১৫ জুন, ২০২৫ | ১ আষাঢ়, ১৪৩২ | ১৮ জিলহজ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  উৎসবমুখর পরিবেশে সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার’র নির্বাচন সম্পন্ন   ●  যুক্তরাষ্ট্রের জুরি বোর্ডের সদস্য হলেন চৌধুরী কন্যা স্বর্ণা   ●  ভিজিএফ চালের অনিয়ম’ নিয়ে সংবাদ – চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা   ●  শিক্ষার ফেরিওয়ালা মরহুম জালাল আহমদ চৌধুরীর ১৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  বিয়ের তিন মাসেই সড়কে প্রাণ গেল হলদিয়ার জুনাইদের   ●  চুনোপুঁটি ধরলেও অধরা রাঘববোয়ালরা   ●  তরুণ সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ সোহরাব হোসেন ডলার: এক প্রতিশ্রুতিশীল পথচলা   ●  উখিয়ার প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী ফরিদ আহম্মদ চৌধুরীর ৬ষ্ট মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  কক্সবাজার জেলা বিএনপির সদস্য সিরাজুল হক ডালিম’র সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

২২ লাখ টাকা আত্মসাত করতে সুদি খলিলের অপকৌশল’ দাবি আব্বাসের

বিশেষ প্রতিবেদক:
কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালীর গোলারপাড়ার সমাজ সেবক ও ৬ নংওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্বাসউদ্দিন স্থানীয় সুদি খলিলের ষড়যন্ত্র ও তার কাছ থেকে জমি রেজিষ্ট্রেশনের জন্য অগ্রিম নেয়া ২২ লাখ টাকা ফেরত না দিতে নানা অপকৌশল ও নাটকের আশ্রয় নিয়েছে দাবি করেছেন। গতকাল বুধবার নিজ গ্রাম গোলারপাড়া মাহাদুল কোরআন মাদ্রাসায় জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে প্রায় শতাধিক লোক উপস্থিতে তিনি এই দাবি করেন।  সুদি খলিলের ষড়যন্ত্র ও প্রতারণার বিস্তারিত তুলে ধরে আব্বাস উদ্দিন বলেন আমি চরম প্রতারণা ও জালিয়াতির স্বীকার হয়ে প্রতিকার চাইতে গিয়ে মানহানী ও হুমকির সম্মুখিন হয়েছি। গত ৬ ফেব্রুয়ারী সদরের পি.এম. খালীর গোলারপাড়ার মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে  খলিলুর রহমান প্রকাশ সুদি খলিল একটি সংবাদ সম্মেলনে আমার এবং পরিবারের বিরুদ্ধে চরম মিথ্যা তথ্য দিয়ে সম্মানহানী করে নানা কল্প
কাহিনী তুলে ধরে নিজের অপরাধ ও জালিয়াতি লুকাতে তৎপরতা চালিয়েছেন। প্রকৃত সত্য তুলে ধরতে আমি আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। আপনাদের বস্তুনিষ্ট
লেখনি জাতি প্রকৃত সত্য জানতে পারবে।
তিনি বলেন  গত বছর ৩০ নভেম্বর রেজিষ্টার্ড বায়না যার নং ৭৪০/২১
মূলে পাতলী মাছুয়া খালী মৌজার আর.এস ১৫৯৮ খতিয়ানের আর.এস দাগ নং-৫৪১৫,
৫৪৩৪, ৮৮০৪, ৮৮৩১, ৮৮৩৩ এবং বি.এস ১০৯ খতিয়ানের বি.এস দাগ নং- ৪৫১০,
৪৫১১, ৪৫১২, ৪৫১৩, ৪৫১৪, ৮৮৪৬, ৮৯৬৩, ৮৯৭০ এর ১ একর জমি ২৭ লাখ টাকা
মূল্যে নির্ধারণ করে ২২ লাখ টাকা নগদ প্রদান করে উক্ত খলিলুর রহমানের
সাথে আমি চুক্তিবদ্ধ হই।
তার এন আইডি না থাকায় আমাকে রেজিষ্ট্রি দিতে পারেনি। ১ মাসের মধ্যে এন
আইডি করে পুরো রেজিষ্ট্রি করার সময় অবশিষ্ট টাকা প্রদান করার সিদ্ধান্ত
হয়। গত ৪ মাস যাবত আমাকে জমি রেজিষ্ট্রি নাম করে নানা তালবাহনা ও সময়
ক্ষেপন করে আসছে।
আমি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি এমনকি স্থানীয় মেম্বার জামাল উদ্দিন, মসজিদের ইমাম মৌ: জামাল উদ্দিন, সমাজ সেবক নুরুল হাকিম
বাদল ও হাজী কবির আহমদসহ আরো কয়েকজনেক উক্ত খলিলুর রহমানের কাছে জমি রেজি: অথবা আমার কাছ থেকে নেওয়া ২২ লক্ষ টাকা ফেরত দিয়ে বায়নার অবসান করার জন্য জোর তাগিদ দিলেও বার বার এন আইডির অজুহাত দেখিয়ে অদ্যাবধি জমি রেজি: দেয়নি। ফলে আইনের আশ্রয় নিতে আমি কক্সবাজার সদর আদালতে সিআর ৩৩/২২ প্রতারণা মামলা দায়ের করি। যেটি সদর থানায় তদন্তাধীন রয়েছে। মামলার পর থেকে প্রতারক খলিল ও তার জামাতা আমার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার ও মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে মানহানি করার জন্য উঠে পড়ে লাগে। তারই অংশ হিসেবে কক্সবাজার প্রেস ক্লাবে আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে। আমার টাকা ফেরত দিচ্ছে না এবং জমিও রেজি: দিচ্ছে না উক্ত খলিল। উল্টো আমি হুমকি দিচ্ছি বলে আমার ও পরিবারের বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা প্রচারনা চালাচ্ছে। এতেও ক্ষান্ত হননি আমার
বিরুদ্ধে কক্সবাজার মডেল থানায়, পিবিআই এবং বিভিন্ন আদালতে ৫টি  মিথ্যা
মামলা দায়ের করে যেটি তদন্তের মাধ্যমে মিথ্যা প্রমাণিত হয়। এবং কয়েকটি
তদন্তাধীন রয়েছে। পুলিশ স্বচ্ছতার সাথে দায়িত্ব পালন করে আমার বিরুদ্ধে
আনীত অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ার পর খলিলুর রহমান নিজের দাড়ী নিজে ছিড়ে। এছাড়া তারাই আপন জেঠাতো ভাই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হাফেজ ফরিদুল
আলমের ভিটে জমি জোর পূর্বক দখল করে ৩৬ বছর নিজ কব্জায় রাখে উক্ত খলিল।
স্থানীয় লোকদের সাথে নিয়ে আমরা প্রতিবন্ধি হাফেজ ফরিদের জায়গা উদ্ধার করে বুঝিয়ে দিতে গেলে লোকজন এনে আমাদের উপর হামলা চালায়। জমি বুঝে না দিতে নানা চাপ সৃষ্টি করে আমি উক্ত জমি উদ্ধারে সকলকে একত্রিত করে জোর চেষ্টা
চালানোর কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। তারই অংশ হিসাবে
আমার বিরুদ্ধে গত ৬ ফেব্রুয়ারী সাংবাদিক সম্মেলন করে। এছাড়াও খলিলের ছোট
ভাই নুরুল ইসলাম গরু চুরি করে ধরাপড়ে। ভাগের টাকা খলিলের পকেটে ঢুকেছে যা প্রমানিত।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে এলাকার শত-শত লোকজন উপস্থিত ছিলেন এবং উপস্থিত বিভিন্ন পেশা জীবি লোকজন আব্বাস উদ্দিনের পক্ষে গণহারে সাক্ষ্য দেন। তারাও দাবি করেন আব্বাস উদ্দিন সুদি খলিলের ষড়যন্ত্রের  ফাঁদে পড়েছে।
উল্লেখ্য’ আব্বাছ উদ্দিন গোলারপাড়া মাহাদুল কোরআন মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি সভাপতি, গোলারপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সভাপতি গোলারপাড়া বৃহত্তর সমাজ কমিটির সভাপতি হিসাবে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সুদি খলিলের ষড়যন্ত্র ও প্রতারণা জালিয়াতির ঘটনা তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।