১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ২ আশ্বিন, ১৪৩২ | ২৪ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক

আয়কর সীমা সোয়া ৩ লাখ টাকা করার প্রস্তাব

ব্যক্তি আয়ের করসীমা সোয়া তিন লাখ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।

মানুষের জীবন-যাত্রার ব্যয় ও মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় আয়কর সীমা আড়াই লাখ টাকা থেকে বৃদ্ধির এ প্রস্তাব করে শীর্ষ এ বণিক সংগঠন।

রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ প্রস্তাব দেয় সংগঠনটি। এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ লিখিতে বক্তব্যে এ প্রস্তাব দেন।

এনবিআরের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

লিখিত বক্তব্যে আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, ব্যক্তির করমুক্ত আয়ের সীমা দুই লাখ লাখ ৫০ হাজার টাকা। মানুষের জীবন-যাত্রার ব্যয় ও মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় তা বৃদ্ধি করে তিন লাখ ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করার প্রস্তাব করছি।

তিনি বলেন, আয়কর বা প্রত্যক্ষ কর সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে। উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলো মোট করের বেশিরভাগ প্রত্যক্ষ কর থেকে আদায় করে থাকে। বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ করের অনুপাত দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশের তুলনায় কম। মোট রাজস্ব আহরণে প্রত্যক্ষ করের অবদান মালয়েশিয়ায় ৭৫ শতাংশ, পাকিস্তানে ৩৭ শতাংশ, ভারতে ৫৬ শতাংশ; সেখানে বাংলাদেশ ৩০ শতাংশ।

মাতলুব আরও বলেন, এ বছর ই-টিআইএনধারীর সংখ্যা ২৮ লাখ অতিক্রম করেছে। এদের আয়কর রিটার্ন দাখিলের আওতায় এনে আয়কর খাত থেকে রাজস্ব বৃদ্ধিও প্রস্তাব করছি। এতে ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধি পাবে।

এনবিআরের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান বলেন, বাজেট কার্যক্রমে এফবিসিসিআইয়ের প্রস্তাব গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে। এই বাজেট গঠনের পরে একটি কর ও ব্যবসায়ীবান্ধব বাজেট প্রণয়ন করা হবে।

এদিকে, করসীমা ছাড়াও এফবিসিসিআইয়ের আয়কর সংক্রান্ত প্রস্তাবে আরও কিছু দাবি করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম, পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে উৎসে কর হ্রাস। বতর্মানে পোশাক রফতানিতে উৎসে কর শুন্য দশমিক সাত শতাংশ রয়েছে, তা কমিয়ে শুন্য দশমিক পাঁচ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করা হয়।

এছাড়া কাঁচামালের ওপর পাঁচ শতাংশ অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার, সারচাজের্র সীমা দুই কোটি ২৫ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে পাঁচ লাখ টাকা করা এবং করপোরেট কর হার আড়াই শতাংশ হ্রাস।

এ আলোচনা সভায় অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নানসহ ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা সবাই উপস্থিত ছিলেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।