বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কক্সবাজার জেলা ইউনিট কমান্ডের উদ্যোগে গতকাল বুধবার কক্সবাজার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স চত্বরে মুক্তিযোদ্ধাদের মিলনমেলা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা কমান্ডার মোহাম্মদ শাহাজানের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক মহাসচিব কবির আহমদ খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের প্রাক্তন সংগঠক ও জেলা কমান্ডের প্রতিষ্ঠাতা কমান্ডার নুরুল আবছার, সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ন মহাসচিব কালীনারায়ণ লোদ। সভাপতিত্ব করেন সাবেক জেলা কমান্ডার সম্মানীয় ক্যাপটেন (অবঃ) আবদুস সোবাহান। সমাবেশে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে সকল মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ^াসী সকলকে ইস্পাত কঠিন ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। নিজেদের মধ্যে বিভাজন, দ্বন্ধ, দলাদলি থাকলে স্বাধীনতা বিরোধীরা লাভবান হবে। মিলনমেলার শেষে মেজবানের আয়োজন করা হয়।
বিকাল সাড়ে ৩টায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের নিয়ে একটি মহলের জঘন্য মিথ্যাচারের প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে বক্তব্য দেন জয়বাংলা বাহিনী প্রধান কামাল হোসেন চৌধুরী, ক্যাপটেন (অবঃ) আবদুস সোবাহান, মোহাম্মদ শাহাজাহান, হাজী বশিরুল আলম প্রমূখ।
সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃবৃন্দ বলেন, কক্সবাজারে সংঘটিত মহান মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, মুক্তিযোদ্ধা ও বীর শহীদদের বিরুদ্ধে জঘন্য মিথ্যাচার ও বিতর্কিত প্রচারণায় জড়িত রয়েছে ডাঃ মাহবুব, নুরুল হক বীর প্রতীক, গোলাম রব্বান ও এস, এম, কামাল উদ্দিন। তাদের ওইসব আতœঘাতি মিথ্যা প্রোভাগান্ডারে একমাত্র কারণ হচ্ছে তারা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচনে পরাজিত হয়ে নেতৃত্বে আসতে পারেননি। তাই নির্বাচিত নেতৃত্বকে সহ্য করতে না পেরে ব্যক্তিগত জিঘাংসা ও আক্রোশ থেকে তারা ওইসব কল্পকাহিনী সাজাচ্ছে। তাদের এই অপতৎপরতা চলছে ২০০৮ সাল থেকে। মুক্তিযোদ্ধা ও মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তাদের অপপ্রচার ও অপতৎপরতায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ইতিহাস কালিমালিপ্ত হচ্ছে, পাশাপাশি স্বাধীনতা বিরোধী ও যুদ্ধাপরাধী শক্তি লাভবান হচ্ছে। অথচ তাদের নিয়ে জেলা ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কোনরকম বিরোধ, বিতর্ক ও সমালোচনা নেই।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, কক্সবাজারে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে মিথ্যাচারে জড়িতদের নেপথ্যে ইন্ধনকারী কে, কীসের উদ্দেশ্যে ওইসব করা হচ্ছে তা তদন্ত করে দেখা উচিত সরকারের। তাদের এই সব পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বন্ধ না হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শক্তি দুর্বল ও ক্ষতিগ্রস্থ হবে। যারা ব্যক্তিগত ও কোটারী স্বার্থে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনাকাংখিত বিতর্ক করে তারা স্বাধীনতার চেতনার পক্ষে নয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠক মনিরুল আলম চৌধুরী, জেলা জাসদের সভাপতি নঈমুল হক চৌধুরী টুটুল, মাহবুবুর রহমান, শামসুল হুদা, আয়ুব বাঙ্গালী, আবু তাহের, নুরুল হক চেয়ারম্যান, হাজী বশিরুল আলম, পরিমল বড়–য়া, হাফেজ আবদুল মান্নান, আমজাদ হোসেন, সাবের হোসেন, আবু তাহের, জহির আহমদ, মোজাফ্ফর আহমদ কুতুবী প্রমূখ।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।