৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ২৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৬ জমাদিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  বৌদ্ধ সমিতি কক্সবাজার জেলা কমিটি গঠন সভাপতি অনিল, সম্পাদক সুজন   ●  সভাপতি পদে এগিয়ে ছাতা প্রতিকের প্রার্থী জয়নাল আবেদিন কনট্রাক্টর   ●  প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে উখিয়ার নুরুল হকের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা   ●  ইয়াবার কথোপকথন ভাইরাল হওয়া ডালিম এখনো অধরা   ●  বৃত্তি পরীক্ষায় বিশেষ গ্রেড পেল খরুলিয়ার রোহান   ●  মরিচ্যা চেকপোস্টে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ ভুয়া নৌবাহিনী সদস্য আটক   ●  উখিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার আবুল কাশেমের ইন্তেকাল   ●  উখিয়ায় নিখোঁজের ৪দিনেও সন্ধান মেলেনি শিশু নুরশেদের   ●  উখিয়ায় প্রায় ৫ কোটি টাকার ইয়াবাসহ বাহক আটক, অধরা মাদক সম্রাট ছোটন ও মামুন   ●  ১৩ নভেম্বরকে ঘিরে কক্সবাজারে সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

ডিজিটাল যুগে যাযাবরদের অন্যরকম জীবন!

shomoy
কক্সবাজার-চট্রগ্রাম মহাসড়কের পাশে অনাবাদি জমি বা আশপাশের নদীর তীরে ছোট ছোট পলিথিন মোড়ানো সারিবদ্ধভাবে সাজানো তাবুগুলো দেখলেই বোঝা যায় যাযাবর জাতিরা ক্ষনস্থায়ী যত্রতত্র স্থানে অবস্থান নিয়েছে। দেখলে বড়ই আপসোস লাগে যে, বর্তমান সময়ের ডিজিটাল যুগেও এই যাযাবরদের জীবনযাত্রা প্রণালী বরাবরই পূর্বে মত রয়ে গেছে। তাদের জীবনযাত্রার একটুও পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগেনি। স্বাধীন রাষ্ট্রে বসবাস করেও শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান, অন্ন, বস্ত্র ও বিনোদনের মত সবকটি মৌলিক অধিকার থেকেই তারা বঞ্চিত। সমাজে এরা অন্যরকমভাবে পরিচিত। খাল-বিল ও নদীর পাড়ে এদের অবস্থান ও ক্ষনস্থায়ী বসবাস। ক’জনের সাথে কথা হলে জানা যায়- বর্ষা মৌসুমে ছোট ছোট সাজানো নৌকায় ওদের ঘরবাড়ি। এদের নেই কোন সুনির্দিষ্ট এলাকা। এদের জন্ম-মৃত্যু, বিয়ে-শাদি, সামাজিক নানা আচার-অনুষ্ঠানাদি ক্ষনস্থায়ী বাসাতে হয়। এদিকে রামু বাইপাস সড়কের পাশে অবস্থান করা পলিথিন মোড়ানো তাবুগুলোতে গিয়ে মনে হয়েছে তাদের পরিবারে মেয়েরাই বেশী কর্মঠ ও পরিশ্রমী। তারা কাকডাকা ভোরে শিশু নিয়ে মনোহরী দ্রব্য বা সাপের ঝাঁপি নিয়ে বের হয় গ্রামাঞ্চলের দিকে। সারাদিন গ্রামের পর গ্রাম ঘুরে দিনের শেষে ক্লান্ত দেহে ফেরেন নিজ পলিথিন মোড়ানো আস্থানায়। সাপ নিয়ে ঘুরে বেড়ানো মহিলাদের বলে বেদেনি আর পুরুষরা বেদে। বেদেনিরা যখন গ্রামে গ্রামে পণ্য বিক্রির জন্য পরিভ্রমন করতে যায় তখন বেদেরা তাবু পাহারা,সন্তানদের দেখাশুনা কিংবা অলস সময় কাটায়। সারারাত হৈ চৈ হয়। এছাড়া এদের নির্দিষ্ঠ বাসস্থান না থাকার কারনে সন্তানদের লেখা-পড়ার সুযোগ হয় না।ফলে বড় হয়ে এরা হয়ত একই পেশা নয়ত বিপদগামী হয়ে ঘৃণ্যতম কাজে জড়িয়ে পড়ে। বিচিত্র এ জীবনধারায় অভ্যস্ত যাযাবরদের সমাজবাসী মানুষ এখনো তাদের সমাজে অঙ্গীভুত করে যথাযথ সামাজিক মর্যাদা দিতে পারেনি। এমনকি যেখানে তারা বসবাস করে সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দারা তাদের নেতিবাচক দৃষ্টি ভঙ্গি দিয়ে দেখেন বলে অভিযোগ তাদের। তবে দেখে মনে হয় যে, এখন তারা চরম দু:সময় পার করছেন। জাত-পেশা ছেড়ে অনেকেই উঠে এসেছেন অন্য পেশায়। বর্তমান সময়ের ডিজিটাল যুগেও যাযাবরদের কঠিন জীবন-জীবিকার পথে তাল মিলিয়ে চলছে অন্যরকম বিচিত্র জীবন। কবির মতে, ওদের ফেলে ওগো ধনী, ওগো দেশের রাজা, কেমন করে রুচে মূখে মন্ডা মিঠাই খাঁজা। আমরা কি পারিনা এসব ভাগ্যাহত মানুষদের স্থায়ী বসবাসের সুযোগ করে দিয়ে সমাজে অর্ন্তভুক্ত করতে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।