২১ আগস্ট, ২০২৫ | ৬ ভাদ্র, ১৪৩২ | ২৬ সফর, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ   ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!   ●  কক্সবাজারে ঝটিকা মিছিলে ঘুম ভাঙলো পুলিশের, গ্রেফতার ৫৫   ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন

কক্সবাজারে উচ্ছেদ অভিযান, দখলমুক্ত হল ৫০ শতক খাস জমি

কক্সবাজার সৈকতের লাবনী পয়েন্টের দক্ষিন-পূর্বে অবস্হিত হোটেল সী-গাল’র গেইট অথবা বাউন্ডারী এলাকায় কেউ দাঁড়ালেই তেড়ে এসে কৈফিয়ত চাইত সিকিউরিটি গার্ডরা। এমন কি হোটেল বরাবর সমুদ্র সৈকতে কেউ হাঁটলেও এরা বিভিন্ন সময় বাধা দিত। এটা নাকি সী-গাল বীচ (?), তাই তাদের বোর্ডার ছাড়া আর কেউ ওখানে হাটতেও পারবেনা, এটাই নাকি ম্যানেজম্যান্টের নির্দেশ !! এ অবস্হাই চলে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু খোদ হোটেল বাউন্ডারীর ভিতরেই অবৈধ দখলে ছিল ৫০ শতক মূল্যবান খাস জমি। অবৈধ দখলে থাকা বিশালাকার এ খাস জমি উদ্ধারে জেলা প্রশাসন অভিযান শুরু করলে ফাঁস হয় সব গোমর।
জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ১৯ এপ্রিল (বুধবার) সকাল ১০ টায় শুরু হওয়া এ উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নজরুল ইসলাম ও সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) পংকজ বড়ুয়া। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, অভিযান শুরু হতেই তৎপর হয়ে উঠে হোটেল ম্যানেজমেন্ট। বিভিন্ন প্রভাবশালী মহলকে ব্যবহার করে অভিযান বাঁধাগ্রস্হ করার চেষ্টা করেন তারা। কিন্তু সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনমনীয় মনোভাবের ফলে উচ্ছেদ অব্যাহত থাকে।


সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার কামরুজ্জামান সোহাগ জানান, সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন সরকারী ১ নং খাস খতিয়ানভূক্ত ১০০ শতক (এক একর) খাস জমি দীর্ঘদিন জবর দখলে রেখেছিল হোটেল সী-গাল, প্রসাদ প্যারাডাইস ও তরঙ্গ রেস্তোরাসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে হোটেল সী-গাল’র সীমানা প্রাচীরের ভিতরে থাকা ৫০ শতক জমির অবৈধ স্হাপনা উচ্ছেদ করে পিলার ও কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরে নিয়ন্ত্রনে নেয়া হয়েছে। হোটেলের পূর্বদিকের গেইট, সীমানা প্রাচীর ও সংলগ্ন অন্যান্য স্হাপনা এসময় উচ্ছেদ করা হয়। সদর মডেল থানার পুলিশ ফোর্স ও কক্সবাজারস্হ ১৫ আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যরা অভিযানে সহায়তা করেন। সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) পংকজ বড়ুয়া জানান, অবৈধ দখলে থাকা অন্যান্য খাস জমি উদ্ধারেও পর্যায়ক্রমে অভিযান চালানো হবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।