২৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকল ৯.৩০ টায় কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের জেলা ছাত্রসেনার সভাপতি ছাত্রনেতা এস এম নিয়ামত উল্লাহ মামুনের সভাপতিত্বে ও সধারণ সম্পাদক এইচ এম রবিউল হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন আইনজীবি সমিতি কক্সবাজার জেলার সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আ.জ.ম মঈন উদ্দীন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট কেন্দ্রিয় পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব স.উ.ম আবদুস সামাদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট কক্সবাজার জেলা শাখায় আহব্বায়ক মাওলানা মনজুর আহম্মদ, সিনিয়র যুগ্ম আহব্বায়ক মাওলানা সাহাদাত হোসেন আলকাদেরি, যুগ্ম মহাসচিব কাজী মাওলানা সিরজুল ইসলাম সিদিকি, সদস্য সচিব অধ্যক্ষ সালাউদ্দিন মোহাম্মদ খালেদ, মাদ্রাসা এ তৈয়বিয়া তাহরিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ কাজী সালাউদ্দিন মোহাম্মদ তারেক, শাহ সুফি আলী হোসেন ফকির সুনিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শাহ মোহাম্মদ অজিজুল হক, যুবসেনার জেলা সদস্য সচিব সাজ্জাদ হোসেন। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রসেনার কেন্দ্রিয় পরিষদের সভাপতি ছাত্রনেতা ছাদেকুর রহমান খাঁন, বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রসেনার কেন্দ্রিয় পরিষদের সহ-সধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইশতিয়াক রেজা, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাজাদা নিজামূল করিম সুজন। এতে উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রসেনা সহসভাপতি মুজিবুল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক খোরশেদ আলম, সহ-সাধারণ সম্পাদক নুরুল হাশেম, সাদ্দাম হোসেন, অর্থ সম্পাদক বাকিবিল্লাহ সাজ্জাদ, দপ্তর সম্পাদক নুরুল আবছার ইমন, সদস্য হাফেজ মোহাম্মদ কেরামত আলী প্রমূখ। এতে বিভিন্ন উপজেলার নেতা কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন ২১শে ফেব্র“য়ারি বাংলাদেশের জনগণের গৌরবোজ্জ্বল একটি দিন। এটি শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে সুপরিচিত। বাঙালি জনগণের ভাষা আন্দোলনের মর্মান্তর ও গৌরবোজ্জ্বল স্মৃতি বিজড়িত একটি দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। ১৯৫২ সালের এই দিনে ছাত্র-জনতা পুলিশের গুলিবর্ষণে তোয়াক্কা না করে মাতৃভাষা রক্ষার জন্য আন্দোলনে নেমে যায়। এতে বেশ কয়েকজন ছাত্রনেতা নিহত হন। তাদের থেকে শিক্ষা নিয়ে বর্তমান ছাত্র-জনতাকে দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে আহবান করেন। প্রধান বক্তা তার বক্তব্যে বলেন, ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পড় বাংলা ভাষার ৪ (চার) কোটি ৪০ (চল্লিশ) লক্ষ জনগণ পূর্ব বাংলার অংশ হয়ে যায় এবং পাকিস্তান আধিরাজ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের নেতারা পূর্ব পাকিস্তানের উপর রাষ্ট্রভাষা উর্দু করার জন্য বেশ নির্যাতন চালায়। এতে ছাত্রজনতা তাদের এইরকম গর্হিত নির্যাতন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য দেশবাসীকে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলেন। পরিশেষে শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।