিন প্রজেক্ট, পাবলিক সার্ভিস ইনোভেশনে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার এবং ই-নথি রানারআপ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। এ উদ্যোগসমূহ হলো-
. মাল্টিমিডিয়া টকিং বুক: দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীসহসকল শিক্ষার্থীর জন্য ১ম থেকে ১০ম শ্রেণিরপাঠ্যপুস্তক : এটুআই প্রোগ্রামের সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ডের আওতায় উদ্ভাবক ভাস্কর ভট্টাচার্য প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সকল বই ও নবম-দশম শ্রেণির মানবিক বিভাগের পাঠ্যবই “ডেইজি মাল্টিমিডিয়া বই” আকারে দৃষ্টি-প্রতিবন্ধীসহ সকল শিক্ষার্থীদের উপযোগী করে তৈরি করেছে। এর মাধ্যমে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীসহ দেশের প্রায় ৩০ ভাগ নিরক্ষর জনগোষ্ঠী অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস এবং কম্পিউটার ব্যবহার করে সহজেই পাঠের বিষয়বস্তু শুনে ও পড়ে বুঝতে পারবে। ইউনিকোডে প্রণীত এই বইগুলো ডিজিটাল ভার্সনে থাকায় এর টেক্সট সহজে ব্যবহার করে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসের কনটেন্ট তৈরি করা যাবে এবং সহজে ব্রেইলে রূপান্তর সম্ভব হবে।
. টেলিমেডিসিন প্রজেক্ট : এটুআই প্রোগ্রামের সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ডের সহায়তায় গ্রামীণ পর্যায়ে উন্নতমানের স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল ফিজিক্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগ এই প্রকল্প শুরু করেছে। এর মাধ্যমে গ্রামের রোগীরা সহজেই শহরের ডাক্তারদের কাছ থেকে চিকিৎসা নিতে পারছেন। এছাড়া অধ্যাপক ড. খোন্দকার সিদ্দিক-ই-রব্বানীর নেতৃত্বে টেলিমেডিসিনের জন্য স্টেথোস্কোপ, ইসিজি ইত্যাদি যন্ত্রের ডিজিটাল রূপ এবং প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার উদ্ভাবন করা হয়েছে যার মাধ্যমে রোগীরা সহজেই ডিজিটাল পদ্ধতিতে কিছু বেসিক টেস্ট করে রিপোর্ট অনলাইনে ডাক্তারকে প্রেরণ করতে পারছেন এবং ডাক্তাররা দ্রুততম সময়ে রোগ নির্ণয় করে রোগীদের সেবা দিতে পারছেন।
. পাবলিক সার্ভিস ইনোভেশনে সোশ্যালমিডিয়ার ব্যবহার :  পাবলিক সার্ভিস এর ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া বিশেষ করে ফেইসবুক ব্যবহার এর মাধ্যমে নাগরিক সেবায় উদ্ভাবনী চর্চায় এক নতুন মাইলফলক তৈরি করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশের সরকারি সকল অফিসে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার চলমান রয়েছে যার মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে নাগরিকগণের সমস্যা সমাধানের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। নাগরিক সেবায় উদ্ভাবনী আইডিয়া, উদ্ভাবনী উদ্যোগ  বাস্তবায়ন অভিজ্ঞতা, উদ্ভাবনী উদ্যোগ রেপ্লিকেশন বাস্তবায়ন অভিজ্ঞতা, উত্তম চর্চা, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নাগরিক সমস্যার সমাধানের এই উদ্যোগের মাধ্যমে জনপ্রশাসনে একটি জনবান্ধব পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
. নথি : লাল ফিতার দৌরাত্ব কমানোর লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় থেকে মাঠ পর্যায় পর্যন্ত হাজারো সরকারি দপ্তরের নথি ব্যবস্থাপনা এবং দপ্তর থেকে প্রদেয় সেবাসমূহকে জনগণের হাতের মুঠোয় পৌঁছে দিতে ‘ই-নথি’র যাত্রা শুরু হয়। সরকারি অফিসে ফাইল নিষ্পত্তি সহজীকরণ এবং সেবা নিশ্চিত করার জন্য ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে অনলাইনে নথি ও ফাইল নিষ্পত্তির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগামী ২০১৮ সালের মধ্যে উপজেলা হতে মন্ত্রণালয় পর্যন্ত সকল সরকারি অফিসে ‘ই-নথি’ বাস্তবায়ন করা হবে। নথি বা ই-ফাইল হলো প্রচলিত নথি ব্যবস্থাপনার পরিবর্তে ইলেক্টনিক পদ্ধতিতে নথি নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া। এ পদ্ধতিতে প্রাপ্ত পত্র, নথিতে উত্থাপিত নোট, গৃহীত সিদ্ধান্ত, পত্রজারি, নথির অবস্থান, রেজিস্টার, বিভিন্ন রেফারেন্সের সকল তথ্য সিস্টেমে লিপিবদ্ধ থাকবে এবং তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য উপাত্ত পর্যবেক্ষণ করাও সম্ভব হবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।