২১ অক্টোবর, ২০২৫ | ৫ কার্তিক, ১৪৩২ | ২৮ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ

চিত্তকে দমন করতে পারলে সমস্ত কলহের উপশম হবে : ড. এফ দীপঙ্কর

পলাশ বড়ুয়া::
ড. এফ দীপঙ্কর মহাথের (ধুতাঙ্গ ভান্তে) বলেছেন, চিত্তকে দমণ করতে পারলে সমস্ত কলহের উপশম হয়ে যায়। চিত্তকে যদি দমন করা না যায়, তাহলে ধর্ম কোন কাজে আসবে না। আর চিত্তকে দমণ করার জন্য প্রয়োজন সম্যক দর্শন। সম্যক দর্শন মানে নিজেকে জানা। কায়া সম্পর্কে তন্ন তন্ন করে জানাই হচ্ছে সম্যক দর্শন। মানুষ কেবল বর্হিমূখী হয়ে অন্যকে দেখে অভ্যস্ত। নিজের মধ্যে নিজেকে আবিষ্কার করাই হচ্ছে সম্যক দর্শন। নিজেকে সম্যক রূপে না জানা পর্যন্ত জীবন দেখা যাবে না।

তিনি বলেছেন, সম্যক দর্শনে নারী-পুরুষ থাকে না। স্বত্ত্ব থাকে না। আতœা থাকে না। জীব থাকে না। আমি, আমার থাকে না। সেখানে কেবল ৩২ প্রচার অশূচি পদার্থ থাকে বিদ্যমান। কায়া সম্পর্কে না জানার কারণে মানুষের এক ধরণের ভ্রমের তৈরি হয়। তিনি বলেন, অজ্ঞানের কারণে সমাজে অধ্যক্ষ, এডভোকেট, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার সহ উচ্চ শিক্ষিতদের মাঝে অহংকার বিরাজ করে। সেখানে কেবল নাম, রূপ বিদ্যমান।

এই কায়া সম্পর্কে না জানা কারণে সম্যক জ্ঞানের অভাবে মানব সমাজে প্রতিনিয়ত অশান্তি বিরাজ করছে। যা সুখকর নয়, এমন ঘটনা প্রতিনিয়ত মানুষ জন্ম দিচ্ছে। কুরুচিকর অনেক কিছু দেখতে হচ্ছে এবং শুনতে হচ্ছে।

ড. এফ দীপঙ্কর বলেন, জাতি, ধর্ম নির্বিশেষের সকলের মাঝে পঞ্চনীতি এবং পঞ্চশীল সম্পর্কে সম্যক জ্ঞানের উদয় হলে দেশে আর্মি, পুলিশের প্রয়োজন হবে না। কারাগারের প্রয়োজন হবে না। যখন সম্যক জ্ঞানের উদয় হবে সে দিন থেকে মারামারি, হানাহানি, দু:খ, যুদ্ধ, বিগ্রহ, কলহ সমস্তই শান্ত হয়ে যাবে।

৩১ জানুয়ারি বিকেলে কক্সবাজারের উখিয়ায় মধ্যরতœা সবুজ চত্বরে বৌদ্ধ মহাশ্মশান ও বোধিজ্ঞান ভাবনা কেন্দ্রের আয়োজনে একক সদ্ধর্ম দেশনা অনুষ্ঠানে তিনি উপরোক্ত কথা গুলো বলেছেন।

এর আগে সকালে অষ্ট-উপকরণসহ সংঘদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেছেন উখিয়া সংঘরাজ ভিক্ষু সমিতির সভাপতি এস. ধর্মপাল মহাথের। উদ্বোধক উখিয়া সংঘরাজ ভিক্ষু সমিতির মহাসচিব শ্রীমৎ জ্যোতিপ্রিয় থের সদ্ধর্মদেশনা করেন পশ্চিমরতœা সুদর্শন বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ শাসনপ্রিয় থের, উপস্থিত ছিলেন শুভানন্দ মহাথের, শ্রীমৎ জ্যোতিপ্রজ্ঞা থের, শ্রীমৎ জ্যোতি দত্ত ভিক্ষু, শ্রীমৎ জ্যোতিমিত্র সহ প্রজ্ঞা ভিক্ষুসংঘ উপস্থিত ছিলেন। দুই পর্বের অনুষ্ঠান সূচিতে পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন শিক্ষক সুবধন বড়ুয়া ও পরানশু বড়ুয়া। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক রাজেশ্বর বড়ুয়া, সঞ্চালনা করেন শিক্ষক অমৃত কুমার বড়–য়া ও শিক্ষক পরিমল বড়ুয়া।

উল্লেখ্য, ৩০ জানুয়ারি স্বশিষ্যসহ বান্দরবান আর্য্যগুহা থেকে আসার পথে রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহারের অধ্যক্ষ, একুশে পদক প্রাপ্ত উপ-সংঘরাজ প্রয়াত: সত্যপ্রিয় মহাথেরকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ১ ফেব্রুয়ারি তিনি বান্দরবান আর্য্যগুহার উদ্দেশ্যে উখিয়া ছেড়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি মধুসুধন বড়ুয়া মেম্বার।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।