২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ৫ পৌষ, ১৪৩২ | ২৮ জমাদিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  রামুর ধোয়াপালংয়ে পোল্ট্রি ব্যবসায়ী অপহরণ : ৩ লাখ টাকা ও মোবাইল লুট   ●  খুনিয়াপালংয়ে বিএনপি সভাপতির সহযোগিতায় শতবর্ষী কবরস্থান দখলের পাঁয়তারা   ●  কক্সবাজার শত্রুমুক্ত দিবস ১২ ডিসেম্বর   ●  বৌদ্ধ সমিতি কক্সবাজার জেলা কমিটি গঠন সভাপতি অনিল, সম্পাদক সুজন   ●  সভাপতি পদে এগিয়ে ছাতা প্রতিকের প্রার্থী জয়নাল আবেদিন কনট্রাক্টর   ●  প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে উখিয়ার নুরুল হকের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা   ●  ইয়াবার কথোপকথন ভাইরাল হওয়া ডালিম এখনো অধরা   ●  বৃত্তি পরীক্ষায় বিশেষ গ্রেড পেল খরুলিয়ার রোহান   ●  মরিচ্যা চেকপোস্টে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ ভুয়া নৌবাহিনী সদস্য আটক   ●  উখিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার আবুল কাশেমের ইন্তেকাল

টেকনাফ আনসার ক্যাম্পে হামলা ও অস্ত্র লুটের মূল হোতা নুরুল আলম ৫ দিনের রিমান্ডে


উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে টেকনাফে আনসার ক্যাম্পে হামলা ও অস্ত্র লুটের মূল হোতা আটক রোহিঙ্গা ডাকাত নুরুল আলমকে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
কক্সবাজার র‌্যাব ৭ এর কমান্ডার আশিকুর রহমান সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। বৃহস্পতিবার কক্সবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদিকে আনসার ক্যাম্পে হামলা ও অস্ত্র লুটের মামলাটি বর্তমানে মামলাটি র‌্যাব তদন্ত করছে বলে ও জানা গেছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাত ৭টায় টেকনাফের নয়াপাড়া আনসার ক্যাম্পের কমান্ডার হত্যা ও অস্ত্র লুটের ঘটনার মূল হোতা নয়াপাড়া ক্যাম্পের এইচ ব্লকের মো: হোসেনের ছেলে আরএসও নেতা নুরুল আলমকে মঙ্গলবার রাত ৭টায় উখিয়া কুতুপালং ক্যাম্প থেকে আটক করে র‌্যাব। পরে তাকে নিয়ে নাইক্ষ্যংছড়িতে অভিযান শুরু করে র‌্যাবের কক্সবাজার ক্যাম্পের লে.কমান্ডার আশেকুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযানিক দল। এসময় টেকনাফের আনসার ক্যাম্প থেকে লুট হওয়া ৪টি চায়না রাইফেল, ১টি এসএমজি, ১টি এম-২ ম্যাগজিন, ৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে।
এদিকে আটক নুরুল আলমকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদকালে জানান, সে বিগত ৫/৬ বছর যাবৎ টেকনাফের শাপলাপুর, বাহারছড়া, লেদা, উখিয়া, কুতুপালং এলাকায় ডাকাতি এবং অপহরণ করে আসছিল। ঘটনার দিন নুরুল আলম ও বড় খায়রুল আমিন দা দিয়ে আনসার ক্যাম্পের বেষ্টনি কেটে আনসার ক্যাম্পে প্রবেশ করে। আনসার ক্যাম্পের ডিউটিরত এবং ঘুমন্ত অন্যান্য আনসার সদস্যদেরকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে। আনসার ক্যাম্প কমান্ডার পিসি আলী হোসেন অস্ত্রাগারের চাবি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে দৌড়ে পালাতে চাইলে নুরুল আলম তাকে গুলি করে। অতঃপর তারা অস্ত্র ও গুলি লুট করে ক্যাম্প ত্যাগ করে। অস্ত্র ও গুলি লুটের পর পাহাড়ের বিভিন্ন গহিন জঙ্গলে লুকিয়ে রেখে আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে তারা উক্ত অস্ত্রগুলো বিভিন্ন জায়গায় স্থানান্তর করে। মূলত অস্ত্র লুট করার উদ্দ্যেশে তারা আনসার ক্যাম্পে হামলা করেছিল।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১৩ মে ভোররাতে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়ার মুচনী এলাকার নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার ক্যাম্পে সশস্ত্র হামলা চালায় এক দল দুর্বৃত্ত। এতে নিহত হন আনসার ক্যাম্পের কমান্ডার মো. আলী হোসেন। এ সময় ১১টি বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র ও ৬৭০টি গুলি লুট করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে অজ্ঞাত পরিচয় ৩০-৩৫ জনের বিরুদ্ধে আনসার ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার মো. আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব ও পুলিশ। এসময় আরো লুট হওয়া ৯টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১১৫টি গুলি উদ্ধার করা হয়।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।