
কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও থেকে জেলাশহরে যাত্রী বহনকারী মিনিবাস সার্ভিস “ঈদগাঁও লাইন” কর্তৃপক্ষের স্বেচ্ছাচারিতা ও যাত্রী হয়রানি চরম পর্যায়ে ঠেকেছে। গলাকাটা ভাড়া আদায়, থেমে থেমে যাত্রী উঠানামা করা ও যাত্রীবাহী গাড়ীতে পণ্য পরিবহনসহ এরা বিভিন্ন অনিয়ম করে আসলেও এসব যেন দেখার কেউ নেই।
২৮ জানুয়ারী (শনিবার) বিকাল ৪ টায় ঈদগাঁও থেকে কক্সবাজার আসার জন্য ঈদগাঁও লাইনে (গাড়ী নং কক্সবাজার-ছ- ১১-০০৪৬) উঠেন এক সাংবাদিক। গাড়ী ছাড়ার পর দেখা যায়, ডাইরেক্ট গাড়ী বলে যাত্রী তুললেও ছাড়ার পরপরই ইনডাইরেক্ট কারবার শুরু করে চালক-হেলপার। ঈদগাঁও গরুর বাজার ও কালিরছড়াসহ বিভিন্ন স্টেশনে থামার পর পানিরছড়ায় এসে গাড়ী অনেক্ষন দাঁড়িয়ে থাকার পর মুরগীর বিষ্ঠাপূর্ণ ৩ টি বড় বস্তা তুলে যাত্রীসিটের মাঝে রাখে। এতে দুর্গন্ধে যাত্রীদের নাভিশ্বাস উঠার উপক্রম হয়। এরপর কক্সবাজার পৌঁছা পর্যন্ত পথিমধ্যে অন্ততঃ আরো ২০ বার দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠানামা করে গাড়ির চালক-হেলপার। অবশেষে ঈদগাঁও টু কক্সবাজার ৪০ মিনিটের রাস্তা দেড় ঘন্টায় অতিক্রম করে সন্ধ্যার পরে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পৌঁছায় গাড়িটি। ডাইরেক্ট সার্ভিসের নামে ৩০ টাকার গলাকাটা ভাড়া আদায় করে এভাবেই যাত্রী ঠকানোর মহা কারবারে নেমেছে এরা। যাত্রীরা জানান, ঈদগাঁও লাইন সার্ভিসের প্রায় সব গাড়ীই লক্কর-ঝক্কর মুড়ির টিন মার্কা। ফিটনেস সার্টিফিকেট বিহীন এসব গাড়ী বিভিন্ন সময় মাঝপথেই আটকে গিয়ে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। একই অবস্হা উক্ত রুটে চলাচলকারী সী-লাইন সার্ভিসেরও। বৃহত্তর ঈদগাঁওর ৬ ইউনিয়নের যাত্রীদের জিম্মি করে মানহীন সার্ভিসে গলাকাটা ব্যাবসায় নেমেছে অসাধু কতিপয় পরিবহন ব্যবসায়ী।
উপরোক্ত ব্যাপারে ঈদগাঁও লাইন সার্ভিসের পরিচালক পরিচয়দানকারী অাবু তাহের বলেন, যাত্রী কম হলে পোষায়না, তাই লোকাল করা হয়। শনিবার গাড়ীতে তোলা বস্তাগুলো চালের বস্তা বলেও দাবী করেন তিনি।
২০২১ ফেব্রুয়ারি ০৮ ০৮:৩১:১১
২০২০ জুলাই ২৮ ০৬:০২:৪৫
২০২০ জুন ২৭ ১১:১৮:৫৪
২০২০ জুন ২২ ১২:৫৩:২৯
২০২০ মে ২৯ ০৫:৫৩:৩৫
২০২০ মে ০৯ ০১:০৫:২৩
২০২০ মে ০৭ ০৫:০৩:৩০
২০২০ মে ০৫ ১১:৫৩:৩৯
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।