২ অক্টোবর, ২০২৫ | ১৭ আশ্বিন, ১৪৩২ | ৯ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন

কক্সবাজারে এখনো নিখোঁজ দেড় শতাধিক জেলে

কক্সবাজারে ঘূর্ণিঝড় মোরার তাণ্ডবে ১১টি মাছ ধরার ট্রলারসহ দেড় শতাধিক জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছে। বোট মালিক সমিতি এবং কোস্টগার্ড নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে।

বুধবার রাতে কুতুবদিয়ার পশ্চিম সাগর থেকে নৌবাহিনী এবং ফিশিং বোটের লোকজন ২৫ জেলেকে উদ্ধার করেছে। তবে নিখোঁজের বিষয়ে কোনো তথ্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নেই বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাজি আব্দুর রহমান।

সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার ভোর থেকে শুরু হওয়া ঘূর্ণিঝড় মোরার তাণ্ডবে কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় ১১টি মাছ ধরার ট্রলার নিখোঁজ রয়েছে। এসব ট্রলারে অন্তত দেড় শাতাধিক জেলে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বোট মালিক সমিতি।

তবে বুধবার রাতে কুতুবদিয়ার পশ্চিম বঙ্গোপসাগর থেকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর (জাহাজ খাদেম) সদস্যরা ২০ জেলেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে। এসময় আরো পাঁচ জেলেকে ফিশিং বোটের লোকজন উদ্ধার করেছে।

নিখোঁজ বোটগুলোর মধ্যে মহেশখালীর আব্দুর শুক্কুর কমিশনারের মালিকানাধীন এফবি ওয়ালিদ নামে ২টি এবং এফবি সায়েদ নামে ১টি, খোরশেদের মালিকানাধীন এফবি মিতালি, মহেশখালীর পুটিবিলা এলাকার বাঁশি মাঝির ১টি। এছাড়া সদর উপজেলার খুরুশকূল মামুন পাড়ার লুলাইয়া বহদ্দারের ২টি বড়শি বোট নিখোঁজ রয়েছে।

কুতুবদিয়া উপজেলায় ৪টি বোট নিখোঁজ রয়েছে। তবে এসব ট্রলারের মালিকানা নিশ্চিত করতে পারেনি উপজেলা প্রশাসন।

আব্দুর শুক্কুর নামে একজন বোট মালিক জানান, ঘূর্ণিঝড় শুরুর ৩দিন আগে তার মালিকানাধীন ৩টি নৌকা নিয়ে ৬১ জন মাঝিমাল্লা সাগরে মাছ ধরতে যায়। এখনো তাদের কোনো খোঁজ খবর নেই। নিখোঁজ জেলেদের সন্ধান ও উদ্ধারের জন্য স্ব-উদ্যোগে সাগরে একটি ট্রলার পাঠানোর কথা জানিয়েছে তিনি।

এদিকে বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টায় কক্সবাজার বোট মালিক সমিতির এক সভায় জানানো হয়- এ পর্যন্ত তাদের সমিতিভুক্ত ৪টি নৌকা নিখোঁজ রয়েছে। এছাড়া সমিতির বাইরে ২টি বড়শি বোটও নিখোঁজ রয়েছে।

এ ব্যাপারে সমিতির তত্ত্বাবধায়নে বোট মালিক পক্ষ থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হবে বলে জানিয়েছেন বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।

তিনি জানান, আমাদের সমিতিভূক্ত যেসব নৌকা রয়েছে সেখানে ৪টি নৌকা নিখোঁজের খবর আমরা জানতে পেরেছি। তবে এখনো নিহতের কোনো খবরা-খবর আমাদের কাছে নেই। আমরা প্রশাসনের সহযোগিতায় নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

কোস্টগার্ড কক্সবাজার স্টেশনের কন্টিজেন্ট কমান্ডার নয়ন বড়ুয়া বলেন, আমাদের কাছে নিখোঁজের কোনো তথ্য নেই। তবে শতভাগ নিশ্চিত হতে চট্টগ্রাম থেকে ২টি নৌবাহিনীর জাহাজ কক্সবাজারের উপকূলে টহলে আসবে। ভাসমান নৌকা কিংবা জেলে উদ্ধারের জন্য কাজ করবে তারা।

কুতুবদিয়া উপজেলা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে কুতুবদিয়ার পশ্চিম সাগর থেকে নৌবাহিনীর সদস্যরা ২০ জন জেলে এবং ফিশিং বোটের সদস্যরা পাঁচজন জেলেকে উদ্ধার করছে। এদের মধ্যে ২০ জন কুতুবদিয়ার অন্য পাঁচজন চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বাসিন্দা বলে জানানো হয়।

কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন চৌধুরী বলেন, বুধবার রাতে কুতুবদিয়ার পশ্চিম সাগর থেকে বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং ফিশিং বোট লোকজন ২৫ মাঝিমাল্লাকে উদ্ধার করে। তারমধ্যে দুইজন বাঁশখালী এলাকার এবং বাকি ২৩ জন কুতুবদিয়া এলাকার বাসিন্দা। তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

স্থানীয় জেলেদের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, কুতুবদিয়া উপজেলার ৪টি নৌকা নিখোঁজ রয়েছে।

কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাজি আব্দুর রহমান বলেন, যতজন জেলে নিখোঁজ ছিল তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। এখন আর কোনো নিখোঁজের তথ্য আমাদের কাছে নেই। তারপরও আমরা খবর পেলে দ্রুত উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাব।

সূত্র- যুগান্তর

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।