১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ৩১ ভাদ্র, ১৪৩২ | ২২ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ

প্রস্তুতি সভায় ১৫ সিদ্ধান্তের খসড়া প্রস্তাবনা

১ থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহণ, মজুদ ও বিক্রয় বন্ধ

এম.এ আজিজ রাসেলঃ প্রধান প্রজনন মৌসুম মা-ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রম-২০১৭ উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল আলীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনোয়ারুল নাসের। বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার ফিশিংবোট মালিক সমিতির সভাপতি মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, সহকারী পুলিশ (উখিয়া-টেকনাফ সার্কেল) চালাউ মারমা, মহেশখালী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম, কোস্ট গার্ডের অধিনায়ক খলিলুর রহমান, বিএফডিসির ব্যবস্থাপক মোঃ শরীফুল ইসলাম ও বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুর রহমান। বক্তারা বলেন, আর্শ্বিন মাসের ভরা পূর্নিমা তিথি ইলিশ মাছের ডিম ছাড়ার প্রধান মৌসুম। এসময়ে একটি পূর্ণ বয়স্ক বা পরিপক্ক ইলিশ মাছ থেকে এক মৌসুমে ২৫ লক্ষ ডিম পাওয়া যায়। তাই দেশের ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধিতে১ থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহণ, মজুদ ও বিক্রয় বন্ধ করে মা ইলিশকে ডিম ছাড়ার সুযোগ করে দিতে হবে। এ জন্য সকলের সম্মিলিত সহযোগিতা প্রয়োজন।
সভায় ২২ দিন ইলিশ আহরণ বন্ধে ১৫টি সিদ্ধান্তের খসড়া প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। প্রস্তাবনা সমূহ হলো- ১/ হাট বাজার, মৎস্য অবতরণকেন্দ্র ও আড়তে উল্লেখিত তারিখে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহণ, মজুদ ও বিক্রয় বন্ধ রাখা। এসব স্থানে নিয়মিত মনিটরিং করা হবে। ২/ হিমাগারে ২২ দিন পর্যন্ত মাছ ক্রয়, মজুদ ও বিক্রয় না করা। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হিমাগারের সর্বশেষ মজুদকৃত ইলিশের সংখ্যা জেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে অবহিত করা। ৩/ পরিবহন গুলোতে ইলিশ মাছ পরিবহন ও বরফ নেয়া বন্ধ রাখা। ২২ দিন পর্যন্ত সড়ক ও নৌ-পথে অভিযান পরিচলনা করা হবে। ৫/ ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সাগর থেকে সকল ফিশিংবোট ফিরে আসতে হবে। এ ব্যাপারে জেলা ফিশিংবোট মালিক সমিতি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে। ৬/ ১ থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত সাগরে কোষ্ট গার্ড ও নৌ বাহিনীর টহল জোরদার করা হবে। ৭/ ১ থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত সকল বোট মালিক ও মাঝিদের নজরদারিতে রাখবে পুলিশ। এছাড়া বেধে দেয়া সময়ের মধ্যে সাগরে গেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ৮/ ২২দিন পর্যন্ত মহেশখালী, কুতুবদিয়া, সদর, সাগরের গন্ডামারা ইলিশ প্রজনন ক্ষেত্রে নৌ-বাহিনীর টহল জাহাজ মোতায়েন করা। এছাড়া বিদেশী ট্রলারের উপর নজরদারি বাড়ানো। ৯/ মৎস্য আহরণ প্রতিরোধে বিজিবির চেক পোষ্টে সতর্ক থাকা। ১০/ ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ফেরত আসা ফিশিংবোটের তালিকা জমা দেয়া। ১১/ ফিশিংবোটে জ্বালানী তেল না দেয়া। ১২/ সাগরে যাওয়ার জন্য কোন বোট মালিককে বরফ সরবরাহ না করা। শুধুমাত্র বাকঁখালীর অভ্যন্তরে থাকা বোটকে বরফ দেয়া যাবে। ১৩/ ১ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত মোবাইল কোট পরিচালনা করা। এ জন্য মাঠে থাকবে র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও নৌ-বাহিনী। ১৪/ ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহণ, মজুদ ও বিক্রয় বন্ধে ব্যাপক প্রচারণা চালানো। সর্বশেষ ১৫/ জেলা-উপজেলা পর্যায়ে এ ব্যাপারে সমন্বয় সভার ব্যবস্থা করা।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।