২০ আগস্ট, ২০২৫ | ৫ ভাদ্র, ১৪৩২ | ২৫ সফর, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ   ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!   ●  কক্সবাজারে ঝটিকা মিছিলে ঘুম ভাঙলো পুলিশের, গ্রেফতার ৫৫   ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন

ঈদগাঁওর হাসপাতালে ঔষুধ সংকট: রোগীরা বিপাকে

oshod
টানা হরতাল-অবরোধসহ নানা কারণে সরবরাহ না থাকায় ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে কক্সবাজার সদর উপজেলার সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কমিউনিটি ক্লিনিক গুলোতে। হর হামেশা  ওষুধ না পেয়ে রোগীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। গত শনিবার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা পোকখালী  এলাকার সাজেদা খাতুন জানান, ঈদগাঁও সরকারী হাসপাতাল থেকে তাঁকে ওষুধ দেওয়া হয়নি। একই অভিযোগ ইসলামপুরের গিয়াস উদ্দিনের। তিনি বলেন আগে হাসপাতাল থেকে যতটুকু ওষুধ পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন ওষুধ বাইরে থেকে কিনে নিতে।
কক্সবাজার জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কার্যালয় সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সদরে একটি সদর হাসপাতাল, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বেশ কয়েকটি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এগুলোতে বছরে প্রায় লাখ লাখ রোগী চিকিৎসা নিয়ে থাকে। হাসপাতালগুলোতে ভর্তি থাকে প্রায় কয়েক হাজার রোগী। রোগীদের জন্য বছরে প্রায় এক কোটি টাকার ওষুধ সরবরাহ করা হয় স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে। যেগুলোর মধ্যে রয়েছে প্যারাসিটামল, অ্যান্টাসিড, মেট্রোনিডাজল, পেনিসিলিন-ভি, ওমিপ্রাজল, টেট্রাসাইক্লিন।
কক্সবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের দেওয়া ওষুধ (এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড) কারখানা থেকে আনা হয় প্রতিবছর। পরে তাঁরা রোগীদের মধ্যে ওষুধ বিতরণ করেন। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তা আরও বলেন হরতাল আর অবরোধের মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে ঔষুধের গাড়ি আসছেনা। যার কারণে চলতি মাসের শুরু থেকে ওষুধের সংকট শুরু হয়েছে। তবে দ্রুত ওষুধ আনা যাবে বলে তিনি  আশা প্রকাশ করেন।
ঈদগাঁও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গুদামরক্ষক বলেন, সংকট শুরু হওয়ায় তাঁরা চাহিদার অর্ধেক ওষুধ রোগীদের মধ্যে সরবরাহ করছেন। প্যারাসিটামল, মেট্রোনিডাজলসহ কয়েকটি ওষুধ শেষ হয়ে গেছে। অনেক রোগী ওষুধ কম পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
কক্সবাজার সিভিল সার্জন জানিয়েছেন, এটাকে ঔষুধ সংকট বলা যাবে না। হাসপাতালগুলোতে কিছু ওষুধ না থাকায় তাঁরা সেগুলো দিতে পারছেন না।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।