৩০ এপ্রিল, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ, ১৪৩২ | ১ জিলকদ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ এপ্রিল   ●  লুৎফুর রহমান কাজলের মা সাবেক এমপি সালেহা খানমের ইন্তেকাল করেছেন   ●  টেকনাফে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১   ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার

করোনাভাইরাস: সংক্রমণ রোধে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে?

বিবিসি বাংলাঃ বাংলাদেশে সরকারের পক্ষ থেকে বুধবার জানানো হয়েছে যে দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ৫৫টি জেলাতেই কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে।

বুধবার পর্যন্ত বাংলাদেশে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৩,৭৭২ জন। মারা গেছে ১২০ জন।

এর মধ্যে কক্সবাজারে শনাক্ত হয়েছেন পাঁচ জন।

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ক্যাম্পগুলোতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে সেখানে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে শুরু থেকেইে। এখন কক্সবাজারে কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হওয়ায় ঐ আশঙ্কা আরো ঘনীভূত হচ্ছে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কী পরিস্থিতি?

কক্সবাজারে শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে এই মূহুর্তে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাস করছে।

সেখানে ক্যাম্পগুলোতে অপরিসর ঘরে রোহিঙ্গাদের গাদাগাদি করে থাকা এবং ভেতরকার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিয়ে এর আগে জাতিসংঘসহ বহু আন্তর্জাতিক সংস্থা উদ্বেগ জানিয়েছে।

উখিয়া ক্যাম্পের একজন বাসিন্দা মরিয়ম বানু বলছিলেন, “কেবল ঘরই ছোট তা নয়, অনেকগুলো পরিবার মিলে একটা টয়লেটে যেতে হয়। তাছাড়া খাবার পানির জন্যও লাইন দিতে হয়। কারণ একটা টিউবওয়েলের পানি ব্যবহার করে ৫০টি ঘরের মানুষ।”

কক্সবাজার জেলায় এ পর্যন্ত মোট পাঁচজন মানুষ কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হলেও, এখনো সেখানে রোহিঙ্গা কেউ আক্রান্ত হননি।

কিন্তু মরিয়ম বানুর আশঙ্কা একজন কেউ আক্রান্ত হলে দ্রুতই সেটা ছড়িয়ে পড়বে।

যদিও সতর্ক থাকার জন্য কী করতে হবে তা নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদেরকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে, তবু তিন সন্তানের মা মরিয়ম বানু তার পরিবার নিয়ে উদ্বেগে আছেন।

তাছাড়া এই ভাইরাস যেহেতু সাধারণ ফ্লু বা ঠাণ্ডা লাগার মতো করেই হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়ায়, সে কারণে কক্সবাজারে শরণার্থী ক্যাম্পগুলোর বাসিন্দাদের সুরক্ষা নিয়ে ভাবনা বাড়ছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।