১৬ জুন, ২০২৫ | ২ আষাঢ়, ১৪৩২ | ১৯ জিলহজ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  উৎসবমুখর পরিবেশে সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার’র নির্বাচন সম্পন্ন   ●  যুক্তরাষ্ট্রের জুরি বোর্ডের সদস্য হলেন চৌধুরী কন্যা স্বর্ণা   ●  ভিজিএফ চালের অনিয়ম’ নিয়ে সংবাদ – চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা   ●  শিক্ষার ফেরিওয়ালা মরহুম জালাল আহমদ চৌধুরীর ১৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  বিয়ের তিন মাসেই সড়কে প্রাণ গেল হলদিয়ার জুনাইদের   ●  চুনোপুঁটি ধরলেও অধরা রাঘববোয়ালরা   ●  তরুণ সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ সোহরাব হোসেন ডলার: এক প্রতিশ্রুতিশীল পথচলা   ●  উখিয়ার প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী ফরিদ আহম্মদ চৌধুরীর ৬ষ্ট মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  কক্সবাজার জেলা বিএনপির সদস্য সিরাজুল হক ডালিম’র সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

উখিয়ার পালং উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্র-অভিভাবক লাঞ্চিত ও হামলার ঘটনায় তদন্ত শুরু

উখিয়ার পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের বির্তকিত প্রধান শিক্ষক মোঃ নূরুল হকের বিরুদ্ধে ছাত্রের সাথে অনৈতিক আচরণ এবং ছাত্রের অভিভাবককে মারধর ও নাজেহালের ঘটনার অভিযোগে অবশেষে নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রধান শিক্ষক নূরুল হক পালং উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের শেষ নেই। তার প্ররোচনায় বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি, ছাত্র-ছাত্রীর সাথে অসৎ আচরণ, অভিভাবকদের মারধর সহ শিক্ষার পরিবেশ বিনিষ্টের এহেন অভিযোগ অহরহ। ইতিপূর্বে ছাত্র ছাত্রী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীরা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে। এছাড়া পূর্বেকার বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি বির্তকিত কর্মকান্ড ও ছাত্র বলৎকারে অভিযোগ সহ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ওই প্রধান শিক্ষক নূরুল হকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা রুজু করেন।
গত ৯ এপ্রিল বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী কামারিয়ার বিল গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে আনোয়ার ইসলামকে ১০ম শ্রেণীতে ভর্তির বিষয় নিয়ে প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ে গেলে ছাত্রের অভিভাবক ও নানা রশিদ আহমদকে প্রধান শিক্ষক নাজেহাল করে এবং মারধর করে অফিস থেকে বের করে দেয়। ঘটনার পর দিন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবকরা রাস্তায় দাঁিড়য়ে মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে প্রধান শিক্ষক নূরুল হকের অপসারণ ও শাস্তির দাবী করেন। প্রধান শিক্ষক কর্তৃক অভিভাবককে হামলার ঘটনায় ছাত্রের নানা রশিদ আহমদ বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উখিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনাটি সুষ্ট তদন্ত পূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিলে¬াল বিশ্বাস মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নিদের্শ প্রদান করেন। বিষয়টি তদন্তের জন্য গত ১১ মে পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রায়হানুল ইসলাম মিয়া।
অভিযোগ উঠেছে, সরকারী নিয়মনীতি ও বিধান উপেক্ষা করে দায়সারাভাবে তদন্ত কার্যক্রম চালায়। শিক্ষা কর্মকর্তা অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পরও বাদীর পক্ষের কোন বক্তব্য লিখিত ভাবে লিপিবদ্ধ না করে যেনতেন ভাবে লোক দেখানো সাক্ষ্য প্রমাণ নিয়ে উল্টো বাদীর পক্ষকে প্রধান শিক্ষকের সাথে আপোষ মিমাংসা করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। ছাত্রের অভিভাবক রশিদ আহমদ বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে নৈতিক সুবিধা নিয়ে তদন্ত কার্যক্রমকে ব্যাহত করার পাশাপাশি প্রধান শিক্ষকের অন্যায় কর্মকান্ডকে উৎসাহিত করে বাদীকে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রায়হানুল ইসলাম মিয়ার মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।