৪ নভেম্বর, ২০২৫ | ১৯ কার্তিক, ১৪৩২ | ১২ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  চিকিৎসা বিজ্ঞানে উখিয়ার সন্তান ডাঃ আব্দুচ ছালামের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন   ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

সিম বায়োমেট্রিক করায় মোবাইল ফোনে অপরাধ কমেছে: তারানা হালিম

a692ce03d07354d1f5ce853f0b88bc0cx479x290x13সিম বায়োমেট্রিক করায় দেশে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সংগঠিত অপরাধ কমেছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী, বিটিআরসির শাহজাহান মাহমুদ এবং পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা।

তারানা হালিম বলেন, ‘বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম রেজিস্ট্রেশনের ফলে চাঁদাবাজি, অপহরণসহ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সংগঠিত অপরাধ কমেছে।এ পদ্ধতিতে এখন আর কোনও অপরাধ সংগঠিত হয় না। এরপরও আমরা কিছু অভিযোগ পাচ্ছি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নানা জনকে নানা ধরনের হুমকি দেওয়া ও চাঁদা দাবি করা হয়। বিষয়টি আমরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘মূলত এ ধরনের অপরাধ করা হচ্ছে কম্পিউটারাইজড প্রযুক্তি স্পুফিংয়ের (Spoofing) মাধ্যমে। এটি বায়োমেট্রিক পদ্ধতির কোনও ত্রুটি নয়।’

এক্ষেত্রে তারানা হালিম জনসাধারণকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘যখনই এ ধরনের কোনও কল গ্রাহকরা পাবেন তখন কথা বলা শেষে সঙ্গে সঙ্গে সেই নম্বরে ফোন ব্যাক করবেন। তাহলে ওই প্রান্ত থেকে যিনি ফোন ধরবেন তার সঙ্গে কথা বললেই বোঝা যাবে তিনি আসল অপরাধী কিনা।’

স্পুফিং পদ্ধতিতে সংগঠিত অপরাধ বন্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কিনা-জানতে চাইলে তারানা হালিম বলেন, ‘এ প্রক্রিয়া বন্ধ করতে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। আমরা বসে নেই, কাজ করছি।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বায়োমেট্রিক সিস্টেম প্রবর্তন করার ফলে দেশে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা ৩৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নেমে এসেছে, বাকিটাও কমবে। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মাত্র ০ দশমিক ৫ পয়েন্টের নিচে ত্রুটি আছে। আগামীতে এ ত্রুটিও থাকবে না।’

তিনি বলেন, ‘এ যাবত সারা দেশে ১১ কোটি ৪০ লাখ সিম বায়োমেট্রিক করা হয়েছে। আগে একজন গ্রাহক ২০টি সিম রাখতে পারতেন কিন্তু এখন মাত্র ৫টি সিম কিনতে পারেন।’

এ সময় তারানা হালিম অভিযোগ করে বলেন, ‘বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সামান্য যে ত্রুটি আছে তার মূলে জনসচেতনতার অভাব। কারণ অনেকে টাকার বিনিময়ে আঙুলের ছাপ বিক্রি হচ্ছে। ফলে কিছু অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। এটা বায়োমেট্রিক পদ্ধতির কোনও ত্রুটি না।’

তিনি জনসাধারণকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘গ্রাহকরা যখন আঙুলের ছাপ দেবেন, তখন মেশিনে নিজের জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বরটি উঠেছে কিনা তা নিশ্চিত হবেন। তাহলে কেউ আঙুলের ছাপ চুরি করে সিম রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে না।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।