১২ অক্টোবর, ২০২৫ | ২৭ আশ্বিন, ১৪৩২ | ১৯ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”

গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে

নিজস্বপ্রতিবেদকঃ

কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ‘এনসিপি ছাত্র রাজনীতি’ পরিচয়ে চারজন ব্যক্তি ফাঁড়ির ইনচার্জ শাহজাহান মনিরের কক্ষে প্রবেশ করে সরকারি কাজে হস্তক্ষেপ ও হুমকি প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ সাধারণ ডায়েরি করেছে।

পুলিশ বলছে, চলতি মাসের গত ১ অক্টোবর রাত ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শাহজাহান মনির এক বয়স্ক ব্যক্তি ও তিনজন নারীর সঙ্গে একটি অভিযোগ নিয়ে আলোচনা করছিলেন। ওই সময়, চারজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি নিজেদের “এনসিপি ছাত্র রাজনীতির নেতা” হিসেবে পরিচয় দিয়ে তার কক্ষে প্রবেশ করেন। তারা দাবি করেন , প্রতিনিয়ত কচ্ছপিয়া ও গর্জনিয়া এলাকায় খুন, চুরি, ডাকাতি, ধর্ষণসহ নানা অপরাধ ঘটছে।
এসময় ফাঁড়ির ইনচার্জ জানান, এসব অভিযোগের কোন তথ্য তাদের কাছে নেই। অভিযোগকারীরা সুনির্দিষ্ট তথ্যসহ লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযোগকারীরা লিখিত কিছু না দিয়েই এ সময় একজন আসামিকে তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার করতে বলেন এবং উত্তেজিত কণ্ঠে দাবি করেন— “এখনই গ্রেপ্তার করতে হবে, না হলে গর্জনিয়া ছেড়ে চলে যান।” তারা আরও অভিযোগ করেন, “এলাকায় ডেভিল এবং বড় বড় রাজনৈতিক নেতারা বুক ফুলিয়ে হাঁটছে, পুলিশ তাদের ধরছে না।”
কে এই চার ছাত্র প্রতিনিধি:
ফাঁড়িতে গিয়ে হুমকি দেওয়া এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়া চার ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে পুলিশ সাধারণ ডায়েরি করেছেন। তারা হলেন, কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড এর সালেহ আহমদের ছেলে নজরুল ইসলাম (এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক পরিচয় দেন), একই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের দুচরি এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে নাহিদুল ইসলাম, ৬নং ওয়ার্ডের চাটমারকাটা ইসমাইলের ছেলে তৌসিফ এবং ৭ নং ওয়ার্ডের হাজিরপাড়ার সাব্বির আহমেদর ছেলে সাইফুদ্দিন। তাদের মধ্যে নজরুল ইসলাম পুলিশের প্রতি উগ্র আচরণ ও হুমকি প্রদান করেন বলে অভিযোগে জানা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা যা বলছেন:
ঘটনার সময় পুলিশ ইনচার্জের কক্ষে প্রবেশ করেন স্থানীয় ব্যক্তি ও “দৈনিক খোলা কাগজ”পত্রিকার কক্সবাজার প্রতিনিধি মোঃ নিজাম উদ্দিন। যিনি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। এছাড়াও আরও কয়েকজন এলাকার সচেতন ব্যক্তি ঘটনার সময় সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তারা জানান, এ ধরনের আচরণ শুধু অশোভনই নয়, আইন ও প্রশাসনের প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জ।
অনলাইন প্রপাগান্ডা ও পাল্টা অভিযোগ:
এ দিকে ঘটনার পর, অভিযুক্তরা পুলিশের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অনলাইন পোর্টালে মিথ্যা প্রচার শুরু করেছেন অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। পুলিশ দাবি করেছে, এসব প্রচার আসল ঘটনা আড়াল করে নিজেদের দোষ ঢাকতে চালানো হচ্ছে। এ বিষয়ে পুলিশ ইনচার্জ একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। এতে উপস্থিত ব্যক্তিদের নাম ও বক্তব্যসহ বিস্তারিত বিবরণ উল্লেখ করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত হলে আসল চিত্র বেরিয়ে আসবে।
স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা বলছেন এ ধরনের রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হুমকি দেয়া হলে প্রশাসন কার্যকরভাবে কাজ করতে পারবে না। রাজনৈতিক নেতা কীভাবে একটি সরকারি অফিসে ঢুকে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে হুমকি দেন? এ বিষয়ে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
পুলিশ বাহিনীতে অসন্তোষ:
এ ঘটনায় পুলিশ বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। তারা বলছে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এ ধরনের আচরণের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিতে হবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।