১ মে, ২০২৫ | ১৮ বৈশাখ, ১৪৩২ | ২ জিলকদ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  শ্রমিক দিবসে সামাজিক সংগঠন “মানুষ” এর ভিন্নধর্মী উদ্যোগ   ●  বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ এপ্রিল   ●  লুৎফুর রহমান কাজলের মা সাবেক এমপি সালেহা খানমের ইন্তেকাল করেছেন   ●  টেকনাফে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১   ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন

আর্থসামাজিক উন্নয়নে স্থানীয় পর্যায়ে এলজিইডি ব্যাপক কাজ করেছে-নির্বাহী প্রকৌশলী  মামুন খান

 
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয় নেওয়া ১১ লাখেরও বেশি মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা দৈনন্দিন জীবনযাপনে নানা অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে।
সৃষ্ট এই সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকার বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ‘জরুরি ভিত্তিতে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় মাল্টি-সেক্টর প্রকল্প (ইএমসিআরপি) এর অধীনে বিভিন্ন সেবা সুবিধা এবং অবকাঠামো উন্নয়ন  করছে। প্রকল্পটির মাধ্যমে স্থানীয় ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ বিভিন্ন সামাজিক সেবা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে সুরক্ষা বৃদ্ধির কার্যক্রম চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বুধবার (৫ জুন)  স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কক্সবাজার কার্যালয়ের হল রুমে প্রকল্প বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রকল্পের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন এলজিইডিইর কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন খান।
তিনি বলেন, ‘আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য স্থানীয় পর্যায়ে এলজিইডি ব্যাপক কাজ করেছে। স্থানীয়দের জন্য ২৬৮ কিলোমিটার রাস্তা উন্নয়ন এবং পুনর্বাসনের কাজ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১৯০ কিলোমিটার রাস্তার কাজ শেষ হয়েছে। উখিয়া উপজেলায় নির্মিত ৪টি ব্রিজ, ৪৫টি বিদ্যালয় কাম দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্রের অধিকাংশ হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া কক্সবাজার—মহেশখালী যোগাযোগের গেটে একটি আধুনিক জেটি নির্মাণ করা হচ্ছে। দুটি রাবারড্যামের কাজ করা হয়। এগুলো ছাড়াও আরো বেশ কিছু কাজ চলমান রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ক্যাম্পের অভ্যন্তরে মাল্টিপারপাস কমিউনিটি সার্ভিস সেন্টার, স্যাটেলাইট ফায়ার সার্ভিস সেন্টার, ২৬৮টি বজ্রনিরোধক যন্ত্র সোলার বিদ্যুৎ প্যানেল, এনার্জি সেক্টরে ২৫০০টি সৌর সড়কবাতি, এনার্জি সাপ্লাইয়ের জন্য ৩৫টি ন্যানোগ্রিড স্থাপন করা হয়েছে, আরো ৩৫টির কাজ চলমান আছে।’
মামুন আরো খান বলেন, ‘এক্ষেত্রে সচেতনতার জন্য আমরা বিসিসিপি’কে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেছি। বিসিসিপি’র মাধ্যমে নিম্ন থেকে উচ্চ পর্যায়ে বার্তা পৌঁছে দিতে পেরেছি।  উপকারভোগীরা এসব উন্নয়নের জন্য ভালো ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। যেহেতু কাজ গুলো তাদের জন্যই করা।’
সভায় প্রকল্পের উদ্দেশ্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামের পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজাহান।
এসময় এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী আবদুর রহমান মুহিব ও বিসিসিপির জ্যেষ্ঠ উপপরিচালক আবু হাসিব মোস্তফা জামালসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।