১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ১ আশ্বিন, ১৪৩২ | ২৩ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ

জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় ভেঙে গেল বিয়ে

বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন। কনের বাড়িতে হাজির বরপক্ষ। কাজি বরের জাতীয় পরিচয়পত্র চাইলেন। কিন্তু বরপক্ষ তা দিতে পারল না। শেষ পর্যন্ত বিয়েটাই ভেস্তে গেল।
এ ঘটনা সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের উলুকান্দি গ্রামের। গতকাল রোববার এ গ্রামের বাছিত মিয়া মেয়ের বিয়ের আয়োজন করেছিলেন। কিন্তু পাত্রপক্ষ বরের জাতীয় পরিচয়পত্র দিতে না পারায় তিনি মেয়ের বিয়ে ভেঙে দেন। পরে গ্রামেরই আরেকটি ছেলের সঙ্গে মেয়েটির বিয়ে হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, বাছিত মিয়ার মেয়ের সঙ্গে আশারকান্দি ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের এক তরুণের বিয়ে ঠিক হয়। গতকাল যথাসময়ে হাজির হয় বরপক্ষ। কাজি হাফিজুর রহমান বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন। তিনি বরের জাতীয় পরিচয়পত্র চান। বরপক্ষ জানায়, পরিচয়পত্র আনতে ভুলে গিয়েছে। পরিচয়পত্র ছাড়া বিয়ের কাবিন হবে না বলে ঘোষণা দেন কাজি। এ সময় বর ও কনেপক্ষের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাছিত মিয়া বিয়ে ভেঙে দেন।
আবদুল বাছিত কৃষিকাজ করে সংসার চালান। তিনি বলেন, ‘যে ছেলের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তাঁর কাছে মেয়ে বিয়ে দিই কী করে? বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন হয়েছিল। সন্ধ্যায় নিকট আত্মীয়ের ছেলের কাছে মেয়ের বিয়ে দিয়েছি।’
কাজি হাফিজুর রহমান বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া বিয়ের কাবিন করা যাবে না, বলার পরও বরপক্ষ তা আনতে পারেনি। পরে উভয় পক্ষের সম্মতিতে বিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়।
পাইলগাঁও ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান সাহান আহমদ বলেন, সচেতনতার অভাবে এ রকম ঘটনা ঘটেছে। জাতীয় পরিচয়পত্রের ব্যাপারে সবার সচেতন হতে হবে।
সূত্র : প্রথম আলো

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।