১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ৪ পৌষ, ১৪৩২ | ২৭ জমাদিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  রামুর ধোয়াপালংয়ে পোল্ট্রি ব্যবসায়ী অপহরণ : ৩ লাখ টাকা ও মোবাইল লুট   ●  খুনিয়াপালংয়ে বিএনপি সভাপতির সহযোগিতায় শতবর্ষী কবরস্থান দখলের পাঁয়তারা   ●  কক্সবাজার শত্রুমুক্ত দিবস ১২ ডিসেম্বর   ●  বৌদ্ধ সমিতি কক্সবাজার জেলা কমিটি গঠন সভাপতি অনিল, সম্পাদক সুজন   ●  সভাপতি পদে এগিয়ে ছাতা প্রতিকের প্রার্থী জয়নাল আবেদিন কনট্রাক্টর   ●  প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে উখিয়ার নুরুল হকের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা   ●  ইয়াবার কথোপকথন ভাইরাল হওয়া ডালিম এখনো অধরা   ●  বৃত্তি পরীক্ষায় বিশেষ গ্রেড পেল খরুলিয়ার রোহান   ●  মরিচ্যা চেকপোস্টে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ ভুয়া নৌবাহিনী সদস্য আটক   ●  উখিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার আবুল কাশেমের ইন্তেকাল

উখিয়ায় পাষন্ডের কান্ড: মায়ের কপালে ৪ সেলাই, গুরুতর আহত ছোটভাই !

উখিয়ায় গর্ভধারিনী মা ও আপন ছোট ভাইকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছে মাহমুদুল হক নামের এক পাষন্ড। হলদিয়া ইউনিয়নের রুমখাঁ মৌলভী পাড়ায় পরিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সংঘটিত এ হামলায় তার দুই শ্যালকও অংশ নেয়। হামলায় গুরুতর আহত মা ও ছেলে আবদুল হক (২৬) কক্সবাজার সদর হাসপাতালের সার্জারী ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।


চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ফাইনাল পরীক্ষা দিয়ে বাড়ীতে আসা ভিকটিম আবদুল হক সাংবাদিকদের জানান, তাদের বয়োঃবৃদ্ধ পিতা জাবের হোসাইন বছরাধিক কাল আগে থেকে স্ট্রোক করে অসুস্হ অবস্হায় বাড়ীতে আছেন। বড়ছেলে মাহমুদুল হক (৩২) প্রায়ই সম্পত্তি ভাগ করে দেয়ার জন্য বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে চাপপ্রয়োগ ও গালিগালাজ করত। এ নিয়ে সংসারে অশান্তি লেগেই থাকত। গতরাতে আবদুল হক চট্টগ্রাম থেকে বাড়ীতে এসে এর প্রতিবাদ করলে দু ভাইয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও কথা কাটাকাটি হয়। এরপর বড় ভাই মাহমুদুল হক পার্শ্ববর্তী তার শশুর বাড়ী থেকে দুই শ্যালক মোঃ আলম ও খোরশেদ আলমকে ডেকে এনে ছোটভাই মাহমুদুল হকের উপর চড়াও হয়। তখন তাদের মা এসে ঝগড়া করতে নিষেধ করলে একপর্যায়ে মা-ছেলে উভয়কে লোহার টর্চলাইট দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। তিনজনের সম্মিলিত মারধরে মা ও ছেলের সারা শরীর গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়। আঘাতে মায়ের কপাল কেটে গেলে ৪ টি সেলাই করতে হয় ও ছেলে আবদুল হকের ঘাড়, মাথা ও বামকানে গুরুতর জখম হয়। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। আহত বৃদ্ধা মা ও ছেলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের সার্জারী ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।