১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ১ পৌষ, ১৪৩২ | ২৪ জমাদিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  খুনিয়াপালংয়ে বিএনপি সভাপতির সহযোগিতায় শতবর্ষী কবরস্থান দখলের পাঁয়তারা   ●  কক্সবাজার শত্রুমুক্ত দিবস ১২ ডিসেম্বর   ●  বৌদ্ধ সমিতি কক্সবাজার জেলা কমিটি গঠন সভাপতি অনিল, সম্পাদক সুজন   ●  সভাপতি পদে এগিয়ে ছাতা প্রতিকের প্রার্থী জয়নাল আবেদিন কনট্রাক্টর   ●  প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে উখিয়ার নুরুল হকের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা   ●  ইয়াবার কথোপকথন ভাইরাল হওয়া ডালিম এখনো অধরা   ●  বৃত্তি পরীক্ষায় বিশেষ গ্রেড পেল খরুলিয়ার রোহান   ●  মরিচ্যা চেকপোস্টে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ ভুয়া নৌবাহিনী সদস্য আটক   ●  উখিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার আবুল কাশেমের ইন্তেকাল   ●  উখিয়ায় নিখোঁজের ৪দিনেও সন্ধান মেলেনি শিশু নুরশেদের

কক্সবাজার সাগরে দীর্ঘ ৬৫ দিন পর নিষেধাজ্ঞা উঠলো, মৎস্য শিকারের জন্য প্রস্তুত ট্রলার

ওসমান আল হুমাম:
আজ বৃহস্পতিবার রাত ১০ টা থেকে বঙ্গোপসাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা শেষ হয়ে যাচ্ছে। এতে করে মহাখুশি সাগর উপকূলে হাজার হাজার মৎস্যজীবী মানুষ। তাই আজ থেকেই সাগরে মাছ শিকারের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে শত শত নৌযান।
এতে করে জেলে পাড়াতে খুশির ফোয়ারা বিরাজ করছে।

সরকার মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে গত ২০মে থেকে ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধে সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কক্সবাজার সাগর, ও আশেপাশে বড় বড় নদীতে । আজ বৃহস্পতিবার ২৩ জুলাই ফের চালু হচ্ছে মৎস্য শিকার।

একজন জেলে জানান, সরকারি নিষেধাজ্ঞা আমরা পালন করেছি। দীর্ঘদিন ধরে সমুদ্রে যায়নি, অনেকের খুব কষ্টে দিন কেটেছে, তার উপর করোনা দূর্যোগ। সব মিলিয়ে অনেক দুঃখ-কষ্টে পরিবার পরিজন নিয়ে দিন যাপন করতে হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) দুপুরে কক্সবাজার ফিশারি ঘাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র দেখা গেছে শত শত ফিশিংবোট সাগরে মাছ শিকারে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করেছেন বোট মালিক ও জেলেরা।

আরো জানান, আজ রাত থেকে আমরা মাছ শিকারে বের জেলারা। দীর্ঘ দিন শেষে সাগরে শিকারে যাচ্ছি খুব খুশিও লাগছে।

কক্সবাজার মৎস্য কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক জনাব আবু জানান, দীর্ঘদিন ধরে মৎস শিকার বন্ধ থাকায় অনেকে হতাশা ও কষ্টে দিন যাপন করতে হয়েছিল, এখন তা দূর হবে।

কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো খালেকুজ্জামান জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে মাঝি-মাল্লারা মাছ শিকারে যেতে পারবেন।

কয়েকজন বোট মালিক জানান নিষেধাজ্ঞা ও করোনা লকডাউন সময়ে জেলেদের ভরন পোষনের জন্য তাদের অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। আল্লাহর উপর ভরসা করে বৃহস্পতিবার রাতেই তারা সাগরে বোট পাঠাবেন মাছ শিকারের জন্য।

এ বিষয়ে মৎস বিশেষজ্ঞরা বলেন, সাগরে মৎস্য শিকারে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বাংলাদেশ-ভারত- মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের সাথে যৌথ সিদ্ধান্তে নেয়া দরকার। তা না হলে আমাদের নিষেধাজ্ঞার সময় তারা মাছ শিকার করে নিলে কিছুই করার থাকেনা।

কক্সবাজার সাগর উপকূলে পাঁচ সহস্রাধিক জেলের সাথে তিন লক্ষাধিক সাগর উপকূলের মানুষ মৎস্য নির্ভর। লকডাউন ও নিষেধাজ্ঞার সময় তাদের ব্যাপক ভোগান্তি হয়েছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।