কক্সবাজার হোটেল-মোটেল জোনের সী ওয়েলকাম রিসোর্ট থেকে বিপুল পরিমাণ নকল যৌন উত্তেজক ওষুধসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা থেকে থেকে সোয়া সাতটা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে অবৈধ এসব ওষুধ জব্দ করা হয়। এসময় জব্দ করা হয়েছে রোগ নির্ণয়কারি মেশিন ও ল্যাপটপও। কক্সবাজার সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মানস বড়ুয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে সী ওয়েলকাম রিসোর্টের নিচের গুদাম ঘর থেকে এসব ওষুধ জব্দ করেন। এসময় বিক্রি ও বিপণনে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো- নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ নতুনবাজার এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে মো: ইমন (১৮), টেকের বাজার এলাকার আমজাদ হোসেন দিদার (২০) ও কবিরহাট এলাকার মো: ইয়াছিন(৩২)। সী ওয়েলকামের ৩/৪/৫ তলা ভাড়া নেয়া মালিক নুর মোহাম্মদ জানান, গত বছর দেড় এক আগে শিহাব উল্লাহ্ নামে নোয়াখালীর বাসিন্দা আমেরিকা প্রবাাসি হোটেলটি ভাড়া নেন। হোটেল সী ওয়েলকামের মালিক বদরুল হাসান মিল্কী জানান, নোয়াখালী শিহাব উল্লাহ নামক এক প্রবাসি ব্যক্তিকে রিসোর্টটি ৩ বছরের জন্য ভাড়া দিয়েছেন। ভাড়া নেয়ার পর কিছুদিন ভাল মতে হোটেল চালালেও সম্প্রতি শিহাব শর্ত ভঙ্গ করে মালয়েশিয়ার কে-লিংক ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি কোম্পানির বাংলাদেশী পরিবেশক হিসেবে যৌন উত্তেজক ওষুধের ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জানতে পেরে তিনি তাকে অবৈধ ব্যবসা বন্ধের তাগিদ দিতে থাকেন। কিন্তু শিহাব মিল্কির কথা আমলে নেয়নি। নিষেধ করা হলেও অবৈধ ব্যবসা ও অপকর্ম অব্যহত রাখায় গত সপ্তাহে পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দেয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে শনিবার সন্ধ্যার পূর্বে অভিযানে যায় পুলিশ। জব্দকারি কর্মকর্তা এস আই নাজির হোসেন জানান, মোট ২৪ বক্স বিভিন্ন ওষুধ জব্দ করা হয়। সাথে জব্দ করা হয়েছে রোগ নির্ণয়কারি হিসেবে পরিচয় দেয়া মেশিন, ল্যাপটপও। কক্সবাজার থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। কাগজপত্র পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।