২৫ অক্টোবর, ২০২৫ | ৯ কার্তিক, ১৪৩২ | ২ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ

কক্সবাজার সৈকতে দর্শনার্থীর ব্যাপক সমাগম

ঈদের ছুটিতে পরিবার নিয়ে ঢাকা থেকে কক্সবাজার বেড়াতে এসেছেন তারিকুল ইসলাম। ব্যাংক কর্মকর্তা তারিকুলের সঙ্গে রয়েছেন স্ত্রী সানজিদা ইসলাম ও একমাত্র সন্তান ছেলে সানজামুল ইসলাম।
মঙ্গলবার বিকেলে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে দাঁড়িয়ে তারিকুল বলেন, তাদের দীর্ঘ দিনের ইচ্ছা বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, রামু বৌদ্ধ বিহার, পাথুরে সৈকত ইনানী ও হিমছড়িতে ঘুরে বেড়াবেন। তাই এবারের ঈদের ছুটিতে কক্সবাজার ছুটে এসেছেন।
শুধু তারিকুল নন, তার মতো অসংখ্য পর্যটক এবার ঈদের ছুটিতে বেড়াতে এসেছেন পর্যটন শহর কক্সবাজারে। মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা, সী-গাল, কলাতলী, দরিয়ানগর, হিমছড়ি ও ইনানী সৈকতে ছিল পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়। আগামী শনিবার পর্যন্ত এই রকম দৃশ্য থাকবে বলে মনে করছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ। তাদের দেওয়া তথ্যমতে, ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছেন দুই লাখের অধিক পর্যটক।
সরেজমিন দেখা যায়, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে এখন ভিড় করেছেন লাখো পর্যটক। কোথাও যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। সৈকতের প্রতিটি পয়েন্টে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়। নগর জীবনের যান্ত্রিকতা থেকে দূরে সাগর সৈকতের জলরাশিতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন এ সকল ভ্রমণ পিপাসুরা। আর এ আনন্দঘন মুহূর্ত ক্যামেরায় বন্দি করতে ব্যস্ত অনেকেই।
পর্যটকেরা বেশি ভিড় করেছেন সৈকতের সুগন্ধা, লাবণী ও কলাতলী পয়েন্টে। এরপরই পর্যটকদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে হিমছড়ি ও পাথুরে সৈকত ইনানীতে। প্রতিটি পর্যটন স্পটে পর্যটকেরা নিজেদের সাধ্যমতো আনন্দ উপভোগ করার চেষ্টা করছেন। সমুদ্র সৈকতে গোসলের পাশাপাশি হিমছড়ি ঝর্ণা, পাহাড়ের উপর থেকে সৈকত ও মেরিন ড্রাইভ সড়কের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হচ্ছেন পর্যটকেরা।
বন্ধুবান্ধব নিয়ে বেড়াতে আসা সাকিবুর রহমান বলেন, ঈদের ছুটিতে কক্সবাজার ভ্রমণ অন্য রকম আনন্দের। তাই সবার সঙ্গে কক্সবাজার সৈকতে গোসল ও ঘুরে বেড়ানোর জন্য ছুটে আসা।
বেড়াতে আসা ডা. শিরিন আখতার বলেন, সমুদ্র সৈকতের কাছে নিরিবিলি জায়গায় পরিবারের সঙ্গে একান্ত কিছু মুহূর্ত কাটানো খুবই প্রয়োজন মানুষের, তাই ঈদের ছুটিতে কক্সবাজার আসা। খুবই মজা হচ্ছে, আর ঈদ ঈদ আমেজ থাকায় ঈদের ছুটি কক্সবাজারে খুবই ভালো কাটছে।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজলে রাব্বী বলেন, এবারের ঈদে ধারণার চেয়ে বেশি পর্যটক আগমন ঘটেছে। ফলে পুলিশের দায়িত্ব পালনেও হিমশিম খেতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, আগামী কয়েক দিনে প্রচুরসংখ্যক পর্যটক আসবেন বলে তাদের ধারণা। সেই অনুযায়ী পর্যটন স্পটগুলোতে নিরাপত্তাসহ পর্যটনবান্ধব পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। এবারের ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে পাঁচ লাখের অধিক পর্যটকের সমাগম ঘটবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।