৬ নভেম্বর, ২০২৫ | ২১ কার্তিক, ১৪৩২ | ১৪ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  চিকিৎসা বিজ্ঞানে উখিয়ার সন্তান ডাঃ আব্দুচ ছালামের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন   ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

গাবতলীতে দফায় দফায় সংঘর্ষ, ভাংচুর-আগুন

রাজধানীর গাবতলী বাসটার্মিনালে গত রাতে পুলিশ ও ধর্মঘটী পরিবহন শ্রমিকের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বহু আহত হয়। আহতদের মধ্যে চার কনস্টেবলসহ আটজনকে ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে। রাত ১১টায় দ্বিতীয় দফায় এই সংঘর্ষ শুরু হয়। রাত ১টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থেমে থেমে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ চলছিল। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ শ্রমিকদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। অন্য দিকে শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ও ককটেল ফাটায়। আহত কনস্টেবলরা হচ্ছেন অনীক (২১), রবিউল (২২), মিজু আহমদ ও রফিকুল ইসলাম। অন্য দিকে পুলিশের রাবার বুলেটে আহত হয়ে মেডিক্যালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন গরু ব্যবসায়ী দেলোয়ার (৫০), ট্রাক শ্রমিক রবিউল (৪০), হোটেল শ্রমিক রিফাত (২০) এবং বাসের হেলপার হাসনাইন (২২)। সংঘর্ষের পর সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। মানুষ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। এর আগে পুলিশের একটি রেকার ভ্যানে অগ্নিসংযোগ করেছেন পরিবহন শ্রমিকেরা। এ সময় প্রতিরোধ করতে গেলে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ বাধে শ্রমিকদের। ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলে উভয়ের মধ্যে।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্র মতে, রাত পৌনে ৮টায় গাবতলী বাসটার্মিনালের পাশে রাখা একটি রেকার ভ্যানে অগ্নিসংযোগ করে কিছু পরিবহন শ্রমিক। এ সময় পুলিশ শ্রমিকদের প্রতিরোধ করতে গেলে সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। পরিবহন শ্রমিকেরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। পুলিশও এ সময় লাঠি চার্জ করে এবং রাবার বুলেট ছোড়ে।
এ দিকে অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি ইউনিট ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। কিন্তু সংঘর্ষের কারণে আগুন নেভাতে তারা হিমশিম খায়। ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের ডিউটি অফিসার মাহমুদুল হক জানান, তাদের কাছে ৮টা ৫ মিনিটে আগুনের খবর পৌঁছে। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের মিরপুর স্টেশন থেকে দু’টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তবে সংঘর্ষ চলায় আগুন নেভাতে সমস্যা হয়েছে।
ডিএমপির মিরপুর বিভাগের দারুসসালাম জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) সৈয়দ মামুন মোস্তফা জানান, পরিবহন শ্রমিকেরা বিােভের একপর্যায়ে রেকার ভ্যানে অগ্নিসংযোগ করে। তিনি জানান, বিকেল থেকে শ্রমিকেরা বিােভ করছিল। পুলিশ তাদের সাথে সমঝোতা করতে গেলে তারা একপর্যায়ে গাড়ি ভাঙচুর শুরু করে। কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের পর পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় তারা পুলিশের ওপর ুব্ধ হয়ে পাশে পার্কিং করা পুলিশের রেকার ভ্যানে অগ্নিসংযোগ করে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সংঘর্ষ চলাকালে পরিবহন শ্রমিকেরা হানিফ বাস কাউন্টারের সামনে পুলিশ বক্সেও অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় শ্রমিকেরা ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ফিরিয়ে দেয়।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।