৬ অক্টোবর, ২০২৫ | ২১ আশ্বিন, ১৪৩২ | ১৩ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন

স্পেশালের নাম ভাঙ্গিয়ে মাসে অর্ধকোটি টাকা চাঁদা আদায় করে আতাউল সিন্ডিকেট

 

কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের স্পেশালের(বিশেষ অভিযান) নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতিমাসে অর্ধকোটি টাকা চাঁদা আদায় করে আতাউল সিন্ডিকেট।এই সিন্ডিকেট কয়েকটি উপজেলার অবৈধ কাঠ ব্যবসায়িদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে মাসোহারার বিনিময়ে কাঠ পাচারে সহযোগিতা করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।আর এসবের পেছনে রয়েছে সিন্ডিকেটের অন্যতম বিভাগীয় বন কর্মকর্তার গাড়ি চালক দুনীর্তিবাজ রনজন।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়,বন বিধি লংঘন করে দীর্ঘ ১২ বছর কক্সবাজার সদর বন অফিসে চাকরি করার সুবাধে আতাউল অবৈধ কাঠ ব্যবসায়ি সাহাব উদ্দিন,জাহাঙ্গীর, গিয়াস উদ্দিন,পানেরছড়ার আজিজ ও আক্তারের সম্পর্ক গড়ে তোলে। প্রতিমাসে মোটা অংকের মাসোহারা নিয়ে তাদেরকে অবাধে রাতের আঁধারে কাঠ পাচারে সহযোগিতা করে আসছে। এসব ঘটনার উদঘাটন হয় গত বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে শহরের আনচাইস মার্কেটের সম্মুখ থেকে কাঠ উদ্ধার নিয়ে।ওই দিন ভোরে এই প্রতিবেদক জাহাঙ্গীরের প্রায় দুই লক্ষ টাকার চেরাই করা গর্জন কাঠ শহরে আনলে বিষয়টি বিভাগীয় বন কর্মকতা জানালে তিনি তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে গিয়ে এসব কাঠ উদ্ধার করেন।এরপর বেরিয়ে আসে নৈপথ্যকারি স্পেশালের আতাউল ও রনজনের নাম।

এদিকে,রামু, চকরিয়া,ঈদগাঁও,ফুলছড়ি, ইনানী ও নাইক্ষংছড়ি থেকে কাঠ বোঝাই অবৈধ গাড়ি শহরের প্রবেশের জন্য মানি টোকেন নিতে হয় বিভাগীয় বন কর্মকর্তার গাড়ি চালক রনজন থেকে।মানি টোকেনের বেশির ভাগ টাকার লেনদেন হয় রনজনের ব্যক্তিগত বিকাশ নাম্বারে।চাঁদার এসব টাকা মাস শেষে বন্টন করে রনজন ও আতাউল।আমাদের কাছে কয়েকটি লেনদেনের প্রমান রয়েছে।

অপরদিকে, আতাউল উখিয়ার সামাজিক বনায়নের টিবির জন্যও প

নাম প্রকাশে অনিশ্চুক অফিসের এক কর্মচারি বলেন,আতাউল দীর্ঘদিন ওই অফিসে থাকার কারনে সবার সাথে তার সখ্যতা রয়েছে।যার কারনে সে অবৈধ ব্যবসায়িদের কাছ থেকে গনহারে চাঁদা আদায় করে।আর অবৈধ এসব লেনদেন হয় ডিএফও স্যারের গাড়ি চালক রনজনের মাধ্যমে।যতুটুকু জানি রনজনের বিকাশ নাম্বারে এসব টাকা আসে।

নাম গোপন রাখার শর্তে আরেক কর্মচারী বলেন,মনে হয় স্পেশাল অভিযান গঠন করা হয়েছে তাদের দুনীর্তির জন্য।রাত-বিরাত অভিযানের আঁড়ালে রনজন ও আতাউল অবৈধ কাঠ ব্যবসায়িদের কাঠ পাচারে সহযোগিতা করে। দুদকে তদন্ত করলে তাদের দুনীর্তির আসল চিত্র উদঘাটন হবে।

সিন্ডিকেটের সহকারি বন কর্মকতার গাড়ি চালক রনজনের মোবাইলে একাধিকবার কল করেও তার ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

এই বিষয়ে অভিযুক্ত স্পেশাল সিন্ডিকেটের প্রধান আতাউলের সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি বলেন,
আপনাদেরকে কে কি তথ্য দিয়েছে আমি জানি না।তবে আমি এসবের সাথে জড়িত না।

এব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আলী কবির জানান,বিষয়গুলো আমার জানা নেই।তবে আমি কোন তথ্য পেলে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিই। তথ্য পেলে আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।