কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওর কালিরছড়ায় পাহাড়ের মাটিচাপায় এক যুবক নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও দুই শ্রমিক।
পাহাড়ের পাদদেশ থেকে ড্রেজারে বালি তুলতে গিয়ে বুধবার দুপুর ১টার দিকে পূর্ব শিয়াপাড়াতে এ ঘটনা ঘটে।
ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. খায়রুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত নুরুচ্ছফা (২৭) কালিরছড়া শিয়াপাড়ার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে। আহতরা হলেন, একই এলাকার রমিজ আহমদের ছেলে নুরুল আবছার (৩০) ও পার্শ্ববর্তী গ্রামের আমান উল্লাহের ছেলে নুরুল হুদা (৩৫)। তাদের ঈদগাঁও হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. খায়রুজ্জামান বলেন, কালিরছড়া শিয়াপাড়ার মৃত শামশুল আলমের ছেলে জসিম উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব শিয়াপাড়ায় পাহাড়ের পাদদেশে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে আসছিল। বুধবার তার মহালে শ্রমিক হিসেবে সকালে বালি তুলতে যায় হতাহতরা।
দুপুরের দিকে হঠাৎ পাহাড়ের মাটি ধসে তারা তিনজন চাপা পড়েন। পাহাড় ধসের শব্দে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে কয়েক ঘণ্টা চেষ্টার পর মাটির ভেতর থেকে নুুরুচ্ছফাকে মৃত ও বাকিদের জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কক্সবাজার দমকল বাহিনীর সদস্যরা।
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের মেহেরঘোনা রেঞ্জ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) একেএম আতা এলাহী বলেন, ধসে পড়া পাহাড়টি কালিরছড়া বনবিটের আওতাধীন। সেখান থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের বিষয়টি নিয়ে জসিম উদ্দিনসহ তার গ্রুপের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করা হয়েছে।
মাস তিনেক আগে নতুন একটি মামলার পর কিছু দিন বালি উত্তোলন বন্ধ থাকলেও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তারা আবার বালি উত্তোলন শুরু করেছে। বুধবারের ঘটনা প্রকৃতির প্রতিশোধ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে, মৃত্যুর বিষয়ে নুরুচ্ছফার পরিবার কোনো অভিযোগ না করায় প্রশাসনিক অনুমতি সাপেক্ষে তার মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. খায়রুজ্জামান।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।