২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ১১ পৌষ, ১৪৩২ | ৫ রজব, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  গ্রামে গ্রামে আনন্দের স্রোত   ●  সিবিআইউ’র আইন বিভাগের ১৭তম ব্যাচের বিদায় অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  ক্ষোভ থেকে হত্যার ছক আঁকেন অপরাধী চক্র   ●  রামুর ধোয়াপালংয়ে পোল্ট্রি ব্যবসায়ী অপহরণ : ৩ লাখ টাকা ও মোবাইল লুট   ●  খুনিয়াপালংয়ে বিএনপি সভাপতির সহযোগিতায় শতবর্ষী কবরস্থান দখলের পাঁয়তারা   ●  কক্সবাজার শত্রুমুক্ত দিবস ১২ ডিসেম্বর   ●  বৌদ্ধ সমিতি কক্সবাজার জেলা কমিটি গঠন সভাপতি অনিল, সম্পাদক সুজন   ●  সভাপতি পদে এগিয়ে ছাতা প্রতিকের প্রার্থী জয়নাল আবেদিন কনট্রাক্টর   ●  প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে উখিয়ার নুরুল হকের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা   ●  ইয়াবার কথোপকথন ভাইরাল হওয়া ডালিম এখনো অধরা

কক্সবাজারের সাবেক এডিসি জাফর আলম গ্রেফতার

 

মহেশখালীতে বাস্তবায়নাধীন মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে দূর্নীতির অভিযোগে কক্সবাজারের সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জাফর আলমকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওএসডি থাকা এ কর্মকর্তাকে (সোমবার) বিকালে ঢাকার সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেন দুদকের সহকারী পরিচালক শহীদুল ইসলাম সরকার।
মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের ক্ষতিপূরণের ২০ কোটি টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাতের মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ সংক্রান্ত মামলায় এনিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করা হল।
এর আগে গত ৩ এপ্রিল দুদক টিম কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের এলএ শাখার সাবেক উচ্চমান সহকারী আবুল কাশেম মজুমদার, অ্যাডভোকেট নুর মোহাম্মদ সিকদার ও কক্সবাজারের সাবেক সার্ভেয়ার ফখরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে।
তবে মামলার প্রধান আসামি ও কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের জন্য জামিন পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা জমির বিপরীতে ভুয়া মালিকানা তৈরি করে ক্ষতিপূরণের প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় মামলা করে দুদক।
আলোচিত এ মামলায় তদন্ত শেষে কক্সবাজারের তৎকালীন জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, সার্ভেয়ার কানুনগোসহ ১৩ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ২৩ জন স্থানীয় বাসিন্দাসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের উপ-পরিচালক সৈয়দ আহমেদ রাসেল জানান, ৩ মে কক্সবাজার জেলা জজ আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তা আরো বলেন, মহেশখালীর কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের আওতায় অধিগ্রহণ করা জমির বিপরীতে ২৩৭ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হয়। এর মাঝে ২৫টি অস্তিত্বহীন চিংড়ি ঘের দেখিয়ে ৪৬ কোটি ২৪ লাখ ৩ হাজার ৩২০ টাকা ক্ষতিপূরণ নিজেদের করায়ত্তে নেয় কক্সবাজার ভূমি অধিগ্রহণ শাখার উচ্চমান সহকারী আবুল কাশেম মজুমদারের নেতৃত্বে ৩৬ জনের একটি সিন্ডিকেট।
এ থেকে কৌশলে তারা ১৯ কোটি ৮২ লাখ ৮ হাজার ৩১৫ টাকা তুলে নেয়। বাকি টাকার জন্য ইস্যু করা হয়েছিল আরও পাঁচটি চেক। তবে অভিযোগ উঠার পর পাঁচটি চেকের আওতায় নির্ধারিত ক্ষতিপূরণের বাকি টাকা আটকে দেয়া হয়।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।