২০ জুলাই, ২০২৫ | ৫ শ্রাবণ, ১৪৩২ | ২৪ মহর্‌রম, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ   ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!   ●  কক্সবাজারে ঝটিকা মিছিলে ঘুম ভাঙলো পুলিশের, গ্রেফতার ৫৫   ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  উৎসবমুখর পরিবেশে সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার’র নির্বাচন সম্পন্ন   ●  যুক্তরাষ্ট্রের জুরি বোর্ডের সদস্য হলেন চৌধুরী কন্যা স্বর্ণা   ●  ভিজিএফ চালের অনিয়ম’ নিয়ে সংবাদ – চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা   ●  শিক্ষার ফেরিওয়ালা মরহুম জালাল আহমদ চৌধুরীর ১৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  বিয়ের তিন মাসেই সড়কে প্রাণ গেল হলদিয়ার জুনাইদের

রোহিঙ্গাদের উপর বর্বরতা বিশ্ব সভ্যতাকে স্তম্বিত করেছে: পরিবেশ ও বন মন্ত্রী

বিশেষ প্রতিবেদকঃ মানবতা বিবেচনায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন মন্তব্য করে জাতীয় পার্টি-জেপির চেয়ারম্যান এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সরকার যে অমানবিক আচরণ করছে তা আয়ামে জাহেলিয়াকে হার মানিয়েছে। তাদের এ বর্বর আচরণে বিশ্বসভ্যতা স্তম্ভিত।

বুধবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে পরিবেশ ও বন মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, যে মুহুর্তে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া হয়েছে সে মুহুর্তে বিকল্প উপায় ছিলনা। রোহিঙ্গারা আশ্রয় না পেলে ঝোঁপঝাঁড় ও নাফ নদীতে লাশের মিছিল দীর্ঘ হতো।

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার কারণে বন উজাড় ও পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ক্ষতি কিছুটা হয়েছে। তবে কি পরিমাণ হয়েছে তা এখন বলা যাবে না। আমাদের ক্ষতি হলেও মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই রোহিঙ্গাদের সাময়িক আশ্রয়ের জন্য সরকার সবকিছু করছে।
মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ে ৩ হাজার একর বনভূমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এটিতে সংকুলান না হলে প্রয়োজনে আরো বাড়তি বরাদ্দ দেয়া হবে। রোহিঙ্গাদের জন্য পরিবেশ, দেশ, জনগণ ও বনভূমির ক্ষতিগুলো মানবিক কারণে মেনে নিতে হবে বলে জানান মন্ত্রী। রোহিঙ্গাদের কারণে আমাদের দেশের পরিবেশের যেমন ক্ষতি হয়েছে মিয়ানমারের পাশবিকতায় তাদেরও অনেক ক্ষতি হয়েছে।

এ সময় তিনি রোহিঙ্গা শিবিরে সেনা মোতায়েনের ফলে ত্রাণ বিতরণসহ সকল কাজে সুন্দর ও সুশৃঙ্খল পরিবেশের প্রশংসা করেন। এ জন্য সেনা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।

পরিবেশ ও বন মন্ত্রী বুধবার সকালে সড়ক পথে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে যান। সেখানে প্রায় দেড় ঘন্টা সময় কাটান। এ সময় খোঁজ খবর নেন রোহিঙ্গাদের খাবার, স্যানিটেশন, চিকিৎসাসেবার। মন্ত্রীর সফরসঙ্গি হিসেবে ছিলেন জাতীয় পার্টির (জেপি)র প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক এমপি ও কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান এএইচ সালাহউদ্দিন মাহমুদ।

জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন শেষে টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্প-বসতি এবং ক্ষতিগ্রস্ত বনাঞ্চল পরিদর্শন করেন।

দুপুরে টেকনাফ বন বিভাগের রেস্ট হাউজে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন। এ সময় চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. জগলুল হোসেন, কক্সবাজার (দক্ষিণ) বন বিভাগের কর্মকর্তা মো. আলী কবির, কক্সবাজার (উত্তর) বন বিভাগের কর্মকর্তা হক মাহবুব মোর্শেদ, উপকূলীয় বন বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, টেকনাফ বিট কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। বিকালে সড়ক পথে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে কক্সবাজার ত্যাগ করেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।