
প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ কক্সবাজার সদরের জালালাবাদ ইউনিয়নে জমির মালিকানা বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে শামশুল আলম খুনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় ৮ জনকে প্রত্যক্ষ ও ৪-৫ জনকে পরোক্ষ আসামী করা হয়েছে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর মামলাটি কক্সবাজার সদর থানায় নথি ভূক্ত করা হয় (নম্বর-১৯/২০১৭)।
এদিকে একটি খুনের মতো স্পর্শকাতর ঘটনায় নিরহ ও ঘটনার সময় এলাকায় ছিলেন না এমন লোকজনকে প্রত্যক্ষ আসামী করায় পুরো এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে এলাকার লোকজন স্মারকলিপিসহ মানববন্ধন করার উদ্যোগ নিচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ১৪ সেপ্টেম্বর জালালাবাদ ইউনিয়নের বাহারছড়া জহির আহমদের দোকানের সামনে সন্ধ্যা ৬টার দিকে একই এলাকার মৃত আবদুর রহমানের ছেলে আবছারের ছুরিকাঘাতে নিহত হন প্রতিবেশী মৃত ইলিয়াছের ছেলে শামশুল আলম ওরফে পাকিস্তান (৩৫)। এঘটনায় ছুরিকাহত হন নিহতের চাচা নুরুল হক (৩৭)। হত্যাকারীদের সাথে স্থানীয় ‘অঁর খাল’ এলাকায় কিছু জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল নিহতের। এ হত্যার ঘটনায় নিহতের ভাতিজা আশকর আলী বাদী হয়ে ছুরিকাঘাত করা আবছারকে এক নাম্বারসহ আট জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে। এতে ফরাজীপাড়ার মাস্টার দিল মোহাম্মদের ছেলে ব্যবসায়ী ও সমাজকর্মী কামরুল হাসান বায়জীদকে ৫ নাম্বার আসামী করা হয়েছে। শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনা তদন্ত করতে যান। তখনই বায়জীদকে আসামী করার তথ্যটি জানাজানি হয়। তিনি ঘটনার দিন রোহিঙ্গাদের ত্রাণ বিতরণ উপলক্ষ্যে উখিয়া-টেকনাফস্থ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ছিলেন। তাই তাকে আসামী হিসেবে উল্লেখ করায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে ফরাজীপাড়ার বাসিন্দা বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি মো. শায়খুল ইসলাম বলেন, এলাকার সমাজকর্মী বায়জীদের নেতৃত্বে আমি ও প্রবাসী রায়হান ফরাজী, ছালেম মেম্বার, জসিম উদ্দিন, হাজি সেলিম, মোহাম্মদ রশিদ, কাউসার, রাশেদুল হক, হারুণ, সাজ্জাদ, আজিজুল হক, ডেকোরেশন লেদুসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি মিয়ানমারের নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের জন্য এলাকা থেকে ৭০০ শিবা বাঁশ, ২০০ তেরপল নিয়ে ট্রাকযোগে টেকনাফ যায় ১৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে। সেখানে গিয়ে রোহিঙ্গাদের মাঝে তা বিতরণ করে মেরিন ড্রাইভ হয়ে আমরা কক্সবাজার পৌছি রাত সাড়ে ১০ টায়। আর শামশু খুন হয় একইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায়। সে ঘটনার মামলায় টেকনাফে অবস্থান করা বায়জীদকে আসামী করা হয়রানি ছাড়া আর কিছু নয়। এর কারণে হত্যার সঠিক বিচারটিও বাধাগ্রস্থ হবে।
এলাকাবাসি জানান, বায়জিদ নিরহ ব্যবসায়ী ও সমাজকর্মী হিসেবে পরিচিত। তিনি নিজ এলাকা ছাড়াও বৃহত্তর ঈদগাঁওর বেশ কয়েকটি শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবসায়ী সমিতি পরিচালনা কমিটির সদস্য। তার ব্যাপারে সবাই এক বাক্যে সাক্ষ্য দেবে। তার মতো এলাকায় না থাকা আরো কয়েকজনের নামও মামলায় দেয়া হয়েছে বলে প্রচার পাচ্ছে। হয়রানি মূলক ভাবে নিরহদের আসামী করায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটি ও সংগঠন।
জালালাবাদ বিনিয়োগ সংস্থা:
সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ কামরুল হাসান বায়জিদকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে হত্যা মামলায় জড়ানোর তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি এডভোকেট মো. শায়খুল ইসলাম, সেক্রেটারি মাও. আবুল কালাম এবং সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ফখরুদ্দীন ফরাজী কাজল, বিনিয়োগ সম্পাদক রাশেদুল হক, ছালাউদ্দিন বাবুল ফরাজী, ছাবের আহমদ সওদাগরসহ সংগঠনের সদস্য ও কর্মকর্তাগণ।
পোকখালী আইডিয়াল কেজি স্কুল:
স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য কামরুল হাসান বায়জিদকে শমশু হত্যা মামলায় আসামী করায় নিন্দা জানান বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা হাফেজ আবু বক্কর, সভাপতি পোকখালী ইউপি চেয়ারম্যান রফিক আহমদ, সহ-সভাপতি নুরুল হাকিম মেম্বার, সম্পাদক ও প্রধান শিক্ষক বদিউল আলম, সদস্য মুহাম্মদ আলম মেম্বার, আজিজুল হক রুবেল, জিয়াউর রহমান, লোকমান হাকিম ও সেলিম উল্লাহসহ শিক্ষকবৃন্দ।
বাহারছরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঈদগাঁও:
পরিচালনা কমিটির সদস্য কামরুল হাসান বায়জিদকে হত্যা মামলায় উদ্দেশ্যমূলক ভাবে অন্তর্ভূক্ত করায় নিন্দা জানিয়েছেন সভাপতি শাহীন ফরাজী, সহ-সভাপতি মাও. আবুল কালাম, সম্পাদক ও প্রধান শিক্ষক শহিদুল্লাহ, সদস্য রোকসানা খানম মেম্বার, নুরুল আলম মেম্বার, অভিভাবক প্রতিনিধি ইব্রাহিম, আনসারুল হক মিন্টু, মনির আহমদ প্রমূখ।
জালালাবাদ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ:
বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির ডিরেক্টর কামরুল হাসান বায়জিদকে হত্যা মামলায় হয়রানি মূলক ভাবে অন্তর্ভূক্ত করায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক মোর্শেদুল আবেদীন ফরাজী, সদস্য আজিজুল হক খুকু, মোফাচ্ছেল মেম্বার, রাশেদুল হক, মাহমুদ ফরাজী, নুরুল ইসলাম ফরাজী, নাজিম উদ্দিন লাদেন, রায়হান ফরাজী, বোরহান ফরাজী ও সজিব।
ফরাজীপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটি:
ফরাজীপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য ও ঈদগাঁও বাজার ব্যবসায়ী সংগঠন ‘শরীকা আততিজারা’র পরিচালক বায়জিদকে ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে হত্যা মামলায় আসামী করায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন পরিচালনা কমিটির মতোয়াল্লি সাবেক চেয়ারম্যান আমান উল্লাহ ফরাজী, সাধারণ সম্পাদক মাও. আবু ইউছুফ ফরাজী, সদস্য মাও. আবুল কাসেম, সালাউদ্দিন ফরাজী বাবুল, মাও. নুরুল আলম, মাও. হাবিব উল্লাহ, মাও. আবু বক্কর, মাস্টার মোজাফ্ফর আহমদ, ওবাইদুল হক বকুল, হাজি সেলিম উল্লাহ, কালু মাঝি প্রমূখ।
বিবৃতিদাতারা ঘটনায় জড়িত না থেকেও মামলায় আসামী হওয়াকে মহল বিশেষের ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন। ঘটনার সুষ্ট তদন্ত ও স্বাক্ষ্য প্রমাণ নিয়ে আসল খুনিকে সাজার আওতায় এনে নিরহদের নিস্তার দিতে প্রশাসনের প্রতি জরালো ভাবে অনুরোধ জানান তারা।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি রণজিত বড়–য়া বলেন, নিহতের পরিবারের দাবি মতে আসামী করা হলেও অধিকতর তদন্ত ও স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ফাইনাল প্রতিবেদন দেয়া হবে। নিরহ কাউকে হয়রানি করা হবে না।
২০২১ ফেব্রুয়ারি ০৮ ০৮:৩১:১১
২০২০ জুলাই ২৮ ০৬:০২:৪৫
২০২০ জুন ২৭ ১১:১৮:৫৪
২০২০ জুন ২২ ১২:৫৩:২৯
২০২০ মে ২৯ ০৫:৫৩:৩৫
২০২০ মে ০৯ ০১:০৫:২৩
২০২০ মে ০৭ ০৫:০৩:৩০
২০২০ মে ০৫ ১১:৫৩:৩৯
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।