ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কক্সবাজারের প্রায় ৪৭ হাজার গাছ। এর মধ্যে উপরে গেছে প্রায় ১৭ হাজার গাছ। এমনটাই জানিয়েছেন বন বিভাগ। দক্ষিন বন বিভাগ জানিয়েছে প্রাকৃতিক বনায়নের অধিনে উপরে গেছে ২৮’শ ৪৫টি গাছ। সামাজিক বনায়নের আওতায় উপরে গেছে ১২ হাজার ৪’শ ৩৩ টি গাছ। যার মধ্যে ৭১টি গর্জন, ২’শ ১৪ টি সেগুন, ১৩’শ ৯০ টি ঝাউগাছ, ২৫৩টি ঢাকিজাম, ৯টি মেহেগনি ও বিভিন্ন প্রজাতির ৩৬৫টি গাছ। সবগুলো গাছই ছিল পরিপূর্ণ বড় বৃক্ষ। সামাজিক বনায়নের আওতায় ১২ হাজার ক্ষতিগ্রস্থ গাছই আকাশমনি। ২৩ টি আগর ও শোভাবর্ধনকারি বৃক্ষ।
এছাড়াও দক্ষিন বন বিভাগের আওতায় ৩০ হাজার গাছের আগা ভেঙ্গে গেছে। নস্ট হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার ঘনফুট কাঠ।
যার অধিকাংশই আকাশ মনি। এসব গাছ আবার পূর্ণাঙ্গ রুপ পেতে দুই বছর সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার দক্ষিন বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আলী কবীর। তিনি জানান এখন পর্যন্ত যে রির্পোট পাওয়া গেছে তা প্রাথমিক পর্যায়ের । এখনো অনেক জায়গার রির্পোট হাতে পাওয়া যায়নি। রির্পোট হাতে পেলে ক্ষতিগ্রস্ত গাছের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে। যেসব স্থানে গাছ উপরে গেছে সেসব স্থানে কর্মকর্তা- কর্মচারিদের সেসব গাছ সংরক্ষনের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এসব গাছ সংরক্ষনের জন্য পরিবহন খরচই বহন করতে হবে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা।
উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইউসুপ জানান উত্তর বন বিভাগের আওতায় উপরে গেছে প্রায় ২ হাজার গাছ। যার মধ্যে সেগুন, মেহেগনি, ঢাকিজাম, বাদনা ,সিবিট সহ বিভিন্ন প্রজাতির বড় বৃক্ষ। তবে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পাওয়ার পর ক্ষতিগ্রস্ত গাছের সংখ্যা বাড়বে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত এসব গাছের অভাব পূরন করতে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পাওয়ার পর মন্ত্রনালয়ে নতুন গাছ রোপনের জন্য আবেদন করা হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক সরদার শরীফুল ইসলাম বলেন “বড় বড় গাছ ঝড়ের সময় বাতাসের সাথে যুদ্ধ করে। তারা পরিবেশকে রক্ষা করে। গাছ না থাকলে মানুষের ক্ষতি আরো বেশি হতে পারতো। তাই যে পরিমান গাছ বিনস্ট হয়েছে তার বেশি পরিমান গাছ রোপন করে পরিবেশের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে হবে।”
সূত্র- দৈনিক কক্সবাজার
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।