৬ অক্টোবর, ২০২৫ | ২১ আশ্বিন, ১৪৩২ | ১৩ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন

ঘুমধুমের জসিমের প্রতিবাদ প্রসঙ্গে বড় ভাই জহিরের নিন্দা ও ব্যাখ্যা

 

গত ৭ এপ্রিল দৈনিক আজকের দেশ বিদেশ পত্রিকার ৪র্থ পৃষ্ঠায় “প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা” শীর্ষক প্রতিবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমি উক্ত প্রতিবাদের জোর প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করছি। প্রকৃত ব্যাখ্যা হচ্ছে, আমার বাবা দীর্ঘ ২ যুগ ধরে সৌদি প্রবাসী। তাহার উপার্জিত অর্থ দিয়ে সংসারের ব্যয়ভার বহন করা কষ্টকর হয়ে পড়ে। ফলে বাবার অনুরোধে সংসারের হাল ধরতে আমি ২০০৩ সালে সৌদি আরব গমন করি। দীর্ঘ সাড়ে ১২ বছরে প্রবাস জীবনে উপার্জিত অর্থ দেশে মা ও ভাই বোনদের ভরণ পোষন ও লেখাপড়ার জন্য পাঠাতাম। আমার নামে ব্যক্তিগত কোন ব্যাংক একাউন্ট ও সম্পদ নেই। দীর্ঘ প্রবাস জীবনের উপার্জিত অর্থ ভাই বোনদের পড়ালেখার জন্য ব্যয় করি। উদৃত্ত অর্থ দিয়ে বাবা ইচ্ছা অনুযায়ী সম্পদ ক্রয় করে। তাতে আমার নামে কোন সম্পদ নাই। গত ২০১৫ সালে সৌদি আরবের প্রশাসনের হাতে গ্রেফতার হয়ে স্বদেশ প্রত্যাগত হই। দেশে এসে এক প্রকার বেকার হয়ে পড়ি। আমার স্ত্রী পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের শিক্ষা প্রকল্পের ঘুমধুম পাড়া কেন্দ্রের সুপারভাইজার হন। তার প্রাপ্ত বেতন ভাতা দিয়ে দীর্ঘ ১ বছর কোন রকমে জীবন যাপন করিয়া আসছিলাম। এমতাস্থায় ছোট ভাই জসিম তার অন্য এক ব্যবসার ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের দায়িত্ব দেয়। প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা বেতন ভাতা দেওয়ার মৌখিক অঙ্গীকার করেছিল জসিম। কিন্তু মাঝে মধ্যে ১০০/৫০ টাকা দিলেও পরবর্তী সময়ে মোটা অংকের টাকা দিবে বলে প্রতিশ্র“তি দিয়েছিল। এভাবে ৬ মাস গত হয়ে গেলেও আমার প্রাপ্ত ৬ মাসের ৬০ হাজার টাকা দেয়নি। নিরূপায় হইয়া আমি আমার স্ত্রীর নামীয় ৩০ শতক জায়গা ও তৎগৃহ সহ ৪ লক্ষ টাকা বিক্রির বায়না নামা সম্পাদন করে ২ লক্ষ টাকা গ্রহণ করি। তা দিয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে কুতুপালং বাজারে একটি মুদির দোকান খুলি। দোকানটি ছিল আমার ছোট ভাই জসিমের কেনা দেড় লক্ষ টাকা। উক্ত দেড় লক্ষ টাকা আমি ভিটি বিক্রির অবশিষ্ট টাকা পেলে তাকে দেওয়ার মৌখিক অঙ্গীকার করি। কিন্তু নিদৃষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা জোগাড় করতে না পারায় বিগত ২ মাস পূর্বে ছোট ভাই জসিম ও সাইফুদ্দিন আমার মাতার মাধ্যমে বাড়িতে ডেকে নিয়া আমাকে বেধড়ক মারধর করে শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম করে। একই রাত্রে আমার বাড়িতে গিয়া দরজা জানালা ভাংচুর করে। এতে বাড়ির ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। যা স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক ডাক্তার শাহ জাহান, ভগ্নিপতি শ.ম গফুর সহ অনেকেই অবগত আছেন। পরদিন আমাকে উদ্দেশ্য করে জসিম ও সাইফুদ্দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ স্টাট্যাস পোষ্ট করে। আমি এসব বিষয়ে স্থানীয় ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে তাদের বিরুদ্ধে নালিশী অভিযোগ দায়ের করি। যা জানতে পেরে আমার মাতার অনুরোধে লোকের সম্মুখে বিচার চাওয়া থেকে বিরত থাকি। এক্ষুনি সময় আমার ভগ্নিপতি শ.ম গফুরের সাথে জসিম ও সাইফুদ্দিনের মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে শ.ম গফুর তাদের ইয়াবা ব্যবসার তথ্য নির্ভর সংবাদ প্রকাশ করে তাতে আমাকেও জড়িত করা হয়। ফলে জসিম আমাকে শ.ম গফুরের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরী ও পত্রিকায় প্রকাশ করিতে বাধ্য করে। সমস্ত খরচ জসিম বহন করিবে বলে প্রতিশ্র“তি দেয়। এ খবর জানতে পারে শ.ম.গফুর আমাদের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরী লিপিবদ্ধ করে যার নং- ৭৭৬/১৬ তারিখ- ১৯/১২/২০১৬ইং। সাইফুদ্দিন ও জসিম উদ্দিনের ফেসবুক আইডি থেকে শ.ম গফুরকে উদ্দেশ্য করে কুরুচিপূর্ণ স্টাট্যাস পোষ্ট করে তার মানহানী ও চরিত্র হনন করার অভিযোগে কক্সবাজার কোর্টে ৫৭/২ এর ধারা মতে তথ্য প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণ আইনে কোর্ট পিটিশন দায়ের করে (সিপি)। এতে আমাকে ৩ নং আসামী করা হয়। পুলিশী তদন্তকালে আমি নিরপরাধ হয়েও জসিম উদ্দিন ও সাইফুদ্দিন এর ইয়াবা ব্যবসা সংক্রান্ত, শ.ম.গফুরকে প্রাণ নাশের হুমকি, মানহানী ও চরিত্র হননের অভিযোগ থেকে রক্ষা করতে গিয়ে আমার অন্তত অর্ধ লক্ষ টাকা আর্থিক হয়রানি হয়। সম্প্রতি সময়ে ছোট ভাই জসিম উদ্দিন ও সাইফুদ্দিন এবং আমার সহিত সৃষ্ট পারিবারিক ঘটনা নিরসনে আমার বাবার অনুরোধে শ.ম.গফুর সর্বোচ্চ চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। কারণ জসিম উদ্দিন ও সাইফুদ্দিন ঘন্টা পর পর সিদ্ধান্ত পাল্টায়। শ.ম. গফুর কোন সময় কোন অনৈতিক সুবিধা দাবী করেনি। বরং আমাদের নানা দুঃসময়ে শ্রম, অর্থ ও মেধা দিয়ে সহযোগীতা করেছে। কিন্তু পত্রিকায় জসিম উদ্দিনের ইয়াবা ব্যবসা সংক্রান্ত আমার কোন দুরতম ইন্ধন নেই। সাংবাদিক ভাইয়েরা জসিম ও সাইফুদ্দিনের বিরুদ্ধে করা সংবাদ সমূহ তথ্য নির্ভর ও বস্তুনিষ্ঠ বলে প্রতিয়মান হয়। ভালমন্দ সাংবাদিকরাই বুঝবে। পত্রিকায় জসিম উদ্দিন ব্যাখ্যা করে বলেছেন, আমার বাবা কুতুপালং বাজারে আর্থিক বিনিয়োগ করে মুদির দোকান করিয়ে দিয়েছে আমি এবং ছোট ভাই সাইফুলকে। তাহলে প্রশ্ন রইল, জসিম উদ্দিন আমার নিকট থেকে দোকান বাবদ কিসের টাকা দাবী করতেছে। আর সাইফুদ্দিনের কোন অর্থ এখানে বিনিয়োগ আছে কিনা। উক্ত দোকান বিষয়ে রাজাপালং ইউপি ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মৌলভী বখতিয়ার আহমদ এর নিকট নালিশ বিচারাধীন রয়েছে। উক্ত সংবাদ বিষয়ে আমি পাঠক, আইন শৃংখলা বাহিনী, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ সহ সকলের নিকট সুষ্ঠ ও নিরপক্ষ তদন্ত পূর্বক যারা প্রকৃত পক্ষে মিথ্যাবাদী, অনৈতিক ব্যবসায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানাচ্ছি। যদি আমি ও উক্ত অনৈতিক, সমাজ ও রাষ্ট্র বিরোধী কোন জড়িত থাকলে নিরপেক্ষ তদন্ত পূর্বক আমার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হউক। এ দাবী জানিয়ে প্রকাশিত সংবাদের নিন্দা জ্ঞাপন ও জোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

প্রতিবাদকারী:

জহির আহমদ,
প্রতিবাদকারী জসিম উদ্দিনের বড় ভাই,
ঘুমধুম, নাইক্ষ্যংছড়ি, বান্দরবান।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।