৭ মে, ২০২৫ | ২৪ বৈশাখ, ১৪৩২ | ৮ জিলকদ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  উখিয়ার প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী ফরিদ আহম্মদ চৌধুরীর ৬ষ্ট মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  কক্সবাজার জেলা বিএনপির সদস্য সিরাজুল হক ডালিম’র সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  শ্রমিক দিবসে সামাজিক সংগঠন “মানুষ” এর ভিন্নধর্মী উদ্যোগ   ●  বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ এপ্রিল   ●  লুৎফুর রহমান কাজলের মা সাবেক এমপি সালেহা খানমের ইন্তেকাল করেছেন   ●  টেকনাফে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১   ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা

ইয়াবার টাকায় মাটির ঘরে রাজার বেশে বসবাস

পেশায় তিনি ইজিবাইক চালক। নাম সৈয়দ নূর (৩৬)। বসবাস কক্সবাজারের টেকনাফ থানার হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী গাজিপাড়ায়। মাটির ঘরে রোদ বৃষ্টি সামাল দিতে পলিথিন ঝুলিয়ে রাখা। সেই সৈয়দ নূর ইংরেজী নববর্ষে স্ত্রীকে দিয়েছেন ২২ ভরি ওজনের স্বর্ণের হার। যার দাম পড়েছে ১৪ লাখ টাকা। স্ত্রী প্রেমে ‘শাহজাহান’ বনে যাওয়া এ হতদরিদ্রের আসল চেহারা ধরা পড়েছে বৃহস্পতিবার পুলিশি অভিযানে। বিশাল ইয়াবা কারবারের হোতা তিনি। আলোচিত মাটির ঘরেই মিলেছে ১০ হাজার ইয়াবা।

সূত্র জানায়, দুই সপ্তাহ আগে টেকনাফে ইয়াবার বড় কারবারি নুর হাফেজ বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। সে সময় পাওয়া কিছু তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের নজর পড়ে স্থানীয় ইজিবাইক চালক সৈয়দ নুরের দিকে। তবে তিনি বড় মাপের ইয়াবা কারবারি এমন ধারনা মেলেনি। সৈয়দ নুর বসবাস করেন একটি ছোট্ট মাটির ভাঙ্গাচোরা ঘরে। কথিত শ্রমজীবির সেই মাটির ঘরেই সন্দেহবশত পুলিশ হানা দেয় বৃহস্পতিবার। ১০ হাজার ইয়াবার একটি বড় চালানসহ সৈয়দ নুরকে হাতেনাতে আটক করা হয়। এরপর ঘরের মালামাল তল্লাশি করতে গিয়ে পুলিশের নজরে আসে আকর্ষণীয় একটি স্বর্ণের হার।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সৈয়দ নুর জানান, ইংরেজী নববর্ষে স্ত্রীকে উপহার দিয়েছেন ২২ ভরি ওজনের স্বর্ণের হারটি। ঘরেই পাওয়া যায় স্বর্ণালঙ্কার কেনার রশিদ। মূল্যমান দেখা যায় ১৪ লাখ টাকা। পুলিশ টাকার রশিদসহ হারটি জব্দ করেছে।
টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, ‘সীমান্তে গত দুই বছর ধরে ইয়াবা আটকের অভিযান চালাচ্ছি। এবারের ঘটনা পুরোই আলাদা। আটক ইয়াবা কারবারি সৈয়দ নূরকে সন্দেহ করার মতো কোন উপাদানই ছিল না। দিনের আলোয় তিনি একজন ইজিবাইক চালক। বসবাস জীর্ন ঘরে। প্রত্যন্ত রঙ্গিখালী গাজিপাড়ার বাসিন্দা সৈয়দ নুর সম্পর্কে তথ্য মেলে ইয়াবা ডন নুর হাফেজ বন্দুকযুদ্ধে নিহত হবার পর পরই। এখন নিশ্চিত হওয়া গেছে নুর একজন বড় মাপের ইয়াবা কারবারি।’

ইয়াবা কারবারি সৈয়দ নূরের গ্রেপ্তারসহ অবাক করা কাহিনী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তুলে ধরেছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন। তিনি জানান, ইয়াবা কারবারিরা এখন কৌশল পরিবর্তন করেছেন। তারা প্রকাশ্যে দীনহীন জীবনযাপন করছেন। আগে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা এলাকায় আলিশান ভবন নির্মাণ করে সবার নজরে পড়েছিলেন। সেসব ভবন অভিযানে ভেঙ্গে দেয়ার কারনে এখন তারা মাটি ও খড়ের ভাঙ্গাচোরা ঘরে বাসবাসেরকৌশল নিয়েছেন। সন্দেহের বাইরে থাকে তাদের এসব কলাকৌশল।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।