৫ নভেম্বর, ২০২৫ | ২০ কার্তিক, ১৪৩২ | ১৩ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  চিকিৎসা বিজ্ঞানে উখিয়ার সন্তান ডাঃ আব্দুচ ছালামের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন   ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

লোহাগাড়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় স্বামী,স্ত্রীসহ ৩জন আহত

রায়হান সিকদার,লোহাগাড়া প্রতিনিধিঃ

লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা ইউনিয়নের নোয়ারবিলা খয়রাতি পাড়ায় জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে স্বামী, স্ত্রী ও শ্বশুরসহ তিনজন গুরতর আহত হয়েছে। ২৬ মে (মঙ্গলবার) রাত ১০টায় এ ঘটনাটি ঘটে। এতে আহতরা হলেন উপজেলার চরম্বা নোয়ারবিলা খয়রাতি পাড়ার মোহাম্মদ আলীর পুত্র শাহ আলম (৩০) ও তাঁর স্ত্রী জন্নাত আরা বেগম (২০) ও শ্বশুর একই এলাকার মৃত এজাহার মিয়ার পুত্র ছালেহ আহমদ(৪৮)।
এ ঘটনায় আহত জন্নাত আরা বেগম বাদী হয়ে একইএলাকার ইদ্রিসের পুত্র জাসের (২৫), মো: আলীর পুত্র খানে আলম (২৩), মৃত দানু মিয়ার পুত্র মোহাম্মদ ইদ্রিস(৪৮), মোহাম্মদ আলীর পুত্র আইয়ুব আলী(৩৫), ইদ্রিসের স্ত্রী নুরুজ্জাহান বেগম(৪০) ও আইয়ুব আলীর স্ত্রী জয়নাব বেগম (৪০) কে আসামী করে লোহাগাড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

থানায় লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বাড়ীর সীমানা নিয়ে আহত শাহ আলমের সাথে আসামীদের বিরোধ চলে আসছিল। আসামীরা বুধবার (২৭মে) সন্ধ্যায় শাহ আলমের বাড়ী ঘেষে জোরপূর্বক ঘেরা-বেড়া দেয়। এতে তাঁর বাড়ীর দরজা বন্ধ হয়ে যায়। শাহ আলম বাড়ী থেকে বের হওয়ার সময় ঘেরা-বেড়াটি দেখতে পেয়ে তা ভেঙ্গে ফেলেন। পরে প্রতিপক্ষরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি মেম্বার আবু মুছাকে বিচার দেন। মেম্বার আবু মুছা বাদি-বিবাদীর বাড়ীর উঠানেই এক শালিশী বৈঠকের আয়োজন করেন। এ শালীশি বৈঠক চলাকালেই প্রতিপক্ষ জাসের, খানে আলম ও আইয়ুবসহ ১০/১২ জন বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে অতর্কিত অবস্থায় শাহ আলমকে ধারালো দা ও লাঠি-সোটা দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় তাঁকে উদ্ধার করতে এগিয়ে গেলে স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ও শ্বশুর ছালেহ আহমদকেও মাথায় রক্তাক্ত জখম করে।
আহত ছালেহ আহমদ জানান, মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় ইউপি মেম্বার আবু মুছা আমাকে মেয়ের জামাই শাহ আলমের বিষয়ে শালিশী বেঠকে যেতে বলায় আমি সেখানে যাই। গিয়ে দেখি শালিলী বৈঠক চলাকালেই প্রতিপক্ষরা অতর্কিতভাবে আমার মেয়ে ও জামাই’র ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। আমি তাদের উদ্ধার করতে গেলে আমাকেও মাথা ও শরীরে রক্তাক্ত জখম করে। আমি প্রশাসনের নিকট এ হামলার সুষ্টু বিচার চাই।
স্থানীয় চরম্বা ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আবু মুছা জানান, বাড়ীর সীমানা বিরোধ নিয়ে বাবা-ছেলের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ রয়েছে। বাবা রাতে ঘেরা-বেড়া দিলে ছেলে শাহ আলম সকালে তা ভেঙে ফেলে। এ বিষয়ে ছেলের বিরুদ্ধে বাবা আমাকে বিচার দিলে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েই বিষয়টি শালিশ মিমাংসার চেষ্টা করি। বৈঠকে বিষয়টি মিমাংসার শেষান্তে তাদের তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে হাতাহাতি ও মারামারি হয়। মারামারি থামাতে গিয়ে আমিও সামান্য আঘাতপ্রাপ্ত হই।

এ ব্যাপারে লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করতে না পারায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।