
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী।
বিচারালয়কে অসহায় মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে বর্ননা করে তিনি বলেন, ‘আমরা সেই আশ্রয়স্থল নিশ্চিত করতে এসেছি। গণতন্ত্রের বিকাশ ও একে শক্তিশালী করতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সবার আগে প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী বিচারকদের বেতন, প্রশিক্ষণ ও সামজিক মর্যাদা নিশ্চিত করেছেন। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সরকার বিচারক নিয়োগ, পদোন্নতি ও সুযোগ সুবিধার জন্য কন্ডাক্ট রুল করছে। যা অচিরেই গেজেট আকারে প্রকাশ হবে। ’
মন্ত্রী আজ রবিবার দুপুরে হবিগঞ্জে নবনির্মিত চিফ জুডিসিয়াল আদালত ভবন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন। পরে স্থানীয় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তিনি।
আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হত্যার পর দেশে ’৯৬ সাল পর্যন্ত আইনের শাসন ছিল না। যে দেশে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ হতে পারে সেই দেশে কিভাবে আইনের শাসন থাকে। শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ এই আইনের বিপক্ষে পদক্ষেপ নেয়নি। তিনি আইনের শাসনের বীজও রোপন করেছেন, বলেন মন্ত্রী।
আইনমন্ত্রী বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র ১০ মাসের মাথায় বঙ্গবন্ধু আমাদের সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন। যা সমগ্র বিশ্বের কাছে ছিল মডেল। কিন্তু ’৭৫ এর পর এই সংবিধানকে কাটা-ছেঁড়া করা হয়েছে। এটিকে ছিঁড়ে ডাস্টবিনে ফালানো হয়েছে। পরে শেখ হাসিনা ডাস্টবিন থেকে সংবিধানকে উদ্ধার করেছেন।
তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা বাতিল করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ৫৭ ধারার অধীনে যে সব মামলা পরিচালিত হচ্ছে বা তদন্তাধীন রয়েছে, নতুন আইনে সে বিষয়ে নির্দেশনা থাকবে। এ আইনে ন্যায়বিচার যাতে সকলে পায় সে ব্যবস্থা করা হবে।
জেলা ও দায়রা জজ আতাবউল্লার সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাফরোজ পারভীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির, অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান, অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী, সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মোহাম্মদ জহিরুল হক প্রমুখ।
পরে আইনমন্ত্রীকে জেলা আইনজীবী সমিতি সংবর্ধনা প্রদান করে। জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আফিল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান তালুকদারের সঞ্চালনায় সিনিয়র আইনজীবি ও অতিথিরা বক্তৃতা করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২৩ কোটি ১১ লাখ টাকা ব্যয়ে চীফ জুসিডিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৫ তলা ভবন নির্মাণ করেছে হবিগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগ। এটিকে ১০ তলায় উন্নীত করতে আরও ২০ কোটি টাকার কাজ শুরু হয়েছে। নতুন ভবনে ১৩টি এজলাস রয়েছে।
২০২১ ফেব্রুয়ারি ০৮ ০৮:৩১:১১
২০২০ জুলাই ২৮ ০৬:০২:৪৫
২০২০ জুন ২৭ ১১:১৮:৫৪
২০২০ জুন ২২ ১২:৫৩:২৯
২০২০ মে ২৯ ০৫:৫৩:৩৫
২০২০ মে ০৯ ০১:০৫:২৩
২০২০ মে ০৭ ০৫:০৩:৩০
২০২০ মে ০৫ ১১:৫৩:৩৯
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।